মুরগিকে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচানোর উপায়…
পোলট্রি
বর্তমান সময়ে মুরগি পালনে খামারীরা বেশ হিমসিম খাচ্ছেন । বিশেষ করে দিনের বেলা তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে প্রায় ৩৮-৪১ ডিগ্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য পোলট্রি খামারিরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। প্রায় দেখা যায় যে ব্রয়লার এ ২৫-৩০ দিন বয়সে বা লেয়ার মুরগি দুপুর বেলায় খুব হাপাতে থাকে, হঠাৎ করে লাফ দিয়ে উঠে মারা যায়। খামারিরা এটাকে হিট স্ট্রোক নামেই জানেন।
এরকম আবহাওয়ায় খুব কম সময়ের ব্যবধানে একটি ১০০০ সেডে ২০০-৩০০ মুরগি মারা যাওয়ার অনেক রেকর্ড আছে। এ অবস্থায় পোল্ট্রি খামারীরা
বিটেইন, স্যালাইন, ভিটামিন সি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় এসব প্রয়োগ করেও মৃত্যু হার কমানো সম্ভব হয় না। ফলে খামারীদের আর্থিক অপচয় ঘটে থাকে।
তবে কিছু আধুনিক টেকনোলজি আছে যা প্রয়োগ করে খামারে অতিরিক্ত গরমে মৃত্যু হারের পরিমান কমানোর পাশাপাশি বাড়তি খরচ ৮০-৯০% কমানো সম্ভব।
আসুন অত্যন্ত সহজ এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানি
১. পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এর ব্যবস্থা করতে হবে।
২. লিটারে গ্যাস রাখা যাবে না ( গ্যাস হলে স্টান ফ্যান এর ব্যবস্থা করুন )
৩. লিটার তুলনা মুলক কম দিবেন ।
৪. পরিমানের চেয়ে ঘরে মুরগি কম রাখুন।
৫. পানিতে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
৬. মুরগীর গায়ে পানি স্প্রে করে দিতে পারেন।
৭. অল্প সময় পরপর পানি পরিবর্তন করুন।
৮. টিনের চালে পাটের চট দিয়ে পানি স্প্রে করুন।
৯. শেডের উপর ভিজা চট দিয়ে রাখলে এবং শেড এ সিলিং ফ্যান থাকলে শেড তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।
১০. সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।
সচেতনতায়: বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন