ঠাকুরগাঁওয়ে খেজুরের গুড় তৈরীর ব্যস্ততা
কৃষি বিভাগ
শীতকালে খেজুরের রস আহরণ ও তা থেকে গুড় বানানোর দৃশ্য গ্রামবাংলার চিরচেনা রূপ। কুয়াশামাখা ভোরে এমনই সৌন্দর্যের দেখা মেলে, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের একটি আখের খামাড়ে গড়ে তোলা বিশাল খেজুর বাগানে। যেখানে অর্ধ সহস্রেরও বেশি খেজুর গাছ রয়েছে। কাকডাকা ভোরে গাছ থেকে রস সংগ্রহ আর গুড় তৈরি দেখার পাশাপাশি তা কিনতে ভীড় করেন অনেকে।
এক সময় গ্রামাঞ্চলে মেঠো পথের দুপাশে সারিবদ্ধ খেজুর গাছের দেখা মিলতো। কালের বির্বতনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার এই মধুবৃক্ষ। তবে, এখনও অনেক জায়গাতেই দেখা মেলে। আবার কোথাও কোথাও গড়ে তোলা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে খেজুর বাগান। ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মোহন আখের খামারে প্রায় ১০একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই বাগানে ছয়শ’রও বেশি খেজুর গাছ আছে।
সারি সারি খেজুর গাছের মনোরম এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন অনেকে। কুয়াশায় মোড়ানো শীতের সকালে সবুজের এই স্নিগ্ধ সমারোহ মুগ্ধ করবে যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীকে।
শীত মৌসুমে খেজুরের গাছে গাছে ঝুলছে রস সংগ্রহের হাঁড়ি। সারারাত এসব হাড়িতে জমে সুস্বাদু খেজুর রস। ভোরে সূর্য ওঠার আগেই সেসব হাঁড়ি গাছ থেকে নামানো হয়, এরপর জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় পাটালি গুড়।
গুড় তৈরির এই দৃশ্য দেখতে ভোর থেকেই দর্শনার্থীরা ভিড় করেন খেজুর বাগানে। অনেকে কিনে নিয়ে যান গুড়। আবার খেজুরের রসও কেনেন অনেকে।
চলতি মৌসুমে এই খেজুর বাগান লিজ নিয়ে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি করছেন রাজশাহীর একদল গাছি। এখানকার সংগ্রহ করা রস দিয়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কেজি গুড় উৎপাদিত হয়।