১:৪৩ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২১ ৩:৩৭ অপরাহ্ন
শত্রুতার বিষে মরল ১০ লাখ টাকার মাছ
মৎস্য

বরিশালের উজিরপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার বাসিন্দা হরষিত মণ্ডল ও সঞ্জাত মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ী-কুড়লিয়া যৌথ মৎস্য প্রকল্পে এ বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মৎস্য ঘের কমিটির সদস্য সৈকত মণ্ডল বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাতলা ও জল্লা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৩০ একর জমিতে পটিবাড়ী-কুড়লিয়া যৌথ মাছের ঘের রয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ওই মৎস্য প্রকল্পের অধীনে মাছ চাষ করছেন পার্শ্ববর্তী এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা। তবে চলতি মৌসুমে করোনার সময়ে এলাকার কর্মহীন ও বেকার যুবকরা একত্রিত হয়ে কুড়লিয়া ও পটিবাড়ী এলাকার সব জমি মালিকদের সম্মতি নিয়ে মাছের ঘেরটি ৫ বছরের জন্য লিজ নেয়।

মাছ চাষের শুরুতেই অর্ধ শত জমির মালিকদের মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত হরিমোহন মণ্ডলের পুত্র হরষিত মণ্ডল ও তার ছোটভাই সঞ্জাত মণ্ডল মাছের ঘেরের বিরোধিতা করে আসছে। এ নিয়ে ঘের মালিকদের সঙ্গে হরষিত মণ্ডলের ও সঞ্জাত মণ্ডলের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এরই অংশ হিসেবে ওই ঘেরের নিজেদের অংশের ডোবার মাছ ধরে নেওয়ার পাঁয়তারা করে হরষিত মণ্ডল ও তার সহযোগীরা। তবে সকল মালিকদের বাধার মুখে মাছ ধরে নিতে ব্যর্থ হয় হরষিত মণ্ডল ও তার ভাই সঞ্জাত মণ্ডলসহ তাদের সহযোগীরা। মাছ ধরে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে।

ভোরে মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের পর বিষক্রিয়ায় সকালে ওই ডোবায় থাকা চিতল, কাতল রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ ছটফট ও লাফালাফি করতে থাকে। এ সময় অসংখ্য মাছ মড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ঘের কর্তৃপক্ষকে জানায়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উজিরপুর মডেল থানার ওসি মো আলী এরশাদ। এ সময় তিনি কিছু মাছ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। তবে তিনি চলে আসার পর বিকাল নাগাদ মৎস্য ঘেরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মরা মাছ ভেসে ওঠে। বিষ প্রয়োগে কমপক্ষে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে বলে অভিযোগ ঘের মালিকদের।

এ বিষয়ে মৎস্য ঘের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সালেক মিঞা জানান, বেশ কয়েক বছর তিনি বিদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দেশে ফেরেন। করোনার সময়ে বিদেশে যেতে না পেরে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন তিনি। পরে ওই মৎস্য ঘেরে থাকা কয়েকজন জমির মালিকসহ এলাকার বেকার ও কর্মহীন যুবকদের নিয়ে কুড়লিয়া-পটিবাড়ী মৎস্য প্রকল্পের অধীনে মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা করি। আমার নিজের এ মৎস্য ঘেরে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। ঘেরের অন্যান্য সদস্যদেরও জমি রয়েছে এ মৎস্য ঘেরে। আমরা এ মৎস্য ঘেরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হরষিত মণ্ডল আমাদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হরষিত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, গত এক মাস পূর্বে ঘের মালিক ও হরষিত মণ্ডলকে নিয়ে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক করেছি। বৈঠকে আমি ঘের মালিকদের হরষিত মণ্ডলকে ঘেরের অংশীদার রাখা অথবা বিগত বছরে হরষিতের ডোবার বিনিময়ে যে অর্থ প্রদান করা হতো তা দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ঘের মালিকরা আমার উভয় প্রস্তাব মেনে নিলেও হরষিত কোনো প্রস্তাব মেনে নেয়নি। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন বেপারী আমাকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এরপর ঘের মালিক পক্ষ হরষিতের ডোবার বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা আমার কাছে জমা রেখে গেছেন। তবে হরষিত মণ্ডল সেই টাকাও নেয়নি।

এ বিষয়ে মৎস্য ঘেরের সভাপতি সাংবাদিক নিকুঞ্জ বালা পলাশ বলেন, বরিশাল প্রেস ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। তবে ঘেরের অন্য সদস্যরা আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষ প্রয়োগের ফলে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী এরশাদ বলেন ঘেরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে মৎস্য ঘের মালিকদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করতে সকালেই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে এ সময় অল্প কিছু মাছ ভেসে উঠতে দেখেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ১২:৫০ অপরাহ্ন
৫ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ জব্দ করে মাটিচাপা দিল বনবিভাগ
মৎস্য

পটুয়াখালীর কলাপাড়া বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিক্রির সময় পাঁচ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ জব্দ করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কলাপাড়া পৌরশহরের মাছ বাজার থেকে মাছটি জব্দ করা হয়। তবে এসময় কাউকে আটক কিংবা অর্থদণ্ড করতে পারেননি কর্মকর্তারা। মাছটি একনজর দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয় উৎসুক জনতা।

স্থানীয় ও বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মহিপুর থেকে অজ্ঞাত এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি বিক্রি করতে কলাপাড়া শহরে নিয়ে আসে। সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ ব্যবসায়ী সটকে পড়েন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল্লার নির্দেশক্রমে মাছটি মাটিচাপা দেয়া হয়।

কলাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে মাছটি জব্দ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
বাস থেকে জব্দ করা ১০ মণ জাটকা গেলো এতিমখানায়
মৎস্য

ভোলা পৌরসভায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ১০ মণ (৪০০ কেজি) জাটকা ইলিশ জব্দ করেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের খেয়াঘাট এলাকা থেকে এ জাটকা জব্দ করা হয়।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. তাহসিন রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশন থেকে আসা যশোরগামী যাত্রীবাহী বাসটিতে তল্লাশি করে ১০ মণ অবৈধ জাটকা জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাটকা মৎস্য বিভাগের উপস্থিতিতে স্থানীয় অসহায় ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে জাটকা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
জুড়ী নদীতে অবৈধ মাছের ঘের, মাছ ধরতে বাঁধা
মৎস্য

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় অবৈধভাবে জুড়ী নদী দখল করে মাছের ঘের তৈরির মহোৎসব শুরু হয়েছে। নদীতে গাছের কাটা ডালপালা দিয়ে এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে মৎস্য ঘের তৈরি করে নদীর স্বাভাবিক পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। এসব ঘেরে বিভিন্ন প্রাণীর মৃতদেহ আটকে থাকে ফলে মৃত প্রাণীর পচা গন্ধে এলাকার পরিবেশ ক্রমেই দূষিত হয়ে উঠছে। এসব অবৈধ ঘেরের আশেপাশে সাধারন মানুষ মাছ ধরতে গেলেই বাঁধা দিচ্ছে অবৈধ দখল কারীরা।

এদিকে এ নদীতে অবৈধ মাছের ঘেরের পাশে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

