চাঁদপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় পানের বরোজ ক্ষতিগ্রস্ত
কৃষি বিভাগ
চাঁদপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পানের বরোজ। পানের বরোজ হলুদ হওযায় পান পাতা লতা থেকে ঝড়ে পড়ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাজার হাজার পান চাষি।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানে মহানলী, চালতা বোটা ও নলডোগ এই তিন জাতের পান চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার মহজমপুর, আলগী উত্তর, আলগী দক্ষিণ ও চরভৈরবীসহ বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি পান চাষ করা হয়। এখানকার উৎপাদিত পান চাঁদপুর ছাড়াও ফেনী, নোয়াখালী, শরীয়তপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
তবে মাঘের শীত ও কুয়াশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পান। হলদেটে ও ঝড়ে পড়া এসব পানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে কৃষক। কৃষকরা জানান, কুয়াাশার কারণে পান পেকে যায় এবং ঝড়ে পড়ে। বাজারে বিক্রি করতে গেলেও আশানুরূপ দাম পাওয়া যায়না।
পানচাষি আলম জানান, তীব্র শীত যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে তারা বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন।
কৃষি বিভাগের সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন কৃষকরা। সংকট মোকাবেলায় সরকারিভাবে সহায়তার পাশাপাশি কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতা চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জনবল সংকট ও সরকারিভাবে পর্যাপ্ত কার্যক্রম না থাকায় কাজ কিছুটা ব্যহত হচ্ছে বলে স্বীকার করেছে জেলা কৃষি বিভাগ।
জেলার হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, সরকারকে বারবার বলা হচ্ছে যেন এখানে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। পান চাষিদের যে ক্ষতি হচ্ছে এ থেকে উত্তরণের জন্য তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় প্রায় ২৩৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। এর মধ্যে হাইমচর উপজেলার ২২০ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। এখানে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পান কেনা-বেচা হয়ে থাকে।