১:১০ অপরাহ্ন

বুধবার, ১৩ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২৪ ৮:৪৯ অপরাহ্ন
জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪ ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এর কনফারেন্স হল সাভার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বায়োটেকনোলজিস্ট ডক্টর আনোয়ার হোসেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইবি মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন বিষয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় জীন ব্যাবস্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সিএসও ড. মোবারক ।

সেমিনারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । দিনব্যাপী এই সেমিনারে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তাছাড়া, জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও উপস্থিত সকলের মতামত নেয়া হয় । এ সেশনটি পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) ড. জাহাঙ্গীর আলম।

ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জীন ব্যাংকে দেশে বিদ্যমান উদ্ভিদ, প্রাণী, মৎস্য, অণুজীব, কীটপতঙ্গ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মেরিন, বনজ এবং মনুষ্য কৌলিসম্পদ কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেস প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করা হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ টেকসই ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব, ইত্যাদি বা এগুলোর জেনেটিক উপাদান সংগ্রহ ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণ এর উদ্দেশ্য । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন বায়োটেকনোলজি অফ বাংলাদেশ এর ২য় সভায় ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি “জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় যা, বাস্তবায়নের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও জানান এতে প্রায় ৪০ লক্ষ নমুনা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট ল্যাব কাম অফিস এবং জীন ব্যাংক ভবন, গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, এনিম্যাল সেড, ননসীড প্ল্যান্ট সেড ও কোয়ারেন্টাইন সেড, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ডরমিটরী ভবনসহ ও অন্যান্য আবাসিক ভবন, ইত্যাদি থাকবে। ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২৪ ৭:০৯ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ দীনু : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ‘জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা’ শীর্ষক সেমিনার কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আ.খ.ম গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সোলায়মান আলী ফকির এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান। এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের লেকচারার উম্মে সুমাইয়া শাম্মীর সঞ্চালনায় সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. প্রশান্ত নিয়োগ।

সেমিনারে কৃষি অনুষদের শিক্ষক এবং এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২৪ ৯:৩৭ অপরাহ্ন
নকলায় মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্র) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার ৮১ জন কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণপূর্বক সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ড. মো: হাবিবুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসলিন মেহেদী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, নকলা, শেরপুর।আরও উপস্থিত ছিলেন এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের টীম মেম্বারদ্বয় জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার,জামালপুর ও আঞ্চলিক গবেষণাগার,ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশারসহ অনেকেই।

বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করলে ফলন ২০-২৫% বাড়ে, সারের অপচয় রোধ হয়, ফলে উৎপাদন খরচ কমে এবং মাটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জমিতে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এবার খরিপ/২৪ মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগারের মাধ্যমে টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও কার্ড ব্যবহার নিয়মাবলী এবং ভেজাল সার সনাক্তকরণের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষক কৃষাণী এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মহোদয় স্বাগত জানান এবং আগামীতে এই সেবা আরও বেশি বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুবিধাভোগীরা।

