হাওরাঞ্চলে বোরোর সবুজ মাঠে কৃষকের হাসি
কৃষি বিভাগ
আবহাওয়া ভালো থাকায় সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা সহ হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদে বোরো ধানের চারা এবার ভালো হয়েছে। গত ৫/৭ দিন যাবত শাল্লায় পুরোদমে বোরো চারা রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকরা এবার কৃষিবিদ, হীরা, নাফকো, জনক রাজ, বিআর-২৮ বিআর-২৯, রূপালী, জাতের ধানের আবাদ করেছেন বেশি। কোন কোন কৃষক নিজের পরিবারের খাবার ও আত্মীয় স্বজনকে খাওয়ানোর সুস্বাদু চাল পেতে পুরোনো দিনের ধান গোবি সাইল, টুপা, লালডিঙ্গি, রাতা ধানের চাষও সামান্য পরিমাণে করছেন।
শাল্লার রামপুর গ্রামের কৃষক কৃপেশ দাস বললেন, হালিচারার বীজতলায় গেলে মন জুড়িয়ে যায়, এবার সুন্দর চারা হয়েছে, অন্যান্য বছর চারা লম্বা কম হতো, সার দেওয়া লাগতো, পোকায় ধরতো; এবার এই ধরণের যন্ত্রণা নাই, সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় সেচের সংকট হয় নি, অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে বীজতলায় বীজ বপণ করা হয়েছিল। এখন চারা রোপণের উপযোগী হওয়ায় দুইদিন হয় রোপণ শুরু করেছি । তিনি জানালেন, বৃষ্টি হওয়ায় মাটি নরম রয়েছে, এজন্য চারা ওঠাতে কিছু সমস্যা হচ্ছে তার পর ও আমরা খুশি।
মামুদনগর গ্রামের বড় কৃষক হাবিবুর রহমান হবিব বললেন, গত ৬ দিন ধরে চারা ওঠানো শুরু করেছি। এবার বেশি ফলনের ধানের সঙ্গে তিন কেয়ার (এক একর) পূর্বের রাতা ধানও করছি। এই ধান একরে ৩০-৩২ মণের বেশি হয় না।তবে এ ধানের চালের ভাত খুবই স্বাদ হয়।
বাড়িতে অতিথি আসলে বা আচার অনুষ্ঠান হলে এই চাল রান্না করা হয়। তিনি জানান, পৌষ মাস ভরা ধান রোপণের কাজ চলবে।
গ্রাম শাল্লার কৃষক সেলিম মিয়া বললেন, সময়মতো বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের চারা ভালো হয়েছে। চারা রোপণ শুরু হয়েছে, চলবে মাঘ মাস পর্যন্ত। প্রকৃতি সহায় হলে এবার খুব ভাল ফলন হবে বলে তিনি জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান বললেন, গেল বছরের চাইতে এবার ধানের চারা ভালো হয়েছে। রোপণের কাজও আগে ভাগে শুরু হয়েছে। এবার জেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো’র চাষাবাদ হবে।