আরবের সাম্মাম চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আজিজ
কৃষি বিভাগ
মরু অঞ্চলের ফসল হিসেবে পরিচিত সাম্মাম চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ।
সরেজমিন সাম্মামের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, অধিক পুষ্টি গুণাগুন সমৃদ্ধ মরু অঞ্চলের ফসল সাম্মামের জমিতে শেষ সময়ের পরিচর্যা চলছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে ওই ফসল বিক্রি করার উপযুক্ত হবে বলে জানান, কৃষক আব্দুল আজিজ।
বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও স্থানীয়ভাবে এ ফসলের সঙ্গে কেউ পরিচিত নন। তাই ঢাকা থেকে আসা এক পার্টির নিকট এগুলো বিক্রি করা হবে।
স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’ জাকস ফউন্ডেশনের’ কারিগরি সহায়তায় ৩৩ শতাংশ জমিতে এ প্রথম সাম্মাম চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল আজিজ। ইংরেজিতে ’রক মেলন’ বলা হলেও একেক দেশে একেক নামে পরিচিত। বিশেষ করে মরু অঞ্চলের দেশগুলোতে এটি বেশি চাষ হয়ে থাকে।
রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানিভিউ মেলন, গালিয়া মেলন ও পার্সিয়ান মেলন নামে পরিচিত। সৌদি আরবে একে আরবীতে বলা হয় ’সাম্মাম’। দেখতে অনেকটা বেবী তরমুজের মতো তবে রং সাদাটে । খেতে তরমুজের মতো সুস্বাদু। ভেতরে অনেকটা দেশীয় বাঙ্গির মতো। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। ৩৩ শতাংশ জমিতে ১২‘শ বীজ রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে ২ টি সাম্মাম ধরলে ২৪‘শ পিস সাম্মাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান, কৃষক আব্দুল আজিজ।
চাষ পদ্ধতিও তরমুজের মতো। মালচিং, মাচা তৈরি, সার- বীজ, সেচ ,লেবার খরচ সহ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রায় এক লাখ টাকার সাম্মাম বিক্রি হবে বলে আশা করেন চাষি আব্দুল আজিজ।
রক মেলন বা সাম্মামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ভিটামিন। সাম্মামে শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় মানবদেহে পুষ্টির চাহিদা পূরণসহ শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি। জেলার ভাদসার গোপালপুর ও আক্কেলপুরের ভুতগাড়ি এলাকায় প্রায় ২ হেক্টর জমিতে এবার রক মেলন বা সাম্মাম চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। জয়পুরহাটের মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী এখানে বাণিজ্যিক ভাবে সাম্মাম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান, স ম মেফতাহুল বারি।-বাসস।