বেশি বেশি মাটি পরীক্ষা করি
সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করি,
সুষম সার ব্যবহার করে
সারের অপচয় রোধ করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২৪ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবন ব্রি ধান-১০৫
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ব্রি ধান১০৫ উদ্ভাবন করেছন। এ ধানে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) মান ৫৫। তাই লো জিআই মান সম্পন্ন এ রাইচকে ডায়াবেটিক রাইচ বলা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীরা এ ধানের চালের ভাত নিরাপদ মনে করে পেটভরে খেতে পারবেন। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্পন্ন এ ধানের চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করা খুব কম যাবে। ব্রি’র প্রধান কার্যালয়ে পুষ্টি গবেষণা বিভাগের পরীক্ষায় ব্রি ধান-১০৫ এর পুষ্টিমান নির্ণয় করে এ তথ্য জানিয়েছে । এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে । এছাড়া এ ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে দাবি কৃষি বিজ্ঞানীদের।
আর চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় ৮.৭ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান১০৫ প্রথম আবাদেই সাফল্য মিলেছে। হেক্টর প্রতি কৃষক ৬.৫ টন থেকে ৭.৫ টন ফলন পেয়েছেন বলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড.মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের মার্চে চাষের অনুমোদন পায় নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান১০৫। তারপর ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা মাঠে ধানটি চাষ করা হয়। এটি বোরো মৌসুমের ধান হলেও আমন মৌসুমে বীজ হিসেবে চাষাবাদ করা হয়। এতে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। আমাদের গবেষণা মাঠে উৎপাদিত ব্রি ধান-১০৫ এর বীজ দিয়ে বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলায় এ ধানের চাষাবাদ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেই। এ ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানান ওই কৃষি বিজ্ঞানী।
ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সাইন্টিফিক অফিসার সৃজন চন্দ্র দাস জানান, নতুন উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে ব্রি-১০৫ বোরো মৌসুমের একটি কম জিআই সম্পন্ন ডায়াবেটিক ধান। প্রচলিত ধানগুলোতে জিআই এর মান ৬৫ থেকে ৭৫। কিন্তু ব্রি-১০৫ ধানে জিআই এর মান ৫৫। এ চালের ভাত খেলে রক্তে শর্করা কম নামবে। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হল মাঝারি লম্বা ও চিকন দানা। কম জিআই হওয়ার কারণে এটি ডায়াবেটিক চাল হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করবে। ধান পাকার পরও গাছ সবুজ থাকে। এ জাতের পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সেন্টিমিটার। গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
তিনি জানান, এ জাতের দানার আকার ও আকৃতি মাঝারি সরু ও রঙ সোনালী। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এ জাতের ১০০০টি দানার ওজন ১৯ দশমিক ৪ গ্রাম। এতে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। রান্না করা ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু। তাই এ ধানের আবাদ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, ব্রি ধান১০৫ ডায়াবেটিস রাইসের পর্যাপ্ত বীজ পেলে গোপালগঞ্জ জেলায় এ ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা হবে। এতে ডায়বেটিস রোগীরা উপকৃত হবেন। তারা একটু বেশি ভাত খেতে পারবেন। এ জাতের ধানের গাছ আকারে বড়। তাই খড় গো- খাদ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
কাশিয়ানী উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের কৃষাণী রিক্তা পারভীন বলেন, ব্রি ধান১০৫ আমরা প্রথম চাষাবাদ করেছি। এ ধান হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ টন ফলন দিয়েছে। ধানটি লম্বা ও চিকন। ডায়বেটিস রোগী এধানের চালের ভাত খেতে পরেন। তাই আনেকই এধান চাষাবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমার জমিতে উৎপাদিত সব ধান বীজ হিসেবে রেখে দিয়েছে। এ ধান অন্তত ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারব।
কোটালীপাড়া উপজেলার দেবগ্রামের কৃষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, নতুন এ জাতের ধান চাষে সেচ ও সার কম লেগেছে । উৎপাদন খরচ সাশ্রয়ী ব্রি ধান১০৫ জাতের ফলন পেয়েছি বাম্পার।এ কারণে এ জাতের ধানচাষ লাভজনক । বাজারে এ ধানের চাহিদা রয়েছে।তাই আগামীতে আমরা ডায়াবেটিক রাইস চাষ সম্প্রসারণ করব।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২৪ ৬:২৪ অপরাহ্ন
মধুপুরে এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, প্রশিক্ষণ, কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার জামালপুর ও আঞ্চলিক গবেষণাগার টাঙ্গাইলের আয়োজনে ও বাস্তবায়নে এবং মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) “ব্রহ্মপুত্র” কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরিকৃত সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ, কার্ড ব্যবহার বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ, কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব কৃষিবিদ মো: জালাল উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ ড. মো: আনিছুর রহমান, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় গবেষণাগার, ঢাকা, জনাব কৃষিবিদ শাকুরা নাম্নী, উপজেলা কৃষি অফিসার, মধুপুর, টাঙ্গাইল, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুর ও এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্রের টীম লিডার জনাব কৃষিবিদ ড. রাফেজা বেগম। সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ ড. উৎপল কুমার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কার্যালয়, টাঙ্গাইল।

আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ আর্জিনা হক, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, টাঙ্গাইল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ইফফাত জাহান, জনাব কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার, জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, জনাব কৃষিবিদ মো: সালাউল্লাহ সরকারসহ অনেকেই।মহাপরিচালক জনাব মো: জালাল উদ্দীন মাটির সৃষ্টির ইতিহাস, মাটির রহস্য, ভৌত রাসায়নিক গুণাবলী, মধুপুরের মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন ফসলের উপযোগিতা,বিশেষ করে মধুপুরের আনারসের মিষ্টিতা, এই এলাকার মাটির গুণাগুণ কেন ভিন্ন, মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার ব্যবহার করে সারের অর্থ সাশ্রয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখেন।

অন্যান্য বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন টীম লিডার জনাব ড. রাফেজা বেগম। উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব শাকুরা নাম্নী ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং মধুপুর কৃষি অফিসকে বাছাই করার জন্য এসআরডিআই এর মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এরকম সহজ সেবা মধুপুরবাসী আরও বেশি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে কৃষাণ কৃষাণী, উদ্যোক্তারা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়,ফলন বৃদ্ধি পায়, জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, পরিবেশও ভালো থাকে।

মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করি, সারের অপচয় রোধ করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২৪ ১:৫৭ অপরাহ্ন
নাগরপুরে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগার “ব্রহ্মপুত্রের মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার সুপারিশ কার্ড প্রদান
কৃষি গবেষনা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (এমএসটিএল) “ব্রহ্মপুত্র” কর্তৃক কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় ১৬ মে থেকে। উদ্বোধনী দিনে ব্রহ্মপুত্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নাগরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান, উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জনাব কৃষিবিদ মো: শাহানুর ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: মনোয়ার হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের এমন জন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নাগপুর উপজেলাকে নির্বাচন করার জন্য এসআরডিআই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে নাগরপুর উপজেলার ৫০ জন কৃষাণ- কৃষাণীর ফসলি জমির মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ শেষে অদ্য ১৯ মে সংশ্লিষ্ট চাষিদের মাঝে সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয় এবং সার সুপারিশ কার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন তা হাতেকলমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় টাঙ্গাইলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ ড. উৎপল কুমার, বিশেষ অতিথি জনাব কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন, উপজেলা কৃষি অফিসার, নাগরপুর, টাঙ্গাইল। সভাপতিত্ব করেন জনাব কৃষিবিদ ড. রাফেজা বেগম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার জামালপুর ও টীম লিডার এমএসটিএল ব্রহ্মপুত্র। আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব কৃষিবিদ মো: শাহানুর ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার, নাগরপুর, জনাব কৃষিবিদ মো: মাহবুবুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার,জামালপুর, জনাব কৃষিবিদ মোঃ আবুল বাশার,বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: মনোয়ার হোসেন।

বক্তারা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাটি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সুষম সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। উল্লেখ্য #ব্রহ্মপুত্র* টীমের মাধ্যমে টাঙ্গাইল,শেরপুর, জামালপুর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করবেন। কৃষকের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চলমান এই কর্মসূচিকে চাষিরা স্বাগত জানান এবং অন্যান্য কৃষকদেরকেও তারা মাটি পরীক্ষা করে সার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে সারের অপচয় রোধ হয়,ফলন বৃদ্ধি পায়, জমিও ভালো থাকে।

মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড গ্রহণ করুন, সুষম সার ব্যবহার করে অধিক ফলন গোলায় তুলুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২৪ ৩:১৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালা ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

দীন মোহাম্মদ, বাকৃবিঃ  “বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন” শীর্ষক কর্মশালা ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে কর্মশালাটি ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের অফিস-খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল দশটায় ময়মনসিংহ সদর খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ কক্ষে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অফিসার ও কৃষকদের নিয়ে কর্মশালাটি আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে খামারবাড়ির সামনে থেকে কৃষক ও কৃষি অফিসারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক র‍্যালি বের করা হয়।


প্রকল্পের টিম লিডার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, ২০২২ সালে সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই অধিক বিপদজ্জনক কীটনাশক যার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশক বিপনন ও ব্যবহারের সাথে জড়িতদের অধিকাংশই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। কিছু কিছু কীটনাশকের ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে এবং কৃষক ব্যবহার করছেন। এতে সংশ্লিষ্টরা ভয়াবহ রকমের স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন। তারা নানা রকমের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের সার্বিক স্বার্থে কীটনাশক ব্যবহারের নিয়মাবলী ও নিষিদ্ধ কীটনাশক সম্পর্কে সকল কৃষক ও বিপননকর্মীসহ কৃষি অফিসারদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর প্রতিস্থাপক হিসেবে জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ এলাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানু, উপপরিচালক সালমা আক্তারসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাগণসহ কৃষক ,ডিলার উপস্থিত ছিলেন।

