৩:৪৬ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটিতে পবিপ্রবির দুই মুখ
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১ ৪:০১ অপরাহ্ন
ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটিতে পবিপ্রবির দুই মুখ
ক্যাম্পাস

ফামিন জাহান ঐশী,পবিপ্রবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১/২২। কমিটিতে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর সাথে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পর্ব শেষে গুরুত্বপূর্ণ দুই পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন পবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী উম্মে সাঈদা এবং সুজিত মন্ডল।

উম্মে সাঈদা বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউট্রিশন এন্ড ফুড সাইন্স অনুষদে ৪র্থ বর্ষে এবং সুজিত মন্ডল কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। তারা যথাক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের ইয়াসের সাথে পথচলা, স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও নানা গল্পই জানবো আজ।

‌নব্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স উম্মে সাঈদা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে। সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী সংগঠন ইয়াসের সাথে পথচলা কীভাবে শুরু হলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শুরুটা ছিলো ২০১৯ সালের মে মাসে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ লোকাল কমিটির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। প্রায় দুবছরের বেশি সময় ধরে ইয়াসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছি।

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যটা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণের শুরু থেকেই। সেক্ষেত্রে অন্যতম বড় একটি মাধ্যম হিসেবে ইয়াস বাংলাদেশ আমাকে সর্বদা সহায়তা করে চলেছে। ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিউ লোকাল কমিটিতে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং এর পরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকেই ইয়াস বাংলাদেশ ‘র মত জাতীয় পর্যায়ের এমন বড় একটি প্ল্যাটফর্মে কাজের মাধ্যমে নিজে মেধা ও বিকাশকে আরো প্রস্ফুটিত করার ইচ্ছেটা ছিলো অনেকদিনের। রিক্রুটমেন্টের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত পদ ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ফিন্যান্সে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।“

তার আগামী দিনগুলোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ ‘র সাথে বিগত এক বছর আমি সেক্রেটারি অফ প্রমোশন হিসেবে কাজ করেছি। এবার সুযোগ হয়েছে আর্থিক স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে এবং বিজ্ঞানী থেকে তৃণমূলের মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইয়াস বাংলাদেশকে বিশ্ব ইয়াসে অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার এবং এই স্বপ্ন নিয়েই আমি মূলত এগোতে চাই। আশা করি সকলের প্রচেষ্টা এবং সংঘবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারব। কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে কাজের ক্ষেত্রে ইয়াস অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।“

নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন সুজিত মন্ডল বলেন, “সম্ভবত ২য় সেমিস্টারের শুরুর দিকের কথা, আমাদের ক্যাম্পাসে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ ক্যারিয়ার টক নামে একটি প্রোগ্রাম হয় যেখানে আমি পার্টিসিপেন্ট হিসেবে ছিলাম। আবিদুর রহমান আবিদ, সোহানুর সোহান, আব্দুল্লাহ মারুফ, প্লাবন সাহা, ফারহান সাদ এবং আরো অনেক পরিচিত প্রিয়মুখ ছিলেন যারা তখন ইয়াসের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

প্রোগ্রামে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সিনিয়রদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখে আমার ইয়াসের প্রতি একটা দূর্বলতা তৈরি হয়। আমি ঠিক করি যেভাবেই হোক আমাকে এই সংগঠনের মেম্বার হতেই হবে।“

