তামাটে কাঠকুড়ালি
প্রাণ ও প্রকৃতি
কাঠঠোকরা বা কাঠকুড়ালি বর্ণিল রঙের লম্বা ঠোঁটের আকর্ষণীয় পাখি। গাছের কাণ্ডে ও শাখায় জোড়া পায়ে হেঁটে বা ছোট লাফ দিয়ে বিচরণ করে। বাংলাদেশে ১৯ প্রজাতির কাঠঠোকরার দেখা মেলে। কয়েকটি প্রজাতি আমাদের গ্রামীণ বনে, শহরের পার্কে ও উদ্যানে চরে বেড়ায়। তবে অধিকাংশ প্রজাতির বাস গহিন বনে।
দেশের মধ্যাঞ্চলের শালবন, সিলেট, চট্টগ্রামের বন ও সুন্দরবনেই কেবল অন্য প্রজাতিগুলোর বসবাস। কিছু প্রজাতির বসবাস রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের গহিন বনে। এসব বনে পাখিশুমারি ও গবেষণা কম হওয়ার কারণে এর সঠিক সংখ্যা নিয়ে কোনো তথ্য নেই। দেশের কয়েকজন পাখি গবেষকের কারণে বিরল কিছু কাঠঠোকরার সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে জানামতে তামাটে কাঠকুড়ালি কেবল কাপ্তাই, সাঙ্গু মাতামুহুরী ও পাবলাখালী অরণ্যে দেখা গেছে।
তামাটে কাঠকুড়ালি পালকের রং অনিন্দ্য, ডাক আকর্ষণীয়।
পৃথিবীর পাখির তথ্য সংগ্রহকারী বিখ্যাত ওয়েবসাইট ই-বার্ড ডেটাবেইসের (নভেম্বর ২০২১) দেওয়া তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে এ পাখিকে মাত্র ১২ বার দেখা গেছে এবং অন্য দেশের প্রাকৃতিক বনের মধ্যে ভুটানে ৫৮৭ বার, ভারতে ১ হাজার ৩৩৫, মিয়ানমারে ১৩৮, চীনে ৯৮২, ভিয়েতনামে ৬৮২, লাউসে ২৬, থাইল্যান্ডে ১ হাজার ৫২, কম্বোডিয়াতে ৭৬, নেপালে ৫৮, মালয়েশিয়াতে ৩২২ বার দেখা গেছে।