বাকৃবিতে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ এগ্রোনমি এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা
দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বাংলাদেশ সোসাইটি অফ এগ্রোনমি (বিএসএ) এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ও ২৩তম জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে ০৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএ এর সভাপতি ড. নুর আহমেদ খন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাল্টিমোড গ্রুপের সিইও ও বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মঈনুল হক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শফিকুল ইসলাম সিকদার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হামনাথ ভান্ডারী, ভিয়েতনাম এফএও এর চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার জনাব সাসু মার্টিনোভ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিমিট এর উর্ধতন বিজ্ঞানী ড. দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিএসএ এর কার্য পরিধি সম্পর্কে আলোচনা করেন বিএসএ এর সহ সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম রুহুল আমিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক বিএসএ প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল কাদের এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন বাকৃবি এগ্রোনোমি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো: রমিজ উদ্দিন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘দীর্ঘ মেয়াদী শস্য উৎপাদনে স্মার্ট এগ্রোনমি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, কৃষিতে বিজ্ঞান তখনই উৎপাদনশীল, লাভবান এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে যখন সকল সেক্টর একত্রে কাজ করবে। এখানে সকত্রে বলতে রাষ্ট্র, সরকার, শিক্ষা, গবেষণা, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং বহি: পরিসেবা, সহযোগিতাকে বোঝায়।
এসময় তিনি আরও বলেন, এগ্রোনমি সেক্টরটি কৃষির সবচেয়ে পুরাতন সেক্টর। ১৯৭০ সনে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি ছিল এখন ১৭কোটি। আবার আবাদি জমি কমেছে কিন্তু কৃষির উৎপাদন বেড়েছে বলেই ১৭ কোটি মানুষের আজ খাদ্যের যোগান হচ্ছে। এটা স্মার্ট কৃষির অবদান। স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের কৃষিবিদদের বিশাল অবদান রয়েছে।
এছাড়াও মাল্টিমোড গ্রুপের সিইও এবং বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, যদিও কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে কিন্তু কৃষি ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে আর সেজন্যেই কৃষি রূপান্তরের সাথে শিল্পায়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রায় ৬ শতাধিক কৃষিতত্ত্ববিদ সদস্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ভারত, নেপাল থেকে আগত বিজ্ঞানীসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মোট ৮টি কারিগরি সেশন ও পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০টি ওরাল এবং ১০৫টি পোস্টার প্রদর্শিত হবে।