১১:৫৭ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ২৫, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে দৃষ্টিনন্দন আদর্শ বীজতলা
কৃষি গবেষনা

পলাশবাড়ী পৌরসভায় মহেশপুর গ্রামে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিনের পরামর্শে এক সাথে ৭ বিঘা দৃষ্টিনন্দন বোরোর আদর্শ বীজতলা করেছেন। বোরো মৌসুমে বীজতলায় উৎপাদিত ধানের চারা যেকোন বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে পারে। আদর্শ বীজতলায় চারা উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হয়।  তাই বীজতলার দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।
আদর্শ বীজতলা তৈরিতে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন পলাশবাড়ী উপজেলা পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ।
মহেশপুর গ্রামের কৃষক কালাম মিয়া জানান শর্মিলা আপার পরামর্শে ২০ জন কৃষক মিলে এক সাথে আদর্শ বীজতলা করেছি।
আগে যে বীজতলা করতাম তার  তুলনায় আদর্শ বীজতলায় উৎপাদিত চারার স্বাস্থ্য ভালো এবং কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকিও কম। চারা তোলার সময় শিকড়ে মাটি না ধরায় চারা গুলো আঘাত পায় না। রোপণের পর প্রায় শতভাগ চারা জীবিত থাকে। খরচ কম এবং চারা ভালো হওয়ায় সকল কৃষক আমরা খুশি।
শর্মিলা শারমিন জানান আদর্শ বীজতলায় ১-১.২৫ মিটার চওড়া ও জমির সাইজ অনুযায়ী জায়গায় বেড তৈরি করা হয়। বেডের দু’পাশে ড্রেন থাকে। এ পদ্ধতিতে বীজতলায় বীজ ছিটাতে সহজ হয়। বীজতলায় রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলে সহজে পরিচর্যা করা যায়। আগের পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে বীজ নষ্ট হয় কম। তিনি আরো জানান তার পৌরসভা ব্লকে মোট  ৬৫ হেক্টর বীজতলা হয়েছে। তার মধ্যে ভেজা আদর্শ বীজতলা ৩৫ হেক্টর, শুকনা আদর্শ বীজতলা ৫ হেক্টর ও পলিথিন আবৃত শুকনা আদর্শ বীজতলা ১ হেক্টর হয়েছে । আগামীতে শতভাগ  বীজতলা করার চেষ্টা করা থাকবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৩, ২০২৪ ৭:২২ অপরাহ্ন
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখবে অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিনের সরিষা নিয়ে গবেষণা
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহঃ স্বল্প মেয়াদী ও উচ্চ ফলনশীল সরিষার জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।আর এ গবেষনা কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাকৃবির জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিন। দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চফলনশীল সরিষা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার সাথে কাজ করছেন তার স্নাতক -স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক রবিন জানান, বাকৃবির জেনেটিকস এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত সরিষার মোট দশটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলো হলো সম্পদ, সম্বল এবং বাউ সরিষা-১ থেকে ৮ পর্যন্ত। সম্পদ এবং সম্বল উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস । বাউ সরিষা-১,২,৩ এই তিনটি জাত লবণাক্ততা সহিষ্ণু। তিনটি জাত উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। ওই গবেষণা দলে আমিও ছিলাম। এরপরে অতি স¤প্রতি বাউ সরিষা-৪,৫,৬,৭,৮ পাঁচটি উচ্চ ফলনশীল জাত আমি রিলিজ করেছি। জাতগুলো ছত্রাকজনিত অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রতি অধিক মাত্রায় সহনশীল। এগুলোর উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকের মাঠে দুই টনের বেশি ফলন পাচ্ছি। যশোর এবং খুলনা অঞ্চলে এই জাতগুলোর দুই থেকে আড়াই টন ফলন পেয়েছি। এর মধ্যে বাউ সরিষা-৫ কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা জাতগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা যেমন- কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা , সাতক্ষীরা, বরিশাল, যশোর, বগুড়া এবং নওগাঁসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছি এবং কৃষকের আগ্রহে পরিণত হয়েছে বাউ সরিষা-৫।