সরজমিনে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুরের মোকামটিলা গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ধামাই গ্রামের বনগাঁও এর লোকজন জুড়ী নদীতে নৌকা যোগে মাছ ধরতে যান। এতে বড়ধামাই গ্রামের বনগাঁও এর লোকজন বাঁধা দেন। এই বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুমা’র নামাজের পর উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এদিন সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হবার ঘোষণা দিলে জুড়ীরপারসহ আশপাশের জনমনে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মাইকে সংঘর্ষের ঘোষণার খবর পেয়ে দ্রুত জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনফর আলী ও পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওবায়েদুল ইসলাম রুয়েল ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর অবৈধভাবে নদী দখল করে কিছু অসাধু ব্যক্তি মৎস্য ঘের তৈরি করেন। এতে নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদী দখলমুক্ত রাখতে প্রশাসনের কোন নজরদারির না থাকার কারণে অবৈধ ঘের তৈরি করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। মৎস্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় অবৈধ মাছের ঘের তৈরির মহোৎসব চললেও তা বন্ধ করতে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, উপজেলার জুড়ী নদীর বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঘের তৈরি করা হয়েছে। নদীতে অবৈধ মাছের ঘের ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নিধন করা হলেও মৎস্য কর্মকর্তার নীরব ভূমিকায় স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, নদীতে ঘের তৈরির কারণে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারছেন না। ঘেরের আশপাশে বরশি, হুইল অথবা বিভিন্ন প্রকারের জাল দিয়ে মাছ শিকারে বাঁধা দেওয়া হয় তাদের।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, নদীতে মৎস্য ঘের তৈরি করা অবৈধ। সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, জুড়ী নদীতে অবৈধ মাছের ঘেরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপর আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ৪:৪১ অপরাহ্ন
লোকসানের শঙ্কায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা
মৎস্য

মেঘনা তীরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরে শুরু হয়েছে শুঁটকি উৎপাদন। তবে এ বছর মিঠাপানির মাছের স্বল্পতা থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে লোকসানের শঙ্কায় তারা। তবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনার তীরবর্তী লালপুরে সারি সারিভাবে স্থাপন করা হয়েছে বাঁশের মাচা। এসব মাচায় মেঘনা এবং হাওর অঞ্চল থেকে আহরণ করা মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হচ্ছে। বিশেষ করে পুঁটি, ট্যাংরা, শৈল, আইড় এবং ম্যানি মাছের শুঁটকি অন্যতম। রোদে শুকানো এই শুঁটকি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয়। এর মধ্যে চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদনের অন্যতম জোগান পুঁটি মাছের আমদানি বাজারে কম হওয়ায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরুতে দাদন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে উচ্চ সুদে পুঁজি সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা ভালো না হলে সেই টাকা পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কায় তারা।

এ বিষয়ে শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে মাছ কম, তাই ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। ব্যবসার পরিস্থিতি যদি এবার ভালো না হয়, তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মতে, সরকারের বাস্তবমুখী পরিকল্পনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্প আরও বিকশিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের বলেছেন, সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এটি আরও বেশি বিকশিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ জেড এম আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্যাংকিং খাত যদি তাদের ঋণ দানে এগিয়ে আসে, তাহলে তারা চড়া সুদের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান আশ্বাস দেন, শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে, শুঁটকি শুকানোর কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ পুঁজি সমস্যাসহ বিপণনে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে, তাদের সমস্যা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

প্রতি বছর এ অঞ্চলে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাসে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদন হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ২:০৪ অপরাহ্ন
পদ্মা পাড়ে ইলিশ উৎসব
মৎস্য

মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মাপাড়ের শিমুলিয়া বন্দর মাঠে শুক্রবার হয়ে গেলো দ্বিতীয় ইলিশ উৎসব। ২০টি স্টলে ইলিশ প্রদর্শনেও ছিলো বৈচিত্র।

পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে আসা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতাদের নানা কৌশল। মেলায় আসা লোকজন অভিভূত এমন আয়োজন দেখে। দিনব্যাপী দ্বিতীয়বারের মতো ইলিশ উৎসব ঘিরে খুশি ছিলো জেলে, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্টরাও।

ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করেন- মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) দুলাল কৃষ্ণ সাহা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ওসমান গণি তালুকদার।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রজন্ম বিক্রমপুরের সাধারণ সম্পাদক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন লৌহজংয়ে ইউএনও মো. আব্দুল আউয়াল, জেলা মৎস্য অফিসার শামসুল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য নূর-এ-জান্নাত সীমা, প্রজন্ম বিক্রমপুরের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজয় চক্রবর্তী, মুন্সীগঞ্জের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

