মানিকগঞ্জে বাড়ছে দেশীয় মাছ,কমছে দাম!
মৎস্য
শীত উপেক্ষা করে সরগরম হয়ে উঠেছে মানিকগঞ্জের তরাঘাটের দেশীয় মৎস্য আড়ত। নদী, খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করায় প্রচুর পরিমানে দেশি মাছ ধরা পড়ছে। আর আড়তে দেশি মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের তরাঘাটের এই দেশীয় মৎস্য আড়ত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। নদী, খাল-বিলের পানি কমে যাওয়া জেলেরা প্রচুর পরিমানে দেশি মাছ ধরতে পারছেন। কনকনে শীতের মধ্যেই ভোর বেলায় পাইকার ও জেলেদের বেচাকেনায় বাজার জমে উঠে। আড়তে দেশি মাছের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে দেশি মাছের দাম। আড়তে মাছের দাম কম থাকায় জেলেরা হতাশ। তবে পাইকারি দাম কমলেও এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েনি। খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা যায়, আড়তে দেশিও কই, বোয়াল, শোল, শিং, আইড়, টেংরা, বাইম মাছে ভরে উঠেছে। মাছের সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি প্রতি মাছের দাম ১০-২০ টাকা কমেছে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে মাছ কিনতে আসছেন।
ব্যবসায়ীরা জানা, টাটকা ও সুস্বাদু দেশীয় মাছ কিনে দূর-দূরান্তে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছি।
তরাঘাটের মৎস্য আড়তে কই ৫০০-৫৫০ টাকা, শোল ৩৭০-৪০০ টাকা, পুঁটি ৮০-১২০ টাকা, মলা ৯০-১১০ টাকা, কাতল ১৮০-১৯০ টাকা, পাবদা ২৪০-২৫০ টাকা, ইলিশ ছোট ৩০০-৪০০ টাকা, ১ কেজির ইলিশ ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৮০০-১১০০ টাকা, গোলশা ৫৮০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, রয়না ৩৫০-৪০০ টাকা, টেংরা ৩২০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আড়তের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, জেলার ২০০ বছরের পুরোনো কালীগঙ্গা নদীপাড়ের তরা মৎস্য আড়তে সহস্রাধিক পাইকার ও অর্ধশতাধিক আড়তদারের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি টাকার দেশীয় মাছ বেচাকেনা হয় বলে জানান তিনি।