হাঁস পালন করে মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন ইয়াকুব
প্রাণিসম্পদ
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বিরাজ ব্যাপারীর ছেলে ইয়াকুব আলী ব্যাপারীর এখন প্রায় তিন‘শ হাঁস রয়েছে। তিনি এই হাঁস থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টাকা করে মাসে ইনকাম করেন প্রায় ষাট হাজার টাকা।
তিনি জানা, এতদিন দুইশ আশি থেকে তিনশ ডিম দিয়েছে। হারানোর ফলে এখন ডিম কমে এসেছে। তিনশ ডিম দিলে তা কম করে হলেও তিন হাজার টাকা বিক্রি প্রতিদিন খাওয়া খরচ আটশ থেকে হাজার টাকা বাদ দিলে লাভ প্রায় প্রতিদিন দুই হাজার টাকা মানে মাসে প্রায় ষাট হাজার টাকা। তার হাসের বয়স প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে। এ বছর আবার নতুন বাচ্চা কিনতে হবে। প্রতিটি বাচ্চা পয়ত্রিশ টাকা করে কিনেছিলেন এখন প্রত্যেকটি হাস তিন থেকে চারশ টাকা, গড়ে একটা লাভ রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকরা জানান, হাঁসের রোগ বালাই সাধারণত কম হয়। তবে কিছু মৌসুমে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরা রোগের সম্ভাবনা থাকে। তাই বাচ্চার বয়স ২১ দিন থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ডাক প্লেগের ভ্যাকসিন এবং ৭৫ দিনের মধ্যে ডাক কলেরার ভ্যাকসিন দিয়ে নিলে এসব মহামারী রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, ছোটভাকলার ইয়াকুব আলীসহ উপজেলার দেআগ্রাম, উজানচর ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক দরিদ্র পরিবার ক্ষুদ্র আকারে হাঁসের খামার করে লাভবান হয়েছেন। তবে উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের ইয়াকুব আলী অল্প শিক্ষিত হয়েও পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ও কঠোর পরিশ্রম করে উপজেলার মধ্যে সফল হাঁস খামারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। হাঁস পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। যে কোনো বেকার নারী-পুরুষ হাঁস পালনে এগিয়ে এলে সবাইকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সাহায্য করা হবে। শুধু হাস পালন নয়, অন্যান্য যে কোনো খামার করলেই তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।