খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় কচুর মুখি চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা
কৃষি বিভাগ
উৎপাদন খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় যশোরের চৌগাছায় বাড়ছে কচুর মুখির চাষ। কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই মুখি চাষ করা যায়। কম খরচে অধিক ফলন করা যায় বলে চাষিরা কচুর মুখি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি ফজলুর রহমান বলেন, ১ বিঘা জমিতে লিজ, সার, কীটণাশক সহ ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। যাতে প্রায় ৫০-৬০ মণ কচুর মুখি উৎপাদন হয়। ৫০-৬০ মণ কচুর মুখির বর্তমান বাজার মূ্ল্য ১ লাখ টাকার বেশি।
চাষিরা জানায়, ধান চাষ করলে বছরে দুটি ফসল হয়। আর ধান চাষে খরচও বেশি। কচুর মুখি চাষ করলে এক জমিতে ৩ বার ফসল উৎপাদন সম্ভব। এতে লাভও বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবছর ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে কচুর মুখি চাষ হয়েছে। ন্যায্য দাম পেলে কচুর মুখি চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তারা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাঁদ আলী বলেন, ধান চাষে লাভ কম কিন্তু ঝুঁকি বেশি। তাই চাষিরা কচুর মুখি চাষে বেশি আগ্রহী। ইরি-বোরো ও আগাম মুখি একই সময়ে চাষ হয়ে থাকে। জানুয়ারিতে কচুর কন্দ জমিতে রোপনের পর মে মাসের শুরুতেই তা বাজারজাত করা যায়। তাই ইরি ধানের চাষ কমিয়ে চাষিদের কচুর মুখি চাষের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, কচুর মুখি কোনো রকম রাসায়নিক সার ছাড়া শুধু জৈব সার(গোবর) দিয়েই চাষ করা যায়। এতে কম সময়ে কম ঝুঁকিতে কচুর মুখি উৎপাদন করা সম্ভব। তাই চাষিরা কচুর মুখি চাষে ঝুঁকছেন।