জাতগুলোতে ফ্যাটি এসিডসহ সরিষার গুরুত্বপূর্ণ তেলের উপাদানগুলো ভারসাম্য মাত্রায় থাকায় এ জাতের সরিষাগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে আমি মনে করি। বাউ সরিষা-১ থেকে ৮ পর্যন্ত যে জাতগুলো আমরা কৃষকের জন্য রিলিজ করেছি, সেই জাতগুলো ছিলো ব্রাসিকা জুসিয়া প্রজাতির। এগুলো ৮৮ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফসল তো যায় এবং ফলনও ভালো। বর্তমানে আমরা স্বল্প জীবন দৈর্ঘ্যের জাত উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি যেগুলো হবে ব্রাসিকা ন্যাপোস প্রজাতির। এই জাতগুলোর ৭৮ থেকে ৮২ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে এবং ফলনও উচ্চপর্যায়ের হবে।

বর্তমানে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে কিন্তু জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এমনতাবস্থায় দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখিত গবেষণা ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজবাড়ী জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর নানা উদ্যোগে দেশে সরিষার আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ভোজ্য তেল কম আমদানি করেছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ।
ডক্টর রবিনের সরিষা নিয়ে গবেষণা কাজটি চলছে বাকৃবির গবেষণা মাঠে। ওখানে গিয়ে দেখা যায় সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের কাজ করছে মৌমাছিরা। দেখলাম দুইজন শিক্ষার্থী কাজ করছেন মাঠে। তাদের মধ্যে একজন আতকিয়া আবিদা। তিনি জানান, আমি এখানে হাইব্রিডাইজেশন কাজ করছি। এক জেনোটাইপের সাথে অন্য জেনোটাইপের নিয়ে হাইব্রিডাইজেশন করছি। এভাবে কোনো পরিবর্তন হয় কি না কিংবা নতুন কোনো বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় কিনা সেটিই আমরা দেখছি। মুন মোদক নামে স্নাতকে অধ্যায়নরত একজন শিক্ষার্থী জানান, এখানে সরিষার অনেকগুলো জাত লাগানো হয়েছে। কোন জাতের সরিষায় আগে ফুল এসেছে, কোনটিতে পরে ফুল এসেছে, কোনটিতে ৫০ শতাংশ ফুল এসেছে, কোন জাতের সরিষায় রোগ কম বা বেশি হচ্ছে সেটির পর্যেবক্ষণ এবং নিয়মিতভাবে তথ্য রাখছি আমরা। পরে দেশে বহুল প্রচলিত বারি সরিষা-১৪ এর সাথে তুলনা করবো। কারণ, আমরা চাই তার থেকেও উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে।

আমাদের দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হলো কৃষি। স্বাধীনতা উত্তর দেশের উন্নয়নে এবং মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কৃষক ও কৃষিবিদরা। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাও অর্জিত হয়েছে। কৃষি গবেষণার আতুঁড়ঘর এই বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলস প্রচেষ্টায় নিশ্চিত হবে কৃষি বিপ্লব।

দেশে সনাতন কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে তথা বিজ্ঞান-ভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি-বিজ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পথ চলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে কৃষি উন্নয়নের কারিগর তৈরির কারখানা হয়ে ওঠে বাকৃবি। কৃষি গবেষণার আতুঁড়ঘর এই বাকৃবির শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ শুরু করেন। শুরু হয় কৃষির বিপ্লব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৬, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বোরো ধান রোপন উদ্বোধন
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আয়োজনে শনিবার ০৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ০৯টায় বোরো বীজ ধানের চারা রোপন-২০২৪ উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে খামার ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান খামার তত্ত¡াবধায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদুর রহমানের সভাপতিত্বে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ধানের চারা রোপন ও ধান কাটা বাংলাদেশের একটি উৎসব। বাংলাদেশে একসময় ছয় কোটি মানুষের খাবারের যোগান অপর্যাপ্ত ছিল কিন্তু এখন তুলনামূলক কম জমিতে আঠারো কোটি মানুষের খাবার নিশ্চিত রয়েছে। ১৯৭৩ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’ অমর বাণীর ফলশ্রæতিতে কৃষি বিজ্ঞানীগণ এ সাফল্য অর্জন করেছে, যার সিংহভাগ কৃতিত্বের দাবিদার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটগণ। কৃষিক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ অলিউল্লাহ, বাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী শাহনারা আহমেদ, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আফরিন মোস্তারি, খামার ব্যবস্থাপনা শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রর কৃষিবিদ মোঃ হেলাল উদ্দীন, উপ-প্রধান খামার তত্ত¡াবধায়ক কৃষিবিদ মোঃ জিয়াউর রহমানসহ খামার ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৮:০৪ অপরাহ্ন
বালাই ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ ও সরকারী প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের আহবান বিশেষজ্ঞদের
কৃষি গবেষনা

ফসল, বন ও মৎস্য সেক্টরের বালাই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সরকারী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের আহবান বিশেষজ্ঞদের ।বক্তারা বলেন বালাই অনুপ্রবেশ রোধ করা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য বহুমুখী পদ্ধতি অবলম্বন করা অপরিহার্য।

সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) আয়োজিত ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী দিনে বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞগণ এসব কথা বলেন । কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সরকারি বেসরকারি ও প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ হচ্ছে, বালাই ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের নাগরিকদের মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে , এজন্য শিক্ষামূলক কর্মসূচি ও প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আমাদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে । এছাড়া অনুপ্রবেশকারী বালাই অধ্যয়নের জন্য উন্নত পরীক্ষাগার স্থাপন প্রয়োয়জন।
কর্মশালার আয়োজকগণ মনে করেন এই সুপারিশসমূহ সম্মিলিতভাবে আমাদের পরিবেশ রক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
ঢাকাস্থ গুলশানের লেকশোর হোটেলে বুধবার দুপুরে (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ) অনুষ্ঠিত দুই দিন ব্যাপী কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) এর রিজিওনাল কোর্ডিনেটর প্লান্টওাইজ এশিয়া, ড. মালভিকা চৌধুরী । উপস্থিত ছিলেন ক্যাবি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মোঃ সালেহ আহমেদ, কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। ক্যাবি ইউকে সেন্টারের জুনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ হিদিও ইশি আদাহার এবং কর্মশালা সহযোগী হোমায়রা জাহান সনম। কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি -বেসরকারি প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিসহ ক্যাবি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জাতীয় বালাই ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের বালাই ব্যাবস্থাপনার প্রস্তুতি এবং দক্ষতার সাথে দেশের বালাই ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেয়া হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১২, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক কর্মশালা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনু, ঢাকাঃ সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল(ক্যাবি) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের বালাই ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালীকরণ বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে । ঢাকাস্থ গুলশানের লেকশোর হোটেলে মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (উদ্ভিদ সংরক্ষন উইং ) এর পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনএর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই-সরেজমিন উইং এর পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ক্যাবি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডঃ মোঃ সালেহ আহমেদ এবং ক্যাবি রিজিওনাল কোর্ডিনেটর প্লান্টওাইজ এশিয়া, ড. মালভিকা চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাবি ইউকে সেন্টার, জুনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ হিদিও ইশি আদাহার।
কর্মশালায় কীটপতঙ্গের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং কর্মশালার প্রধান পরামর্শদাতা ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

কর্মশালার কারিগরি সেশনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন সুলতানা, প্যাথলজি সেক্টর নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ নওশের আলী, মৎস্য সেক্টর এবং বাংলাদেশ জাতীয় হার্বেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান, বনায়ন এবং ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ,কীটতত্ত্ব বিষয়ে আলোচনা করেছেন । অনুষ্ঠানে সরকারি -বেসরকারি প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় জাতীয় বালাই ব্যবস্থাপনা, ফল আর্মিওয়ার্মের উপর করা একটি স্প্রোকলার অনুসন্ধানের অন্তর্দৃষ্টির উপস্থাপনা এবং বাংলাদেশের বালাই ব্যাবস্থাপনার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয় । দক্ষতার সাথে দেশের বালাই ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সম্মিলিত অঙ্গীকারের ওপর জোর দেয়া হয় ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
নিরাপদ কৃষিপন্য উৎপাদনের আহবান বাকৃবি ভিসির
কৃষি গবেষনা

বাকৃবিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমীর ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দীন মোহাম্মদ দীনু, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ
আধুনিক ও উচ্চতর গবেষণা ছাড়া টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই কৃষি উন্নয়নে শুধু কৃষি পন্য উৎপাদন বাড়ালে হবে না নিরাপদ কৃষি পন্য উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।বাংলাদেশের কৃষিতত্ত¡বিদগণ এব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ¦vস,কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি কৃষি জমিতে সার, কীটনাশক, ছত্রাকনাশকের পরিমিত ব্যাবহার নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে যারা কৃষি সম্প্রসারণে কাজ করছেন তাদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) বাংলাদেশের কৃষিতে রূপান্তর : কৃষি শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক এই ২২তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করে । শনিবার (০৯ ডিসেম্বর ২০২৩) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সভাপতি ড. নূর আহম্মেদ খন্দকার এর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রহমান সরকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান, ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো: ওমর আলী এবং ইউজিসি প্রফেসর ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা। সম্মেলনে এফএও বাংলাদেশের সিনিয়র কারিগরি উপদেষ্টা জনাব সাসো মার্টিনভ সম্মানিত অতিথি ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির কৃষিতত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ফ্রিল্যান্স আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষক ড. মইন-উস-সালাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম এর পরিচালক প্রফেসর ড.মাহফুজা বেগম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রোনমি (বিএসএ) এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আবদুল কাদের ।

সম্মেলনে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে কৃষি প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করতে ভার্টিক্যাল কৃষি, নিয়ন্ত্রিত কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। আমাদের শুধুমাত্র স্মার্ট কৃষি হলেই হবে না বরং স্মার্ট কৃষক তৈরীতে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা স্বল্প জমিতে তুলনামূলকভাবে অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে ১৮ কোটি মানুষের খাবারের যোগানের ব্যবস্থা করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীগণই কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে পরিচয় করিয়েছেন। সম্মেলনে ১২২টি টেকনিক্যাল পেপার ৩টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া কনফারেন্সে ১টি পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে পাঁচ শতাধিক কৃষিতত্ত¦বিদসহ দেশ-বিদেশের গবেষক, শিক্ষক ও স্বনামধন্য কৃষি বিজ্ঞানীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ ৮:২৩ অপরাহ্ন
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,গাজীপুরে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস -২০২৩ উদযাপিত
কৃষি গবেষনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ” বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস”। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালিত হয়েছে এ দিবস। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ২০১৫ সাল থেকে এ দিবস পালন করে আসছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপনের দিন ধার্য্য করে। ২০১৭ সালে সয়েল কেয়ার এওয়ার্ড প্রবর্তন করা হয় এবং একজন শিক্ষাবিদ, একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও একজন কৃষককে এ দিবসে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০২১ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়।এ পুরষ্কার পাবেন একজন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী, একজন কৃষি অফিসার ও একজন উপসহকারী কৃষি অফিসার।জেলা প্রশাসন গাজীপুর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাজীপুরের সার্বিক সহযোগিতায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ,কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গাজীপুরে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস -২০২৩ পালিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডিসি জেনারেল জনাব মো: মামুনুল করিম।সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাজীপুরের উপপরিচালক জনাব কৃষিবিদ মো: সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক গবেষণাগার ময়মনসিংহের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব, বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৩ বাস্তবায়ন কমিটি,গাজীপুর জনাব মো :এখলাসুর রহমান এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ। আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ মো: রফিকুল ইসলাম খান,ডিটিও,ডিএই, গাজীপুর এবং গাজীপুর সদর উপজেলার অফিসার জনাব কৃষিবিদ মো: হাসিবুল হাসান, মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ,কৃষক প্রতিনিধি, উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন দপ্তর/অফিসের প্রতিনিধিসহ সুধীজন।এবারের প্রতিপাদ্য ” মৃত্তিকা ও পানি: জীবনের উৎস “। বক্তরা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, মাটি ও পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা, অপচয় রোধ, সারের সুষম ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মাটি পরীক্ষা করে মাটির পুষ্টি গুণাগুণ জানা ও মাটিকে অবহেলা না করে, সুষম সার ব্যবহারের উপর আলোকপাত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে বিনাধান-১৭ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনাধান-১৭ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামে বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বিনা’র মহাপিরচালক (রুটিন দায়িত্ব)ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।

বিনা গোপালগঞ্জ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিনা গোপালগঞ্জে উপকেন্দ্রের ফার্ম ম্যানেজার আলমগীর কবির, বিনাধান-১৭ এর প্রদর্শনী প্লটের কৃষক রফিকুল ইসলাম সুমনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌরভ অধিকারী।

বিনার মহাপরিচালক ড. আজাদ বলেন- বিনাধান-১৭ একটি উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধানের জাত। এই ধানের জীবনকাল মাত্র ১০০ দিন থেকে ১০৫ দিন। কৃষক এই ধানের আবাদ করে ৩ ফসলী জমিকে ৪ ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করতে পারবেন।  বিনা প্রধান বলেন, বিনাধান-১৭ চাষাবাদে সেচের পানি সাশ্রয় করে। এছাড়া ইউরিয়া বা নাইট্রোজেন সার ৩০ শতাংশ কম লাগে। এতে কৃষক কম খরচে বেশি ধান উৎপাদন করে লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২৩ ১০:৪৭ অপরাহ্ন
সিকৃবিতে সেমিনার: চায়ের উৎপাদন ১০-১৫ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি করা সম্ভব
কৃষি গবেষনা

সিকৃবি প্রতিনিধি: সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চায়ের উৎপাদন ১০-১৫ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সিকৃবির গবেষকবৃন্দ। ১৫ অক্টোবর (রবিবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি অনুষদের ভার্চুয়াল সম্মেলন কক্ষে “চা উৎপাদনে উপকারী আর্থোপোড সংরক্ষণে ছায়াবৃক্ষের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে গবেষকবৃন্দ এসব তথ্য জানান। এ সময় তারা বলেন বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮৫-৯৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপন্ন হয়ে থাকে। আর চা ব্যবহার হয়ে থাকে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি । বর্তমানে চা বাগানের অব্যবহৃত জমি সঠিক ভাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ২০ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ছায়াবৃক্ষ লাগালে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন করা সম্ভব।

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও বীজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল মুকিতের সঞ্চালনায় এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফিউল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। এ সময় তিনি বলেন, “আমাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।” প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মালেক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম,  কীটতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরীসহ অন্যান্য বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২৩ ১০:২৮ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিস্তার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের স্বাগতিকায় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিস্তার শীর্ষক গবেষণা-সম্প্রসারণ-কৃষক সন্নিবদ্ধ কর্মশালা শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় অধীনস্থ কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, নিরাপদ-বিষমুক্ত কৃষি পণ্য উৎপাদনে কৃষি-বান্ধব উন্নত জাত-প্রযুক্তির সম্ভারে দেশের খাদ্য উৎপাদনে ভুমিকা রাখবেন বিজ্ঞানীরা যা কৃষি সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে কৃষকের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। উন্নত টেকশই জৈব-বালাই ব্যবস্থাপনায় উদ্ভিদের বালাই দমন, আধুনিক মানসম্পন্ন, গুণগত এবং কাঙ্খিত বৈশিষ্টের উন্নত জাত উদ্ভাবন, উন্নত সেচ, সার, মাটি ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন বিভাগের সাথে বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ, বিএডিসির সাথে একই যোগসূত্রে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মানসম্পন্ন বীজ-চারা উৎপাদনের টেকসই জাত-প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা আজ বড় প্রয়োজন যা বিজ্ঞানীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কৃষির এই প্রকট সমস্যা দূরীকরণে বিজ্ঞানীদের গবেষণা আরো জোড়ালো করার জন্য তিনি আহবান জানান। আর এটি তখনই বাস্তবায়ন হবে যদি তা কৃষকের দ্বার প্রান্তে যেতে পারে এবং তা বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।


কর্মশালায় ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রনি, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। কর্মশালাটি উদ্বোধনী এবং করিগরি অধিবেশন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। ড. মো. সামছুর রহমান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সভাপতিত্ত্বে মো.রাশেদ সরকার ও আনিকা তাবাসসুম বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার সঞ্চালনায় এতে
বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক, সেবা ও সরবরাহ, ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ, পরিচালক, গবেষণা এবং ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী, পরিচালক, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন, বিএআরআই মহোদয়গন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন মো. মসিউর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
বিশেষ অতিথি ড. ফেরদৌসী ইসলাম বলেন, ক্রপ মিউজিয়াম এর মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনী করে কৃষক এবং সংশ্লিষ্টদেরকে আকর্ষণ করে তুলতে হবে; তবেই বারির প্রযুক্তি কৃষক নিতে আগ্রহী হবে। ড. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ বলেন, জীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বারির বহুল প্রচলিত বারি সরিষা ১৪ এর ইউরেসিক এসিড কে কমানো সম্ভব। তিনি উক্ত বিষয়ে গবেষণা করার আহবান জানান। ড. দিলোয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, সরেজমিন গবেষণার মাধ্যমে বারির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সমূহ কৃষকের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে সম্প্রসারণের সাথে যোগসূত্র বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে কারিগরি অধিবেশনটি ড. দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বিএআরআই, গাজীপুর সঞ্চালনা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্হাপনা করেন ড. মো. সামছুর রহমান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। ড. রহমান কৃষি গবেষণার বিভিন্ন জাত প্রযুত্তি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা শেষে বিজ্ঞানের নানা বিষয় সম্বলিত প্রযুক্তি বিস্তার এবং কৃষক পর্যায়ে তাদের অবস্থা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ, বিএডিসি এবং গবেষণার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সম্পন্ন হয়। আরো উপস্থাপনা করেন কিশোর কুমার মজুমদার, উপপরিচালক, খাগড়ছড়ি, মো. ওমর ফারুক, অতিরিক্ত উপপরিচালক, চট্টগ্রাম। তাঁরা বারি উদ্ভাবিত জাত প্রযুক্তি, উন্নত বীজ, চারা কলম উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে চাহিদা উপস্থাপন করেন। এই সময় বারি মহাপরিচালক মহোদয় তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিজ্ঞানীরা প্রস্তুত রয়েছে, অচিরেই সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র চন্দনাইশ, দিঘীনালায় স্হাপন করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে এই যোগসূত্র আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ মতবিনিময় আলাচনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মো.নাছির উদ্দীন, অতিরিক্ত পরিচালক, চট্টগ্রাম অঞ্চল, কৃষিবিদ তপন কুমার পাল, অতিরিক্ত পরিচালক, রাংগামাটি অঞ্চল, এ এফ এম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক (বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিএডিসি, চট্টগ্রাম। করিগরি অধিবেশনে আরো বক্তব্য দেন মো. আব্দুচ ছোবহান, উপপরিচালক, চট্টগ্রাম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, হাবিবুননেছা, অতিরিক্ত উপিপরিচালক, চট্টগ্রাম, বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, কৃষকবৃন্দ প্রমুখ।
বিভিন্ন ফসলের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ, ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা, বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার কার্যক্রম বাড়ানো, কেনোলা জাতীয় বারি সরিষা-১৮, বারি মাল্টা ২ এর বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় বক্তরা তুলে ধরেন। পরে কারগরি অধিবেশন শেষে মহাপরিচালক মহোদয় আইসি ব্লকের বিভিন্ন মাতৃবাগান এবং বিভিন্ন পরীক্ষাকার্য পর্যবেক্ষণ করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে এই কর্মশালাটি শতাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই কর্মশালাটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের কৃষকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক বাস্তবায়িত হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop