নাটোরের চলনবিলে শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় কৃষক
কৃষি বিভাগ
শস্যভাণ্ডারখ্যাত নাটোরে এবার বোরো ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে চলনবিলের চাষিরা। নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় শ্রমিক সংকটে পড়েছেন চাষিরা।
চলতি বোরো মৌসুমে নাটোরের চলনবিলে কয়েক দফা ঝড় আর বৃষ্টিতে মাঠের বেশিভাগ পাঁকা ধান এখন পানির নিচে। অন্যদিকে, শ্রমিকের মজুরিও গুণতে হচ্ছে গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। জনপ্রতি ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা মজুরিতেও পর্যাপ্ত ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিক পাওয়া না গেলে অনেক নিচু অঞ্চলের ধান বৃষ্টিতে নষ্ট হবার আশঙ্কা করছেন তারা। বৃষ্টির কারণে অনেকে আধা পাকা ধান কেটে ঘরে তুুুুলছেন।
অন্যদিকে, ঘূণিঝড় অশনির কারণে গত কয়েকদিন ধরে নাটোরের বিভিন্ন উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে জমির ধান নিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।
সুকাশ ইউনিয়নের বনকুড়ইল গ্রামের আফসার আলী বলেন, অনেক কষ্টে দৈনিক ১১’শ টাকা চুক্তিতে ধান কাটার কাজের জন্য শ্রমিক পেয়েছি। এবছর ধান চাষে এ খরচ অনেক বেশি গেছে।
সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের চৌগ্রামের কৃষক ইদ্রিস মোল্লা বলেন, ৫০ বিঘা জমিতে ধান করছি। ৩ হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে শ্রমিক দিয়ে জমির ধান কাটাইছি। এত খরচ হইলে কিভাবে সংসার চলব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, নাটোর জেলায় প্রায় ৭০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন চলছে মাড়াই ও ধান সংগ্রহের কাজ। কিছুদিনের মধ্যই বাকী জমির ধান কাটা শেষ হবে।