ড. নাছরিন আক্তার বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ে অনেক ক্ষতিকর কীটনাশক ও অন্যান্য সার অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যা আমাদের জলজ ও অন্যান্য জীব বৈচিত্রে প্রবেশ করে বিষাক্ত করে তুলে। পরবর্তীতে খাবার হিসেবে তা মানবশরীরেও উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই কীটনাশক ব্যবহারের সঠিন জ্ঞান লাভ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ উন্নতির দ্বিতীয় লক্ষ্যমাত্রাটি অর্জন করতে সবাইকে সচেষ্ট হয়ে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক এনায়েত উল্লাহ বলেন, কীটনাশক মূলত আবিষ্কার হয়েছিল কৃষির উন্নতি সাধনের জন্যই। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আজ আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমাদের বায়ুমন্ডল ও জলজ ভূমিতে বিভিন্ন ভারী ধাতু পাওয়া যাছে। আমরা এখনই সচেতন হতে না পারলে একসময় আমরা খুব বড় একটি বিপদে পড়ে যাবো। তাই আমাদের কীটনাশকের সঠিক পরিমাণ ও সময় নির্বাচন করে আমাদের কৃষকদের জানাতে হবে। এতে আমাদের পরিবেশ তার পুরনো রূপ ফিরে পেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৪ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
বাকৃবিতে বাংলাদেশ ও নেপালের উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং উদ্যান কৃষি বিষয়ক কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে “উন্নয়ন দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও নেপালে উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী।
তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব।এ সময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ,আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহর এবং শহরের আশেপাশের অঞ্চলে ফল ও সবজি জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তিনি বলেন শহর অঞ্চলের যেসকল পতিত জায়গা আছে যেমন ছাদ বড়ির আঙিনা এই সকল জায়গায় ফল ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা।নারী ও যুবসমাজকে এই পদ্ধতিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

তিনি আরও জানান, নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে।
কর্মশালায় নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন দেশটির এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী।
মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।
কর্মশালায় শিক্ষক সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাগণ ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৪ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বিনা ১ খেসারীর রেকর্ড পরিমাণ ফলন
কৃষি গবেষনা

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত মানবদেহের সহনশীল বিনা খেসারী ১ রেকর্ড পরিমাণ ফলন দিয়েছে।  গোপালগঞ্জ জেলায় প্রতি হেক্টরে এ জাতের খেসারী ১ হাজার ৯শ’ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। প্রচলিত জাতের খেসারী প্রতি হেক্টরে ৭শ’ কেজি উৎপাদিত হয়। প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ উৎপাদন দিয়েছে বিনা খেসারী ১। বিনা চাষে অনুর্বর নিচু জমিতে এ খেসারী আবাদ করা যায়। রোগ বালাই তেমন নেই। এ জাতের খেসারীতে মানব দেহের ক্ষতিকর বেটা অকজাইল এ্যামাইনো এলানিন নেই। বোপনের ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে ফসল তোলা যায়। এ ফসল চাষাবাদ করে গোপালগঞ্জের কৃষক লাভবান হয়েছেন।

গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলার ২৬ একর জমিতে ৫০টি প্রদর্শনী প্লটে এ জাতের খেসারী আবাদ করা হয়। প্রতি প্লটেই রেকর্ড পরিমাণ খেসারী উৎপাদিত হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছরই প্রথম বিনা খেসারী ১ আমার ৫২ শতাংশ নিচু ও অনুর্বর জমিতে আবাদ করেছি। প্রচলিত জাতের তুলনায় এ খেসারীর প্রায় তিনগুণ ফলন পেয়েছি। এ জাতের খেসারীতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। তাই অধিক উৎপাদন পেয়ে লাভবান হয়েছি। কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ি ইউনিয়নের নড়াইল গ্রামের বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, এ মৌসুমের যে কোন ফসলের তুলনায় বারি খেসারী আবাদ করে অধিক লাভের টাকা ঘরে তুলেছি। আমার দেখাদেখি আমাদের গ্রামের কৃষক এ খেসারী আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

বিনা প্রধান কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (গবেষণা) ড. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার জমি নিচু ও অনুর্বর। এখানে সাধারনত কৃষক একটি ফসল ফলিয়ে থাকে। এ জেলার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল আবাদ সম্প্রসারেণে আমরা কাজ করে যাচ্ছে। বিনা খেসারী ১ এ জেলায় কৃষকে রেকর্ড পরিমান ফলন দিয়েছে। প্রচলিত জাতের খেসারীতে মানব দেহের ক্ষতিকর বেটা অকজাইল এ্যামাইনো এলানিন মাত্রা অতিরিক্ত পরিমানে রয়েছে। পক্ষান্তরে বিনা ১ জাতের খেসারীতে ওই উপাদান মানব দেহের সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। এটি মানব দেহের কোন ক্ষতি করবেনা। এ খেসারী মানুষ নিরাপদে খেতে পারবেন। এ জাতের খেসারী আবাদ করে কৃষক যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারবেন, তেমনি লাভবান হবেন।

বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ জেলার কৃষক প্রতি হেক্টরে এ জাতের খেসারী ১ হাজার ৯শ’ কেজি উৎপাদন করেছে। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের দেশে প্রতি হেক্টরে খেসারীর গড় উৎপাদন মাত্র ৭শ’ ৫০ কেজি। বিনা খেসারী ১ বাংলাদেশর প্রচলিত যে কোন জাতের খেসারীর তুলনায় সবচেয়ে বেশি ফলন দিতে সক্ষম। এ ছাড়া এ জাতের বীজ আগামী বছরের আবাদের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। এটির আবাদ সম্প্রসারিত হলে সারাদেশে খেসারী বিপ্লব ঘটবে। আমদানী নির্ভরতা কমবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিধার রায় বলেন, গোপালগঞ্জে জেলার ৫ উপজেলায় ৮ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে খেসারীর আবাদ হয়। কৃষক বিনা ১ জাতের খেসারী আবাদ সব জমিতে সম্প্রসারিত করলে এ জেলায় খেসারীর উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। কৃষক লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৪ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশীয় কারিগরি জ্ঞান [Indigenous Technical Knowledge (ITK)] সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল  [৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.] অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের দেশীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পর্কিত কর্মশালা। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে অবস্থিত সাংবাদিক লিয়াকত আলী অডিটোরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান। গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বক্তা হিসেবে তথ্য পরিবেশন করেন ‘Identification and Efficacy Assessment of Indigenous Technical Knowledges (ITKs) as Climate Smart Agriculture (CSA) Technology’ শীর্ষক গবেষণা প্রকলপের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলাম এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের গ্রাজুয়েট  চঞ্চল বিশ্বাস, সাবরিনা ইমরোজ,  সুমনা সরকার এবং মো. আমিনুল খান। গবেষণা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞান খুঁজে বের করা এবং এর ব্যবহার ও উপযোগিতাসমূহ বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যালোচনা করা। গবেষণা প্রকল্পের জন্য তথ্য ৫টি জেলার ৫টি উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলাগুলোর দেড় ডজনের অধিক ইউনিয়নকে নির্বাচন করা হয়েছিল । এগুলো হচ্ছে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর , চিতলমারী ও চরবানিয়াড়ী ইউনিয়ন; সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ও শ্যামনগর ইউনিয়ন; খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ও চাঁদখালী ইউনিয়ন; গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার  আমতলী ও কোটালীপাড়া ইউনিয়ন; যশোর জেলার সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠী ও হৈবতপুর ইউনিয়ন। গবেষণা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকবৃন্দের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। গবেষণা প্রকল্পটির প্রথম অংশটির তথ্য সংগ্রহ পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রত্যেক উপজেলা থেকে ১০০ জন করে মোট ৫০০ জন সম্মানিত কৃষকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম বলেন এটি খুবই চমৎকার উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে দেশব্যাপী এই প্রকল্পের কাজ বিস্তৃত করার অনুরোধ করেন এবং প্রাপ্ত দেশীয় প্রাচীন কারিগরি জ্ঞানসমূহকে বই আকারে প্রকাশিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন । প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান বলেন এগুলো খুবই পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি এবং ভবিষ্যতে এ গবেষণা কাজে সম্ভব সকল ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে খুলনার নিকটস্থ স্থানসমূহের কৃষকসহ মোট ৬৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop