হালদা থেকে ১ বছরে ৫৫ হাজার মিটার জাল জব্দ
মৎস্য
হালদা নদী বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। যে নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছে সরকার। তাই বছরজুড়ে হালদা নদী রক্ষায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি থাকে চোখে পড়ার মতো। হালদা নদীতে গত এক বছরে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে প্রায় ৫৫ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৬ মাস হাটহাজারী উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন হালদা নদী রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছেন। পরে নতুন ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন শাহিদুল আলম। তিনি ১১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ২৩টি অভিযানে পরিচালনা করে প্রায় ৩১ হাজার মিটার জাল জব্দ করেন। এ ছাড়াও ২টি ঘেরা জাল বসানোর নৌকা ও ৩টি বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা নৌকা ধ্বংস করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ৬০ হাজার টাকা। একটি ১৫ কেজি ওজনের মা-মাছ উদ্ধার করেন তিনি।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। হালদা নদীতে অভিযান পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি নৌকা নামানো হয়। অবৈধভাবে উত্তোলিত মোট জব্দকৃত বালুর পরিমাণের সঠিক হিসাব জানা যায়নি। হালদা নদীতে অবৈধভাবে ঘেরাজাল বসানোর কাজে ব্যবহৃত ৮টি নৌকা আটক করে ধ্বংস করা হয়। হালদা নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ২টি টাক্টর ধ্বংস করা হয়। এসব অভিযানে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ধ্বংস করা হয় ৮টি।
সাবেক ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, হালদার পাহারাদার হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নয় দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই করেছি। হালদা শুধু নদীই নয়, একটা অনুভূতির নাম।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম বলেন, হালদা নদী থেকে অবৈধ জাল পেতে মা-মাছ ধরা, ইঞ্জিনচালিত নৌকার চলাচল বন্ধ, বালু উত্তোলন, ডলফিন রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হালদা নদী রক্ষায় আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।