৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জে গরু ও ছাগলসহ বসতবাড়ি অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত
পাঁচমিশালি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৪ টি গরু ও ২ টি ছাগলসহ বসতবাড়ি অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামের বটতলার ইমাম হোসেনের ছেলে ছবিয়ালের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে গরু,ছাগল, ঘরসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

ঘটনাস্থল ও অগ্নিকান্ডের শিকার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গোয়াল ঘরের কয়েল থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকান্ডে নিমিষেই ৪ টি গরু ও ২ টি ছাগলসহ ২ টি ঘর ও মালামাল পুড়ে য়ায়।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ-আল-মারুফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল, সর্বানন্দ ইউপির চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জহূরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী, বর্তমান চেয়ারম্যান ১০ হাজার এবং নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা ছবিয়ালের হাতে তুলে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২১ ১২:১৪ অপরাহ্ন
জামালপুরের ইসলামপুরে আগুনে পুড়ে গেল কৃষকের গোয়ালঘর
পাঁচমিশালি

জামালপুরের ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ছামিউল ইসলাম নামে এক কৃষকের গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অল্পের জন্য ৬টি গাভী রক্ষা পেলেও আংশিক পুড়ে গেছে দুটি ষাড়।

বুধবার রাতে পলবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামের মৃত শিক্কু শেখের ছেলে ছামিউল ইসলামের গোয়ালঘরে আগুন লেগে মুহূর্তে চারদিক ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা একঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় দুটি ষাড় পুড়ে আহত হয়।

কৃষক ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘কিভাবে আগুন লেগেছে আমি জানিনা। আগুনে গোয়ালঘরসহ প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

পলবান্ধা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে আমি পরিদর্শন করেছি এবং তিনি ওই কৃষককে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২১ ১২:২৬ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে বিমানের ধাক্কায় ২ গরুর মৃত্যু
পাঁচমিশালি

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় দুটি গরু মারা গেছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়িয়ে পাইলট নিরাপদে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের করতে সক্ষম হয়েছেন। একইসঙ্গে জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করেছে উড়োজাহাজটি।

ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহজ উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে চলে আসে দুটি গরু। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে রানওয়ে ১৭ নম্বর ডেল্টা পোস্টের সামনে দিয়ে উড্ডয়নের সময় বিমানের ডানপাশের সঙ্গে গরু দুটির ধাক্কা লাগে। গরু দুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে বিমানটি সফলভাবে উড্ডয়ন করে বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পরবর্তীতে বিমানটি ঢাকা অবতরণের জন্য সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও কক্সবাজার বিমানবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হলে মোকাবিলা করা যায়। পাইলট সফলভাবে নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা দেখতে উড়োজাহাজটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৯, ২০২১ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
হাতি হত্যা মামলার আসামি মারা গেলেন হাতির আক্রমণেই
পাঁচমিশালি

বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হাতি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার ২ সপ্তাহের মাথায় হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার জানে আলম (৩৫)।

তিনি গত ১৩ তারিখে চকরিয়া উপজেলার জঙ্গল হারবাং এলাকায় হাতি হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলার ২ নম্বর আসামি।

এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি জঙ্গল হারবাং এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে ১৫ বছর বয়সী এক পুরুষ হাতিকে হত্যা করা হয়। ময়নাতদন্তে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামির মধ্যে হারবাং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামশুল আলমের ছেলে জানে আলম ২ নম্বর আসামি।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি জঙ্গল হারবাংয়ের ওই এলাকায় গেলে হাতির পাল তাকে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই জানে আলম মারা যান।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বলেন, ‘হাতি স্বল্প সময়ের জন্য তার ওপর হুমকি সৃষ্টিকারীকে চিনতে পারে। সে অনুযায়ী স্বগোত্রের কাউকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে হাতি।’