এর পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাজ করার আগ্রহ দেখে সোহানুর সোহান ভাই পরবর্তী প্রোগ্রাম ক্যারিয়ার টক ২ (পিএসটিইউ টু বিসিএস)-এ আমাকে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেন। সেই থেকে ইয়াসের সাথে পথচলা শুরু। আর পেছনে তাকাতে হয়নি, আমার কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে ক্যাম্পাস কমিটির ডিরেক্টর আবিদুর রহমান আবিদ ভাই আমাকে এগ্রিকালচারাল ডিপ্লোমেটিক সিম্পোজিয়াম প্রোগ্রামের অরগানাইজিং কমিটিতে যুক্ত করেন। তারপর একদিন ভাইভা দিয়ে ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ এর অফিশিয়াল মেম্বার হলাম। সবগুলো প্রোগ্রামে অরগানাইজিং কমিটি মেম্বার হিসেবে এক্টিভলি কাজ করতে লাগলাম। হঠাৎ করে করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে কয়েক মাস পর অনলাইনের মাধ্যমেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো। সেখানে আমি ইয়াস বাংলাদেশ পিএসটিইউ এর সেক্রেটারি অফ এডমিনিস্ট্রেশন এর দায়িত্ব পেলাম। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর উৎসাহ আরও বেড়ে গেলো। অনলাইনেই বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে লাগলাম।“

ইয়াসের সাথে কাজ করাকালীন কি ধরনের সুবিধা-অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এর মধ্যে আমার ক্যাম্পাসের ইমিডিয়েট সিনিয়র প্লাবন সাহা দাদা ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২০-২১ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন এর দায়িত্ব পেলেন। তারপর প্রতিনিয়ত দাদাকে বিরক্ত করতাম, এটা কি, ওটা কিভাবে করবো এসব নিয়ে। কিছুদিন পর তিনি আমাকে তার অধীনে ন্যাশনাল কমিটির কোয়ালিটি বোর্ডে কাজ করার প্রস্তাব দিলেন। আমি ২য় বার না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। সেখান থেকে ন্যাশনাল কমিটির সাথে যাত্রা শুরু। প্লাবন দাদার সহযোগিতায় এবং নির্দেশনায় অনেক কিছু শিখেছি। গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী হওয়ার সুবাদে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত কৃষিকল্প ২য় ইস্যুতে ও ৩য় ইস্যুর এডিটোরিয়াল টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করি।

একই সাথে ন্যাশনাল এবং লোকাল কমিটির সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে রইলাম আর নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে লাগলাম। বিগত এক মাস ছিলো আমার জন্য ইয়াস জার্নির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও স্বপ্নের মতো একটি অধ্যায়। একদিকে ন্যাশনাল কংগ্রেসের দায়িত্ব পালন করা আবার অন্যদিকে ইবি-সিবি ২০২১-২২ অর্থাৎ নতুন ন্যাশনাল কমিটির রিক্রুইটমেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। এখানেও প্লাবন সাহা দাদার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তার দিকনির্দেশনা না পেলে হয়তো আমি নতুন কমিটিতে এপ্লিকেশন করার সাহসই পেতাম না। শেষমেশ সাহস সঞ্চয় করে ন্যাশনাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন পদের জন্য আবেদন করলাম। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আর সকলের আশীর্বাদে আমি ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১-২২ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ কমিউনিকেশন হিসেবে সিলেক্টেডও হয়ে গেলাম। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় আমরা ভালো কিছু করতে পারবো“

ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি ২০২১/২২ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো ৬টি প্রতিভাবান মুখ। এক্সিকিউটিভ বোর্ডের (ইবি) ন্যাশনাল ডিরেক্টর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর, ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ এক্সচেঞ্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ আতিক আশহাব এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ এক্সটার্নাল রিলেশন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পূজা সরকার মলি। এছাড়া কন্ট্রোল বোর্ডের (সিবি) জন্য হেড অফ কন্ট্রোল বোর্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ মাহাদী হাসান তুষার, মেম্বারশিপ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সত্যজিৎ পাল এবং রিসার্চ এন্ড প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ।

ইয়াস (IAAS বা International Association of Students in Agricultural and related Sciences) ১৯৫৭ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে; বাংলাদেশে যার যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এবং ২০১৮ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় যার প্রসারতা বৃদ্ধি পায়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইয়াস বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

বর্তমানে দেশের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াস বাংলাদেশের লোকাল কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইয়াস বাংলাদেশের প্রতিটি সদস্য আশা করে, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের নির্ভরতার এক অনন্য নাম হয়ে উঠবে ইয়াস বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop