বশেমুরকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও একুশ শতকে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প শীর্ষক সেমিনার
ক্যাম্পাস
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে গতকাল শতাধিক শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সুধীজন অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে একুশে পদক বিজয়ী দেশের শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ এবং পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সদস্য (সিনিয়র সচিব), সাধারন অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন,
বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন এবং একুশ শতকে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপকল্প এবং এর বাস্তবায়ন কৌশল অত্যন্ত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন।
অধ্যাপক শামসুল আলম সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষি এবং অর্থনীতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু প্রণীত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নেব মাধ্যমে যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি দেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সঠিক ইতিহাস তথ্য ও উপাত্তের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রণীত দীর্ঘমেয়াদী সকল পরিকল্পনা প্রণয়ন (ব-দ্বীপ পরিকল্পনাসহ) এদের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরন এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বাস্তবতা তুলে ধরেন। তিনি ২০৪১ সালে বাংলাদেশ কীভাবে অর্থনীতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হবে এর বিশদ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। সরকার গৃহীত দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নে গবেষণা, দক্ষ জনশক্তি এবং উচ্চ মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ তিনি করেন। তিনি কৃষিতে উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা এবং গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য এবং শিশু ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের গৌরবগাঁথা বর্ণনা করে তার কৃতিত্বের জন্য কৃষিবিদ এবং কৃষকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রণীত কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুসৃত নানা রকম কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ফলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি কৃষি উন্নয়নে নারীদের বিশেষ অবদানও তুলে ধরেন।
সেমিনারটিতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া ক্রমসংকুচিত কৃষি জমির প্রক্ষিতে ভার্টিকেল কৃষির প্রবর্তন এবং ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি যেমন জিনোমিক্স, ফেনোমিক্স, জিন এডিটিং প্রযুক্তির ব্যবহারে জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারুপ করেন।
বশেমুরকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারটিতে মূল প্রবন্ধের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত করেন সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।
অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত জীবপ্রযুক্তি এবং জিন প্রকৌশল ইনস্টিটিউট জিন এডিটিং, ন্যানোটেকনোলজি এবং জিন স্থানান্তরের মাধ্যমে গমের মারাত্মক ব্লাস্ট রোগ দমনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। অনলাইন সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আরিফুর রহমান খাঁন।