যশোরের চৌগাছায় জলাবদ্ধতায় নষ্ট হচ্ছে খেতের ধান
কৃষি বিভাগ
তিন দিনের টানা বর্ষণ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে যশোরের চৌগাছায়। পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় তলিয়ে রয়েছে প্রায় ২০০ বিঘা পাকা আমন খেত। এতে বিপাকে পড়েছেন তিন শতাধিক কৃষক।
তারা জানায়, খেতের কেটে রাখা ধান ভাসছে পানিতে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হলে পাকা ধান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি যশোর-চৌগাছা সড়কের চূড়ামনকাঠি থেকে চৌগাছা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণ করা হয়। সংস্কার কাজ করার সময় পুরাতন ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্ট পুনর্নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সড়কের সিংহঝুলি ও কয়ারপাড়া গ্রামের মাঝে অবস্হিত টালিখোলা নামক স্থানের বুড়োর বিলের পানি বের হওয়ার কালভার্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে এসব জমিতে প্রায় তিন-চার ফুট পানি জমে গেছে।
সিংহঝুলি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গোলাম মোস্তফা, ইমরান খান, সাইফুল ইসলাম, পলাশ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলি, মফিজুর রহমানসহ অন্তত ৫০ জন কৃষক জানান, যুগ যুগ ধরে যে কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়, সেটি হঠাৎ করে কীভাবে বন্ধ করে দিল তা আমরা বুঝতে পারছি না।
তারা বলেন, গত আমন মৌসুমেও আমরা একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, এ বছরও একই অবস্থা। লস্করপুর গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী জানান, এই মাঠে আমার প্রায় ১২ বিঘা জমি রয়েছে। কালভার্টটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমার সমস্ত জমিগুলোতে দুই-তিন ফুট পানি জমে রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। কালভার্ট বন্ধ থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কালভার্ট থাকলে বন্ধ করার কথা নয়| বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।