ভুট্টা চাষে টিকে আছে চরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ
তিস্তা নদীর চরজুড়ে চিকচিকে বালুর সাথে পলিমাটির বন্ধুত্ব। এসব ভূমিতে বেড়ে ওঠা ঘাস আধিপত্য বিস্তার করতো। তাদের শেষ পরিণতি হতো গরু-ছাগলের আহার হিসেবে। তবে এ চিত্র এখন আর নেই। শত-শত বিঘা পলিমাটিতে চাষ হচ্ছে দানাদার ভুট্টা ফসল। ভুট্টায় ছেয়ে গেছে বালুময় চর।
এক সময় তিস্তার মাছই ছিল চরের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। মাছ ছাড়া জীবিকার তেমন কোনো পথ ছিল না তাদের। মাছ ধরার পাশাপাশি কেউ কেউ ধান আবাদ করে সংসারের চাহিদা মেটাত। এখন সেই চরের জমি আর পতিত নেই। পাল্টে গেছে চরের দৃশ্যপট। চরে এখন ভুট্টার ফলন হচ্ছে বাম্পার। তিস্তার বালুচরে ভুট্টা চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে কৃষকদর। তাই চরের চাষিরা ঝুঁকেছেন ভুট্টা চাষে।
ডিমলা উপজেলার চর খড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, এ বছর ১০বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন ও দাম পাবো। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ভুট্টার চাষ শুরু হয়। আর ফসল ঘরে তোলা হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি।
এই চাষি বলেন, ভুট্টা চাষে তেমন খরচ না থাকলেও রয়েছে আশানুরূপ লাভ। এখন ভুট্টা চাষে কৃষকেরা মনোযোগী হচ্ছেন। আমরা ভুট্টা চাষে আশানুরূপ ফলন পেয়ে লাভবান হব বলে আশা করছি।