এ ইলিশ উৎসবকে ঘিরে বাউল গান, পালা গান. মারফতি ও মুর্শিদীসহ গানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পর্যায়সহ স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ৪:৫২ অপরাহ্ন
বরগুনায় হাট-বাজারে চলছে জাটকা বিক্রি
মৎস্য

বরগুনার পৌর মাছ বাজারে প্রশাসনের চোখের সামনে বিক্রি হচ্ছে নদীর জাটকা। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় জাটকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা ধরা ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা পৌর পাইকারি মাছ বাজারে বিভিন্ন নদী থেকে ধরা জাটকা বিক্রি হচ্ছে। দুপুরে স্থানীয় বাজারগুলোতে অল্প সংখ্যক জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ মাছ বাজারে কিভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্য ২৫ সেন্টিমিটার আকারের জাটকা বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা শিকার করলে আগামী দিনগুলোতে স্থানীয় নদীগুলোতে ইলিশ শূন্য হতে পারে। এতে করে স্থানীয় জেলেদের যেমন ক্ষতি হবে তেমনি দেশ প্রাকৃতিক সম্পদ হারাবে। ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বিষখালী, পায়রা, বলেশ্বর নদী থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ আহরণ করে প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের নিচে ইলিশ ধরা এবং বিক্রি নিষিদ্ধ। অভিযান চালালে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রি করা বন্ধ করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সব রকম কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অসাধু জাটকা ব্যবসায়ী এবং জাটকা শিকারি জেলেদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগামীকাল শনিবার সকালে বরগুনা পাইকারি মাছ বাজারে অভিযান চালানোর কথা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ১:২৭ অপরাহ্ন
খুলনায় কম দামে মাছ মেলে যেখানে
মৎস্য

সূর্য কেবল পূর্ব আকাশে উঁকি দিতে শুরু করেছে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে রূপসা নদীর পশ্চিম তীরে রূপসা কেসিসি পাইকারি মৎস্য আড়তটি জমজমাট হয়ে উঠেছে।

এটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছে বাজার। শীত উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নেমেছে বাজারে।

নদ-নদী, খাল-বিলের সব ধরনের তাজা মাছ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছে ভরপুর এই বাজার। তবে রুই, কাতলা, ইলিশ, বোয়াল, শিং, মাগুর, কৈ, টেংরা ও ছোট-বড় সব ধরনের দেশি মাছই আছে এখানে। মূলত এখান থেকেই মাছ সরবরাহ হয় নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার হাট-বাজারে। এমনকি আশপাশের জেলাগুলোতেও।

তবে শীতকালে এ বাজার দখল করে রেখেছে সামুদ্রিক নানা মাছ। এর মধ্যে রয়েছে- ইলিশ, মেইদ, মোচন, স্যামন, রূপচাঁদা, ম্যাকারেল, টুনা, ছুরিমাছ, করাত মাছ, তুলার ডান্ডি, লইট্টা, বাটার ফিশ, ডোরাব হেরিং, পাইক, মুলেট, অয়েল সারডিনসহ নানা ধরনের শুটকি মাছ।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে সরেজমিনে দেখা যায়, এ আড়তে শ্রমিকদের ব্যস্ততা, ক্রেতাদের ভিড়, আড়ৎদারদের হাসিমুখ। বাজারের সামনের সড়কে ট্রাক ও পিকআপের খোল ভরে আছে নানা সামুদ্রিক মাছে। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় সবশ্রেণির মানুষ এ বাজারে আসছেন মাছ কিনতে। দাম করে ব্যাগ ভরছেন অনেকে।

কেসিসি রূপসা পাইকারি মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্স পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, এ বাজারে সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। তবে এখন বেশি সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছ অনেক জটিল রোগ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে থাকে। প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ ভিন্ন হয়। শীতকাল এলে সামুদ্রিক মাছের চাহিদা বেড়ে যায়।

