পিরোজপুরে আমন চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম
কৃষি বিভাগ
পিরোজপুর জেলায় এবার আমন চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। চলতি বছরে আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯ শত ৩১ মেঃ টন নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫ শত ০৭ মেঃ টন যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৫৭৬ মেঃ টন বেশি।
পিরোজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে ২০২৩-২৪ খরিপ- ২ মৌসুমে হাইব্রীড, উফশী, স্থানীয় রোপা, স্থানীয় বোনা আমন মিলিয়ে ৬৫ হাজার ৬শত ১৪ হেক্টরে চূড়ান্ত চাষ হয়। ধান কর্তন এবং মাড়াই শেষে হাইব্রীড ৬৪৩ হেক্টরে চাল উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩শত ৬৮ মে: টন। অনুরূপভাবে ১৩ হাজার ৩শত ১৩ হেক্টরে উফশী চাষ করে চাল পাওয়া গেছে ৩৭ হাজার ২০৩ মে: টন। স্থানীয় জাতের আমন ৪৯ হাজার ৮০৩ হেক্টরে চাষ করে চাল উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৬১৭ মে:টন। রোপা এবং বোনা আমন ১৮৫৫ হেক্টরে চাষ করে চাল পাওয়া গেছে ২ হাজার ৩১৯ মে:টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম সিকদার বাসসকে জানান কৃষি উপকরণ কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে যাওয়ায় এবং সহজলভ্য হওয়ায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপদেশ অনুযায়ী কৃষকরা ব্যবস্থা নেওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন মাঠে-মাঠে ঘুরে পাতামোড়ানো এবং পামরী পোকার দমনে আলোক ফাঁদ এবং পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী চাষীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সহজেই পোকা দমন ও বিস্তার রোধ সম্ভব হয়। এছাড়া বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় কৃষিতে শতভাগের কাছাকাছি যান্ত্রিকীকরণ হওয়ার ফলে কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরাও পূর্বের চেয়ে কৃষি কাজে উৎসাহিত হচ্ছে।