২ হাজার দিয়ে শুরু করে ১০ হাজার মুরগির মালিক হাফেজ সোহেল
পোলট্রি
দু‘হাজার লেয়ার দিয়ে শরু করে এখন সাড়ে আট হাজার লেয়ার এবং তেরো‘শ ব্রয়লারের মালিক ভোলার লালমোহনের হাফেজ সোহেল। হাফেজী, ক্বওমী এবং ভোকেশনাল পড়া অবস্থায় স্বাবলম্বী হওয়া এবং পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার তাড়নায় শুরু করেন মুরগি এবং মাছের খামার। সময়ের স্রোতে আজ একজন সফল খামারি তিনি। এগ্রিভিউ২৪.কম এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে উঠে আসে সংগ্রামী জীবনের গল্প।
এক সময় এলাকায় নিয়মিত ক্রিকেট খেলায় ভালো নামডাক ছিল। বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে পুরো পরিবারের দ্বায়িত্ব চলে আসে তার কাঁধে। ফলে পরিবারের কথা চিন্তা করে এক বন্ধুর সাথে কিছু মাস মুরগির খামারে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুরু করেন খামার।
সোহেল জানান, ১০ লাখ টাকা চালান দিয়ে এবং ডিলারের কাছে ৯লাখ টাকা বকেয়া রেখে শুরু করেন খামার। তবে, তার সেই ব্যাচ শেষ হওয়ার আগেই শোধ করে দেন ডিলারের বকেয়া। তারপর ২০১৭ সালের প্রথম দিকের ১ম ব্যাচ এর লাভ দিয়ে পরে তিন হাজারের একটা পুরো সেট তিনি সম্পূর্ণ করেন। যেখানে তার লাভ হয়েছিলো প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত। এভাবেই চলতে থাকে হাফেজ সোহেলের খামার ব্যবসা ।
খামারে ভালো উৎপাদন, ডিমের দাম ভালো থাকা আর খামারে নিজেই কাজ করাতে ভালো লাভের মুখ দেখেছেন তিনি । লকডাউনের ভিতরে লাভ কিছুটা কম হলেও লস হয়নি বলে এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান হাফেজ সোহেল।
বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ ৫ বছর ধরে খামার করছি তবে ২০২১ সালটাতে এসে খুব একটু সুবিধা করতে পারছি না, বর্তমানে বাজারে ফিডের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা খামারিদের নাগালের বাইরে। যে হারে ফিডের দাম বাড়ছে সেই হারে বাড়ছে না বাজারে মুরগির দাম। এছাড়া ডিমের দামও খুব বেশি উঠানামা করে ফলে বেশি টাকা দিয়ে ফিড কিনে যদি চালানও না উঠে তবে সেখানে খামারিদের হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
তিনি বলেন, ফিডের সাথে সাথে বাজারে মুরগি এবং ডিমের দামও বাড়াতে হবে। একদিকে ফিডের দাম বাড়বে আর অন্যদিকে মুরগি আর ডিমের দাম কমবে এতে করে খামারিদের লস ই হবে। তবে, এই সেক্টরে দাম উঠা-নামা করলে এবং সঠিক পরিচর্যা আর নিয়ম মেনে খামার করতে পারলে লাভের অংকটাই বেশি বলে জানান সোহেল।