বগুড়ায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা
মৎস্য
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মেলা এটি। বহু বছর আগে সেখানে সন্ন্যাসী পূজা হতো। তখন মেলাটির নাম ছিল সন্ন্যাসী মেলা। স্থানটির নাম ছিল পোড়াদহ। কালের বিবর্তনে লোকমুখে মেলাটি পোড়াদহ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষের একসময়ে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ির অদূরে বসে এ মেলা।
দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসে মানুষ। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন আসে। বিশেষ করে আসে মেয়ে-জামাইয়েরা। জামাইয়েরা মেলা থেকে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান, এ রেওয়াজ আজও চালু আছে।
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ার গাবতলীতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। প্রশাসন বলছে, মেলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪০০ বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা করছেন।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নারী, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ মেলায় এসেছেন। মেলায় আগত অধিকাংশ দর্শনার্থীকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনতে দেখা গেছে।
মেলায় আসা নওয়াব আলী জানান, মেলাকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাছের বাজার।তিনি ১৮ কেজি ওজনের একটি কাতল কিনছেন ১৩,৫০০ টাকা দিয়ে।
মেলায় ঘুরতে আসা আরাফাত জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো তিনি মেলা দেখতে এসেছেন, কিনছেন বড় মাছ মিষ্টি।
মাছ ব্যবসায়ী সেলিম ভূইয়া জানান, এবার তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ নিয়ে আসেন।বেচা-বিক্রী ভালো।এখন পর্যন্ত ২ লাখের মত মাছ বিক্রয় করতে পেরেছেন।
মিষ্টি ব্যবসায়ী আব্দুল বারী,জানান, তার কাছে মাছ আকৃতি, পাতা আকৃতিসহ বিভিন্ন আকৃতির সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের মিষ্টি রয়েছে। মাছ আকৃতির মিষ্টির ওজন ১০ কেজি। তার দাম ৪৫০ টাকা। প্রতি বছর মেলায় তিনি মিষ্টি দোকান বসান। মেলার আগের দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত মিষ্টি বিক্রি হয়। এখন পর্যন্ত তিনি ৩ লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি করেছেন।