রায়হান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রায়হান হাওলাদার বলেন, সামুদ্রিক মাছের দাম এখন অনেকটা কম। সাড়ে ১০ কেজি ওজনের মেইদ মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ভোলা মাছ ১৫০-২০০ টাকা কেজি, ইলিশ ১ কেজি ওজনের ১০০০-১১০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০-২০০ গ্রাম ওজনের ৬০০ টাকা, ছুরি মাছ ৭-৮টিতে কেজি ২৫০-২৬০ টাকা, বোতল ১১০-১২০ টাকা, তুলার ডান্ডি মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, লইট্টা ৮০-৯০ টাকা ও বাটার ফিশ ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সামুদ্রিক মাছ কিনে স্বস্তি প্রকাশ করে ইদ্রিস আলী মামুন নামের এক ক্রেতা  বলেন, শহরের যেকোনো বাজারের চেয়ে এখানে সামুদ্রিক মাছের দাম কম। তিন কেজি ওজনের একটি মেইদ মাছ কিনেছি ২০০ টাকা কেজি দরে। অন্য বাজারে যার দাম কমপক্ষে ৪০০ টাকা কেজি হতো।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২১ ১:১১ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে তরুণ উদ্যোক্তার মাছ চাষে সাফল্য
মৎস্য

আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন, মাদারীপুরের তরুণ উদ্যোক্তারা। জেলার শিক্ষিত বেকারদের বড় একটি অংশ এখন মাছ চাষের সাথে জড়িত। তাদের সফলতা দেখে নতুন করেও অনেকে শুরু করেছেন মাছচাষ। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। 

স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে চাকরির পিছু না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মাদারীপুরের শিক্ষিত তরুণরা। তেমনই একজন জেলার রাজৈর উপজেলার আজিজুর রহমান মোল্লা। বিএ পাশ করার পর স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু করেন মাছচাষ। এখন তার মাছের ঘেরের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৫০ একরে।

তার মতো জেলার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকই এখন মাছ চাষ করছেন। স্বচ্ছলতা এসেছে তাদের পরিবারে। পাশাপাশি এসব মৎস্য খামারে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের।

তরুণ উদ্যোক্তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক বলেন, আজিজুর রহমান একজন শিক্ষিত উদ্যোক্তা তাঁদের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং তারা লাভজনক উপায়ে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। দিনদিন আমাদের রাজৈর উপজেলার মৎস্য উৎপাদন ও মৎস্য চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, মৎস্যবিভাগ মৎস্য চাষিদেরকে নিয়মিত কারিগরি পরার্মশ প্রদান এবং উন্নত প্রযুক্তিতে মাছ চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

মাদারীপুরে ১৮ হাজার পুকুর ও ঘেরে ১৭ হাজার ৩শ’ ৫০ জন উদ্যোক্তা মাছ চাষ করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ ৪:৩৯ অপরাহ্ন
ইলিশে ভরপুর ভোলা
মৎস্য

ভরা মৌসুম না হলেও হঠাৎ ভোলার মেঘনা- তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। আগামী ১০-১২ দিন এভাবে ইলিশ ধরা পড়লে মৌসুমের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।

এ বছর ইলিশের মৌসুমে কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় শীতে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ।

জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলে ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময়েই ভোলাসহ উপকূলীয় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়া বেশি। কখনো কখনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ইলিশ ধরেন জেলেরা। এবার বর্ষায় ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে কিছুটা হতাশা ছিল।

তবে, শীতে ইলিশের ভরা মৌসুম না হলেও এবার দেখা যাচ্ছে উল্টোচিত্র। হঠাৎ করেই গেল ২ দিন ধরে মেঘনা তেঁতুলিয়াসহ সাগরের মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। আরও কিছুদিন এমন অবস্থা থাকলে বর্ষার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন জেলেরা।

অসময়ের এত ইলিশ ধরা পড়ায় ইলিশের মৌসুমে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে ভোলা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তুফানে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আসছে। আগামী মার্চ-এপ্রিলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা।’

চলতি বছর জেলায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুমের প্রথম ৭ মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেক ইলিশ ধরা পড়েছে। 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop