হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে ফার্মের মুরগি, দুশ্চিন্তায় খামারিরা!
পোলট্রি
প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার ফার্মের মুরগি। একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে অভিযোগ সেখানকার খামারিদের। তারা অভিযোগ করেন সপ্তাহে কোনো না কোনো দিন রুটিন করে ৭/৮ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা, অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪২০টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার খামার রয়েছে প্রায় তিনশটি এবং লেয়ার খামার একশ বিশটি। এসব খামারের ওপর নির্ভরশীল অনেক খামারি বর্তমানে গরমের কারণে প্রতিদিনই খামারের মুরগি মারা যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকা, ঘন ঘন লোডশোডিং, বিদ্যুতের বিকল্প জেনারেটর না থাকাসহ পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকতে না পারাও হিটস্ট্রোকের কারণ।
আরো পড়ুন: বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় মারা গেল ৪‘শ মুরগি!
তারা মনে করে হিটস্ট্রোক কোনো রোগ না, এটা সচেতনতার অভাব। গরমের হাত থেকে যদি মুরগিকে রক্ষা করা যায় তাহলেই হয়তো হিটস্ট্রোক করে মুরগি মারা যাওয়া থেকে কিছুটা বাঁচা যাবে।
উপজেলার বাজনাব গ্রামের রাসেল পোলট্রি ফিডের মালিক রাসেল মিয়া বলেন, আমার ৬ হাজার লেয়ার মুরগি ও ১২ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকা এবং প্রচণ্ড গরমের কারণে ৩/৪ দিনে আমার শতাধিক লেয়ার মুরগি ও প্রায় ৫‘শ ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। ফলে লোকসান দিয়ে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। এজন্য আমি মনে করি মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দায়ী। তারা যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করত এবং লোডশেডিং না করত তাহলে হয়তো মুরগি মারা যেত না।
আরো পড়ুন: নওগাঁয় অজ্ঞাত রোগে ১২ হাজার মুরগির মৃত্যু,১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি!
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরীফ বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এমন স্থানে খামার তৈরি করতে হবে যাতে সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। তাহলে হয়তো হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা যাওয়ার হার কমবে বলে তিনি জানান।