সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে কৃষক
কৃষি বিভাগ
কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরের মাঠে মাঠে হলুদের গালিচা। পশ্চিমা শন শন বাতাসে দোল খায় দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখীর। হাওরের চারপাশে হাসি ছড়িয়ে আকাশের দিকে মুখ তোলে নয়নাভিরাম সূর্যমুখীরা। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা মৌমাছি-ভ্রমরেরা। এ ফুল ও ফুলে উড়াউড়ি। ঘুরে ঘুরে হলুদ পরাগে মুখ রাঙিয়ে মধু আহরণ। কখনোবা সূর্যের দিকে হাত বাড়ায় সূর্যমুখী ফুল। সবুজ পাতার ফাঁক গলিয়ে এক চিলতে আলোর ঝিলিক।
এ যেনো আগুনরাঙা ফাগুনে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়াতে শৈল্পিক প্রতিযোগিতা! তাইতো ফাগুনবেলা এমন চোখজুড়ানো ক্ষণ উপভোগ করতে সূর্যমুখীর মাঠে মাঠে সৌন্দর্য পিপাসুদের ভিড়। ফুলের সৌন্দর্য চোখ ভরে দেখছে অনেকে। কেউ বা সেলফোনবন্দিতে ব্যস্ত এমন সুন্দর মুহূর্ত।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় তেলজাত এ ফসলের দিকে ঝুঁকছেন তারা। এবার হাওরে ৩০ একর জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখী। উৎপাদর লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ কৃষি বিভাগের। এ দিকে বিভিন্ন এলাকায় সূর্যমুখী মাঠে ভিড় করছে সৌন্দর্য পিপাসুরা। সরকারের প্রণোদনায় চাষ হয়েছে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী।আর এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।এবার সূর্যমুখীর ফলনও ভালো হয়েছে। এতে খুশি কৃষক।কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
নিকলী উপজেলার পাচরুখী হাওরের কৃষক জালাল উদ্দিন দেড় একর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন।তিনি জানান,এবার সূর্যমুখীর ভালো ফলন হয়েছে, এতে তিনি ভালো লাভবান হবার আশা করছেন।একই গ্রামের কৃষক মিয়া হোসেন এবার সূর্যমুখীর ভালো ফলন দেখে মুখে হাসির ঝিলিক।
নিকলী সদর ইউনিয়নের ওই ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিনামূল্যে বীজ দেওয়া থেকে শুরু করে উপজেলা কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তার ব্লকে সূর্যমুখীর হাসি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত পর্যটক। অনেকে ফুল ছিরে নিয়ে যায়। তবুও খুশি কৃষকরা।
নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, কৃষকদের কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আগামীতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হবে উল্লেখ করে কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, এতে করে বিদেশ থেকে তেল আমদানি আস্তে আস্তে কমে আসবে। নভেম্বরের শেষ দিকে সূর্যমুখীর আবাদ হয়। ফসল ঘরে উঠবে আর কয়েকদিন পরই। এবার উপজেলায় ৩০ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।