নভেম্বরে শেরপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গুলিতে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে ৭টি হাতি মারা গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন হাতিকে মহাবিপদাপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২১ ৯:৫৯ অপরাহ্ন
আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র ময়মনসিংহ জেলা ‘র পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠণ
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু : আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র ময়মনসিংহ জেলা শাথার পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। নব গঠিত কমিটিতে কৃষিবিদ আরিফ জাহাঙ্গীর-কে সভাপতি ও কাজী নুরে নবী শিপলু-কে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি অনুমোদন করেন আমরা ক’জন মুজিব সেনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এর সভাপতি সাইদ আহমেদ বাবু ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু তোহা।

নব গঠিত কমিটির নির্বাচিত অন্যান্যরা হলেন, সহ সভাপতি অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ মঞ্জুরুল আলম লাভলু, অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমিন, খন্দকার শামীম হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন খান মিনার, এনামুর রহমান রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহিতেশামুল হক সুমন, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ূম মারুফ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল মোর্শেদ সোহেল, উপ দপ্তর সম্পাদক ফাহাদ আনোয়ার, প্রচার সম্পাদক দীন মোহাম্মদ দীনু, উপ প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শিব্বির আহমেদ, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক, গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ড. পূর্বা ইসলাম, সংগ্রহশালা বিষয়ক সম্পাদক কাজী লুৎফুল কবির, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এহসানুল করিম টনি, পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বাতেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ টি. আই. খান ওয়াসিম, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম শেখ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড্ আমিনুল ইসলাম খাইরুল, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক শামিম আহমেদ রিপন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শিদ্ধার্থ শংকর বিশ্বাস বুটন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আকন্দ, যুব বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুল ইবনে মান্নান তুহিন, গণ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক আকিদা সুলতানা লিটা, যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, অনুষ্ঠান সম্পাদক এড্ আব্দুল্লাহ আল বাকী, কার্যসূচী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক এ. কে. এম. জহিরুল হক জুয়েল, তথ্য ভান্ডার বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল হক জহির, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এড্ টি. এইচ. খান তাপস, নকশা ও ব্রান্ড উন্নয়ন সম্পাদক শাহেদ আনোয়ার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহারিয়ার আলম পাপ্পু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম জুলফি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আব্দুল্লাহ।

এছাড়া কার্যকরী সদস্যগণ হলেন, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন সেলিম, অধ্যাপক ড. শংকর কুমার দাস, সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, এম.এ.বারি খান, কাজী ছানাউল হক চঞ্চল, মানিক সরকার, আজিজুর রহমান ইমন, কামরুজ্জামান কায়সার, ফেরদৌস আহমেদ হীরা, শাকিল খান, রবিউজ্জামান রবি, বদরুল জামাল পলাশ, বদরুল হক জামিল, মাহ্বুবুর রহমান, শাহজাদা কায়সার, আশিকুল ইসলাম মাহ্ফুজ, মোঃ মিনার হোসেন, এস.এম.মোকাদ্দেস সুমন শাহ, ইয়াসির আরাফাত ওশান, নাজমুল, হাসান সজীব, অলক মজুমদার, মুজাম্মেল হক, মোঃ শরিফুল ইসলাম সোহেল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২১ ১:৩১ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কৃষককে গলাকেটে হত্যা
পাঁচমিশালি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক কৃষককে গলাকেটে খুন করা হয়েছে।

উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামে রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার অভিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঝিনাইদহ সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান।

নিহত রেজাউল ইসলাম (৩২) ওই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, “রাত ৯টার দিকে গ্রামের একটি দোকান থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ে রেজাউল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি রেজাউলের গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে।

“পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন।”

রেজাউলের ৯ বছরের সন্তান আপন ইসলাম পুলিশকে জানায়, বাবা-মায়ের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়। পরে দরজার ফাঁক দিয়ে সে দেখে, কয়েকজন ব্যক্তি তার বাবাকে ‘ফেলে দেওয়ার জন্য’ নিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ময়নাতদন্তের বিস্তারিত জানা যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২১ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
খালের বাঁধ অপসারণ, দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেল সিঙ্গার বিলের চাষিরা
পাঁচমিশালি

