সুনামগঞ্জে পানির নিচে হাজার হাজার একর জমির ফসল
কৃষি বিভাগ
পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ভেঙেছে ধিরাই উপজেলার আরও একটি বাঁধ ভেঙে টাংনী হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে জেলার ৫ উপজেলায় গত কয়েকদিনে ডুবে গেছে হাওরের তিন হাজার হেক্টর জমির বোরো ধানের ক্ষেত।
একাধিক বাঁধে ফাটল থাকায় হাওরের বাকি ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন তারা।
এদিকে, উজানের ঢলে উজানের ঢলে তিস্তার আকষ্মিক বন্যায় রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলার তিস্তার চরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধারদেনা করে ফসল ফলানো চাষিরা ফসল হারিয়ে হয়েছেন দিশেহারা। বছরের বাকি সময়গুলো তাদের কিভাবে চলবে তা নিয়ে রয়েছেন বড় দুশ্চিন্তায়।
নদীর বুকে কৃষকের লাগানো কয়েক হাজার বিঘা জমির মরিচ-পেঁয়াজ, রসুন, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া খেত ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়েছে।
ফসল হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাপারের লাখো কৃষক। চরের চাষিরা বলছেন, ৫০ বছরেও তারা চৈত্র মাসে তিস্তায় এরকম পানি দেখেননি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানালেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পায়। তবে পানি কমতে শুরু করেছে । তিনি আরও জানান, এপ্রিলে এই প্রথম তিস্তায় আকষ্মিক বন্যার ঘটনা ঘটল।
এদিকে নেত্রকোণায় নদীর পানি কমতে থাকায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। তবে কীর্তনখোলা বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত না হওয়ায় শঙ্কা কাটেনি পুরোপুরি। অন্যদিকে, যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী প্রায় ২’শ বিঘা জমির বোরো ধান ডুবে গেছে।