পটুয়াখালীতে কম খরচে আলু চাষে সফলতা
কৃষি বিভাগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিনা চাষেই আলুর আবাদ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। নরম ও কাদা মাটিতে কোন ধরনের চাষ না দিয়ে মাটির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে আলু রোপণ করে পরিত্যক্ত খড়কোটা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কম খরচে, কম সার ও পানি ব্যবহার করে অল্প দিনের মধ্যে আলুর ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। কম খরচে ভালো ফলন পাওয়ায় এই পদ্ধতিতে আলু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষে কৃষকদের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপকূলীয় অঞ্চলে আমন ধান কাটার পর বিস্তীর্ণ জমি পতিত থাকে। পটুয়াখালীতে প্রথমবারের মতো বিনা চাষে আলুর উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা।লবণাক্ত জমিতে কম খরচ, কম সার ও কম সেচ ব্যবহারে বেশি ফসল পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই পদ্ধতি। কৃষকদের এ বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
কৃষকরা জানান, এবার আমন ধান কাটার সাথে সাথে, নরম ও কাদা মাটিতে কোন ধরনের জমি প্রস্তুত না করেই আলুর বীজ বপন করা হয়। পরে, পরিত্যক্ত খড়কুটা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় আলুর ক্ষেত। এ পদ্ধতিতে কম সার-পানি ব্যবহার করে আড়াই মাসেই আলুর ভালো ফলন পাওয়া যায়।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম বলেন, যেহেতু দক্ষিণাঞ্চলে আমন ধান কিছুটা বিলম্বে কাটা হয় এবং পরবর্তী সময় জমি চাষ দেওয়াসহ প্রস্তুত করার সময় থাকে না, সে কারণে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই আলু চাষ বাড়ানো সম্ভব।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি আলু-৭২ এবং ৭৮ জাত দুটি প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করেও ভালো ফলন দিতে পারে। এ কারণে লবণ ও তাপসহনশীল এই আলু চাষে কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।