নাটোরের বড়াইগ্রামে সিঙ্গার বিলের সরিষাহাট এলাকায় বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছিল প্রভাবশালী একটি মহল। এতে ওই এলাকার ৩০০ বিঘা জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় তা চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।

বড়াইগ্রাম বিএডিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে সিঙ্গার বিলের জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য বিএডিসির উদ্যোগে বিশাল একটি খাল খনন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল নিজেদের স্বার্থে সরিষাহাট এলাকায় বিএডিসির ওই খালে চাটাই ও বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে মাছ চাষ করছিল। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারছিলেন না। এরপর কৃষকেরা বিষয়টি বিএডিসির নজরে আনলে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধটি উচ্ছেদ করে। এতে ওই এলাকার পানি ভাটিতে নামতে শুরু করেছে।

সরিষাহাট গ্রামের কৃষক লালচান মিয়া জানান, মাছ চাষ করে শুধু নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন খাল বন্ধ করে পানি আটকে মাছের চাষ করছিলেন। এতে তাঁর মতো শত শত কৃষক নিজের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছিলেন না। তবে বাঁধ অপসারণ করায় তাঁরা এখন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

বিএডিসির উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে খালে বাঁধ দিয়েছিলেন। এটা ছিল খুবই দুঃখজনক। তবে খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা তাঁদের জমিতে চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৫, ২০২১ ১:০১ অপরাহ্ন
নোবিপ্রবিতে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা
পাঁচমিশালি

সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের রাস্তা, মাঠ, লেকপাড় ও হল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে বিষধর সাপের। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সাপের কামড়ে অসুস্থদের চিকিৎসায় নেই কোনো ব্যবস্থা। নেই প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের হলের সামনে গতকাল বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মনোক্লেড কোবরা বা পদ্ম গোখরা সাপের দেখা মেলে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিবি খাদিজা হলের সামনে ফনাহীন বিষাক্ত কালাচ (ক্রেইট) সাপ দেখা যায়। মেডিকেলে কোনো প্রতিষেধক না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা রিংকি বলেন, ‘দুপুরে সালাম হলের সামনে নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ পদ্ম গোখরা সাপ আমার সামনে চলে আসে। আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। সাপের ভয়ে ক্যাম্পাসে আসা দায় হয়ে পড়েছে।’

ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. পারভেজ হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে দিন ও রাতে সাপ দেখা যাচ্ছে। কাউকে সাপে কাটলে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার ব্যবস্থা প্রশাসনের নেওয়া উচিত। মেডিকেলে নাপা ও গ্যাসের ট্যাবলেট ছাড়াতো কিছুই নেই।’

নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ‘আমাদের মেডিকেলে অ্যান্টিভেনম নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এএসএম শরিফুর রহমান বলেন, ‘সাপের আবাসস্থলে সাপ বসবাস করবে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু আমরা যদি আমাদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন না রাখি তাহলে সাপ এসব স্থানে এসে বসবাস করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেই জন্য খুব দ্রুত ঝোপঝাড়গুলো পরিষ্কার করা আবশ্যক। এছাড়াও রাসায়নিক কেমিক্যাল ব্যবহার করে সাপ তাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।’

এ বিষয়ে শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার করছি। প্রায় ৯৫ ভাগ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা শেষ। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি অপরিষ্কার জায়গাগুলো পরিষ্কার শেষ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘সাপের উপদ্রবের বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সাপের কামড়ে অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য যে অ্যান্টিভেনম ও লাইফ সেভিং ড্রাগ প্রয়োগ করা হয়, সেটির জন্য ডাক্তারদের বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এই বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে এজন্য ক্যাম্পাসে থাকা ঝোপঝাড় দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে ছাগল চুরি করে হাসপাতালে ডাক্তারদের ভুরিভোজ!
পাঁচমিশালি

