রাঙামাটির পাহাড়ে মসলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
কৃষি বিভাগ
দুর্গম ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাঙামাটিতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। ফলে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হন কৃষকেরা। এজন্য ওজনে হাল্কা, পরিবহণে সহজ মসলা চাষের প্রকল্প হাতে নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
আদি থেকেই জুম চাষের পাশাপাশি পাহাড়ের ঢালে চাষ করা হয় আদা, হলুদ। এসব চাষে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ভূমি ক্ষয় হচ্ছে, তেমনি ঝুঁকি বাড়ছে পাহাড়ধসের। আর উৎপাদিত পণ্যে প্রকৃত মুনাফাও পাচ্ছেন না কৃষকরা।
পাহাড়ি জমিতে তাই ভিন্ন এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ওজনে হালকা, আমদানিনির্ভর, অধিক মূল্যের কৃষিপণ্য মসলা চাষ থাকছে প্রকল্পের আওতায়। ২৬ হাজার একর জমিতে নির্বাচিত কৃষকের বাগানে শোভা পাচ্ছে আলুবোখারা, দারুচিনি, গোলমরিচ, তেজপাতার মতো বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্য উৎপাদন।
মসলা বাগান প্রতিদিনই দেখতে আসে আশপাশের অনেক কৃষক, এমন চাষাবাদে আগ্রহ হচ্ছেন তারাও। তবে মসলার ফলন পেতে তিন বছরের মতো দীর্ঘসময় লাগায় অন্যান্য ফসলও পাশাপাশি আবাদ করা হচ্ছ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মসলা চাষ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুর ইসলাম জানান, আমদানি নির্ভরতা কমাতে আলুবোখারা, দারুচিনি, গোলমরিচ, তেজপাতার মতো বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্য চাষ শুরু করা। তিনি আরও বলেন, এ মসলার ফলন ৩/৪ বছরের মধ্যে আসবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, ভূ-প্রকৃতি বিবেচনা করে অধিক মুনাফার জন্য এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এ প্রকল্পে ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৬শ কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।