হাকালুকি হাওড়ে কমছে মাছের উৎপাদন
মৎস্য
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড়ে প্রতিদিন ধরা পড়ে দেশি প্রজাতির মাছ।হাকালুকি হাওড় মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য হওযায় বিপন্ন প্রজাতির পাবদা, কাকিয়া, চিতল, ফলি, কাল বাউসসহ অনেক মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
তবে পলি জমে দিন দিন কমছে হাওড়ের গভীরতা সাথে সংকুচিত হচ্ছে মাছের বিচরণক্ষেত্র। উৎপাদন বাড়াতে খননের ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রায় ১১২ প্রজাতির মাছের চারণক্ষেত্র মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড় দেশের সবচেয়ে বড় মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। পাবদা, কাইক্যা, চিতল, ফলি, কালী বাউস, রুই, বোয়াল ,আইড়, চাপিলা, টেংরা, মলা, পুটি, চিংড়িসহ রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
বিলের পাড়ে অস্থায়ী পাইকারি হাট থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।
হাকালুকির মিঠাপানির তাজা ও সুস্বাদু এই মাছের সুনাম রয়েছে সর্বএ। তবে, হাওড়ে পলি জমে কমে গেছে মাছের উৎপাদন।
স্থানীয় এক জেলে রফিক মিয়া জানান, পলিতে বিল তো ভরে যাচ্ছে। প্রতিবছর মাছ অনেক ধরতে পারি। এবছর মাছ নাই।
এবার উৎপাদন কিছুটা কম হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের।
মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জেলেরা মনে করছেন মাছের উৎপাদন এবার কম হবে। তবে আমরা আশাবাদী গতবারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। উৎপাদন বাড়াতে যা যা করনীয় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
হাকালুকি হাওড়সহ জেলার সব হাওড়বিল খনন করলে দেশি প্রজাতি মাছ উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।