নাগেশ্বরীতে বন্যায় ক্ষতিতে ৩১৬ মাছচাষি
মৎস্য
নাগেশ্বরীতে বন্যায় একাকার হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, নদীনালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশয়। এর ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ জলরাশি। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পুকুর ও জলাশয় ডুবে বেরিয়ে গেছে মাছ। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার মাছচাষিরা।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এবারের বন্যায় বেরিয়ে গেছে ৩২৫টি পুকুর ও ৩১ দশমিক ৩৩ হেক্টর জলাশয়ের ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার মাছ। এতে ক্ষতিতে পড়েছে ৩১৬ মাছচাষি।
মাছচাষি পদ্ম কুমার দাস জানান, তিনি এবার একটি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার ঋণের টাকায় নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারীতে দুই বিঘা জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে ৪০ হাজার টাকার পোনা ছেড়েছেন। কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এ থেকে সব খরচ বাদে তার আয় হতো প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা। সে আশা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যা। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে পাড়সহ পুকুর। পুকুরে অবশিষ্ট নেই কোনো মাছ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিতে অবশিষ্ট মাছ রক্ষায় পুকুরে খৈল ও ফিডের সঙ্গে স্পা তেল মিশিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। যাতে খাবারের লোভে বাইরে থেকেও মাছ প্রবেশ করে এবং পুকুরের মাছ পুকুরেই থেকে যায়।