বেড়েছে তেল-ডালের দাম, কমেছে মুরগি-আলু-পেঁয়াজের
এগ্রিবিজনেস
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল ও ডালের। কমেছে মুরগি, আলু ও পেঁয়াজে দাম। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
এসব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।
দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে দাম কমেছে চায়না রসুনের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি আদা বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে চায়না আদা বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা।
পিয়াজ-রসুন বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, নতুন সিজন ও আমদানি বেশি থাকায় কমেছে আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজের দাম। দাম বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এসব বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।
বেড়েছে ইন্ডিয়ান ডালের দাম। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।
এসব বাজারে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে লিটার বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।
বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, শীত বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। সাপ্লাই ভালো থাকলেও দাম কম যাচ্ছে মুরগির। গত বছরের তুলনায় এই সময় মুরগির দাম আরো কম ছিল। সেই অনুযায়ী মুরগির দাম এখনো বেশি।