পিরোজপুরের নাজিরপুরে অসহায় এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে ভুরিভোজ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

এ ঘটনায় ছাগলের মালিক ভুক্তভোগী আব্দুল লায়েক ফরাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে নাজিরপুরসহ জেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী লায়েক ফরাজী উপজেলা সদরের আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন একটি ছোট দোকানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার কারণে তিনি কয়েকটি ছাগল পালন করেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীর একটি ছাগল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়। পরে ওই ছাগলের চামড়া স্থানীয় ঋষি (চামড়া ক্রেতা) বিশ্ব নাথের কাছ থেকে গত সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করা হয়।

চামড়া ক্রেতা জানান, ওই চামড়াটি হাসপাতালের সুইপার বাশার শেখ আমাকে দিয়েছে। বাশার শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চামড়াটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ভুরিভোজের জন্য জবাই করা ছাগলের। স্যারেরা ছাগলটি গত শুক্রবার রাতে খেয়েছেন। আমি যদি এ বিষয়ে আটকে (অভিযুক্ত হলে) যাই তাহলে সব তথ্য ফাঁস করে দেব। আমি তো হুকুমের গোলাম’।

ওই ছাগলটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরেই রান্না হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন হাসপাতালে রান্নার দায়িত্বে থাকা খাদিজা বেগম। আর ওই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস কক্ষেই ওই ভুড়িভোজের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত ৪-৫ জন চিকিৎসক ও কয়েকজন কর্মচারী।

ভুড়িভোজে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক ওই ভোজের তথ্য স্বীকার করে জানান, তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফজলে বারীর দাওয়াতে সেখানে গিয়েছেন। সেখানে খাওয়া মাংসের ছাগলটি চুরি করা না ক্রয় করা তা তাদের জানা নেই। সেখানে ভোজে অংশ নেওয়া এক নারী চিকিৎসক জানান, ‘স্যার ফোন দিয়ে আমাকে সেখানে ডেকে নিয়েছেন’।

এক পুরুষ চিকিৎসক জানান, ‘ওই রাতে আমি ও আমার আর এক সহকর্মী হাঁসের মাংস দিয়ে রুটি খাচ্ছিলাম। কিন্তু স্যারে এসে আমাদের ডেকে নিয়ে যান’।

ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রত্যক্ষদর্শী মো. সজল হোসেন হাওলাদার জানান, ‘গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তিনি তার স্ত্রীর সন্তান প্রসবজনিত কারণে হাসপাতালের দোতালায় কেবিনের পাশের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ওই হাসপাতালের ঝাড়ুদার আবুল বাশারসহ তিনজন একটি ছাগল দোতলায় নিয়ে হাসপাতালের কেবিনের একটি টয়লেটে আটকে রাখে। আমি তাদের নিষেধ করলেও তারা একটি বটি দিয়ে সেটি জবাই করে বাজারের শপিং ব্যাগে করে নিয়ে যায়’।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আব্দুল লায়েক ফরাজীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অভিযোগটি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও করেছেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ছাগলের ব্যাপারে একটি অভিযোগ এসেছে বলে শুনেছি। আমি থানায় ছিলাম না তাই এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) ডাক্তার মো. ফজলে বারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি গত সোমবার (২২ নভেম্বর) আমার শ্বশুরের চিচিৎসার জন্য ঢাকায় আসছি। এখন ব্যস্ত আছি, বাসায় ফিরে আপনাকে ফোন দেব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২১ ১২:২৯ অপরাহ্ন
কৃষকের গোয়ালঘরে সিঁধ কেটে মহিষ চুরি
পাঁচমিশালি

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার গোলাম মোস্তফা নামের এক কৃষকের গোয়ালঘরে সিঁধ কেটে দুটি মহিষ চুরি করে নিয়ে গেছে চোর।

রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মোস্তফা উপজেলার করিমপুর গ্রামের ইয়াসিন মণ্ডলের ছেলে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop