নাটোরে ব্লাক রাইস চাষাবাদ
কৃষি বিভাগ
চীনের সপ্তদশ শতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মহামূল্যবান ব্লাকরাইস বা কালো চাল নাটোরে চাষাবাদ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাড়ে এগারটার দিকে সদর উপজেলার লক্ষিপুর-খোলাবাড়িয়া গ্রামে এক বিঘা জমিতে ব্লাকরাইসের শস্য কর্তন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহায়তায় স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অর্গানিক পল্লী এগ্রো ফার্মস এন্ড নার্সারী গাজিপুর এলাকায় চাষাবাদ করে সফলতা পেয়েছেন।
অর্গানিক পল্লী ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চীনে চতুর্দশ শতক থেকে সপ্তদশ শতকে কিং যুগে কালো ধানের চাষ হতো। কিন্তু রাজা বা রাজপরিবার ছাড়া কারও কালো চালের ভাত খাওয়ার অধিকার ছিল না। প্রজাদের জন্য এই চাল নিষিদ্ধ ছিল বলে এই চালকে বলা হয় নিষিদ্ধ চাল বা ফরবিডেন রাইস।
পরবর্তী সময়ে জাপান ও মিয়ানমারে এই চালের চাষ শুরু হয়। সেখান থেকে এই চাল আসে বাংলাদেশে। পার্বত্য এলাকায় এই চালকে বলা হয় পোড়া বিন্নি চাল। থাইল্যান্ডে একে বলে কাও নাইও ডাহম।
সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্লাভিনয়ের্ড বা এনথোসায়ানিন খুব বেশি পরিমাণে থাকায় এই চালের রঙ কালো হয়। এই উপাদানটির কারণে ক্যানসার, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। কালো চাল ক্যানসার প্রতিরোধে অনন্য। এই চালে আয়রন বেশি, কিন্তু শর্করা কম। আর এই চালের ভাত অনেক বেশি পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর।