হুমকির মুখে নোয়াখালীর পোল্ট্রি শিল্প, বন্ধ হয়েছে ১৩‘শ খামার!
পোলট্রি
গরিবের আমিষের জোগান দেয় পোল্ট্রি শিল্প। দেশের মাংসের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগই আসে এই পোল্ট্রি খামার থেকে। কিন্তু গত পাঁচ-ছয় মাসে নোয়াখালীতে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত এক হাজার ৩০০ মুরগির খামার। আর এতে ক্ষতি হয়েছে মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকা। তাছাড়া রোগবালাই এবং মুরগির বাচ্চা, খাদ্য-ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে সেখানকার পোল্ট্রি শিল্প।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা জানান, আগে মুরগির লালন করতাম ২৫ হাজার; এখন করছি ২০০০-৩০০০ হাজার। খাবারের দাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন রোগের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত।
খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, একটি সিন্ডিকেট পূর্বঘোষণা ছাড়াই মুরগির বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। সরকারি কোনো সংস্থার তদারকি না থাকায় এই সিন্ডিকেট কয়েক মাস পরপর এসব করে যাচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা পোল্ট্রি খামার মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, একটা নীতিমালা হওয়া উচিত। খাবারের দাম, বাচ্চার দাম ও বিক্রির দামও নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।
খামার বন্ধ হওয়ার পরও, প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় কেউ কেউ আবার নতুন করে শুরু করেছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম আকন্দ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের তালিকা করা হচ্ছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে খামারিদের প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।