কেঁচো সারের খামার পরিদর্শনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ
প্রাণিসম্পদ
ফরিদপুরের তানিয়া পারভীন কেঁচো সার উৎপাদন করে এখন স্বাবলম্বী। আর এই সার উৎপাদনে যৌথভাবে কাজ করছেন জেলা প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ। উদ্যোগতা তানিয়া পারভীনকে প্রশিক্ষণ, পরমর্শ ও উৎপাদিত সার বাজারজাত করারও ব্যবস্থা করছেন তারা।
জেলা প্রণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ্ মো. আহসান তানিয়া পারভীনের সারের প্রজেক্ট পরিদর্শণ করেন। এ সময় উৎপাদিত সারের গুনগত মান ঠিক রাখা ও সার বাজার জাতের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।
এছাড়াও জেলা প্রাণি সম্পদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সার উৎপাদন ও বাজারজাত করা বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানিয়া আহমেদ।
জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ্ মো. আহসান বলেন, তানিয়া বেগমের উৎপাদিত সারের গুনগত মান অনেক ভালো। আমরা তার এই খামারের পরিধি বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবো। ্এই ধরনের উদ্যোগতাদের পামে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সবসময় পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, তানিয়া পারভীন ফরিদপুর পৌরসভার শোভাররামপুর মহল্লার বাসিন্দা। তার উৎপাদিত সারের গুণগত মান ভালো হওয়ায়, স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা পুরণ করে, এখন দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের চাহিদা পুরন করছে। জেলার বাইরে সার যাচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাককে ট্রাক সার যাচ্ছে প্রতিদিন। প্রতি মাসে উৎপাদন করছেন ৩ থেকে ৪টন সার। সার বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। সার উৎপাদন করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। তার খামারে কাজ করে তিন জন নারীও ভালো আছেন।
তানিয়া একাই স্বাবলম্বী হননি, অনেক নারীকেও করেছেন স্বাবলম্বী। তানিয়ার সাফল্য দেখে, অন্য নারীরাও তানিয়ার থেকে পরমর্শ নিয়ে গড়ে তুলেছেন কেঁচো সারের খামার। তারাও এখন তানিয়ার মতো সার উৎপাদন করছেন এবং বিক্রয় করে স্বামী সংসার নিয়ে ভালোই আছেন।