৭:০৬ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২ জুন , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
বিএলএস এবং রোটারি ক্লাব অব সেন্ট্রাল এর উদ্যোগে রোটারি কমিউনিটি ক্রপস ও মডেল ভেটেরিনারি সেন্টার উদ্বোধন
পাঁচমিশালি

গত বুধবার (১৯/০৭/২০২২৩) বিকাল ৬.০০ ঘটিকায় রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এবং বাংলদেশ লাইভস্টক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গ্রামভিত্তিক প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সেবা এবং অন্যান্য জনহিতকর সেবা সমুহ প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার পুকুরিয়া নামক স্থানে “আরসিসি হোপ পুকুরিয়া” নামে নতুন সেবা প্রদান কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহায়তা যেমন-প্রশিক্ষণ, কারিগরী সহায়তা, গবাদিপ্রাণি ও পাখির সাধারণ ও শল্য চিকিৎসা প্রদান, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সম্ভাব্য সব ধরণের সেবা প্রাপ্তির ব্যাপারে খামারী ও সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যের পাশাপাশি গ্রামভিত্তিক সার্বিক উন্নয়নের মহৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের মানসে গ্রামীন জনগোষ্ঠিকে বিভিন্ন ধরণের সেবার আওতায় নিয়ে এসে প্রাণিজ আমিষের যোগান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুস্থ, সবল, মেধাবী আগামী প্রজন্ম উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখার উদ্দেশেই শুরু হচ্ছে এ কেন্দ্রটির পথচলা।

রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল তাদের আরসিসি (রোটারি কমিউনিটি ক্রপস) নামক ধারণার মাধ্যমে গ্রামকে উন্নয়নের সূতিকাগার হিসেবে গণ্য করে সেখান থেকে সকল ধরণের সেবামূলক কাজের বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাংখিত উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করে। অলাভজনক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএলএস এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও এক। প্রকৃত পক্ষে যুগপৎভাবে সমন্বয় ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সেবা প্রদান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে জনগণকে নামমাত্র মূল্যে গুণগত সেবা প্রদান করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অবগত করেন। এখান থেকে সহজ শর্তে ও স্বল্প মূল্যে প্রদানকৃত সেবা থেকে প্রাপ্ত আয়ের অধিকাংশই এই সেবাকেন্দ্রের কল্যানে ব্যয় করা হবে বলে অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিএলএস এর সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ ভেটেরিনারি অফিসার ড. মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ উল্লেখ করেন। অফিস সময়ের পরে এ ক্লিনিকে তিনি সেবা প্রদান করবেন এবং অর্জিত সেবা মূল্যের পুরোটাই তিনি সমিতির তহবিলে দান করবেন বলেও ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন যে, এই কেন্দ্রটি আগ্রহী এবং উদ্যোমী ব্যক্তি বর্গের মধ্যে মানববিক গুণাবলী এবং দক্ষতার বিস্তার, বিনিময় ও বৃদ্ধির মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

 

রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সহ-সভাপতি মোঃ এনামুল হক বলেন যে, বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি নিঃস্বার্থভাবে বিনামূল্যে প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট সকল ধরণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং চালু হতে যাওয়া এ প্রষ্ঠিানের মাধ্যমে তার সমধিক বিস্তার ঘটবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন যে, আমাদের তথা সেবা গ্রহীতাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। দোরগোড়ায় স্বল্প বা বিনামূল্যে প্রাপ্ত সেবাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সেবাদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞাতা প্রকাশের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। রেটারি ক্লাব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট এবং বহির্ভূত সকল ধরণের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং বিএলএস এর সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার বলেন যে, নতুন ও বর্দ্ধিত এ ঠিকানারমাধ্যমে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রাণিসম্পদ তথা জনকল্যানে বিএলএস আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিএলএস এর সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করার জন্য তিনি রেটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল, মানবসম্পদ সেবা অভিযান এবং জনপ্রতিনিধিসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মানব সেবা অভিযানেরপ্রধান নির্বাহী মোঃ খাইরুল আলম বলেন যে, অসহায় মানুষের জন্য তারা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে থাকেন এবং এ প্রতিষ্ঠানের সাথে তারা আন্তরিকভাবে ও গুরুত্বসহকারে সে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা ট্রেনিং অফিসার ড. মোঃ ইসমাইল হক, জনতা ব্যাংক হড়গ্রান শাখার ব্যবস্থাপক রোটারিয়ান মোঃ আরিফ হোসেন, রোটারি সিটি ক্লাব অব রাজশাহীর আইপিপি হাসিবুল হাসান নান্নু, রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল এর সহ-সভাপতি এবং উত্তোরণ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির সত্বাধীকারী মোঃ মিজানুর রহমান, রাজশাহী সমাজসেবা বিভাগের সহকারি পরিচালক, রোটারিয়ান ড. আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ, তুলি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার এবং বিএলএস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাঃ সেলিনা বেগম, বিএলএস এর যুগ্ম তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদকমোঃ জাহিদ হাসান, সদস্য মোঃ মাসুদ আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দেশ ও জনকল্যানে এ প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সকলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা বিশেষ করে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হিসেবে তালগাছের চারা রোপন করা হয় এবং জানানো হয় যে, সৃজনকৃত তালগাছ রোপনের কর্মসূচী এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অব্যাহত রাখা হবে। আলোচনার শেষাংশে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে মোসাঃ সেলিনা বেগমকে সভাপতি, মোঃ আরিফুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক, মোঃ সাইদুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ, মোঃ নকিরুল ইসলামকে সহ-সভাপতি, মোঃ জাহিদ হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্য ৬ জনকে সদস্য করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ১ বছর মেয়াদী একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে হড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে সুশাসন চর্চা ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বিষয়ক সামাজিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, ময়মনসিংহ: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকান্ডে সমন্বয় ও জবাবদিহিতা অধিকতর বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হলো “ সুশাসন চর্চা ও তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন” বিষয়ক এক সামাজিক সংলাপ।

ফ্রিডরিখ ন্যাউম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম বাংলাদেশ (এফএনএফ বাংলাদেশ)-এর সহায়তায় এবং বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) আয়োজিত এই সংলাপে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী, নাগরিক সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সংলাপটি উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের মাননীয় প্রধান তথ্য কমিশনার জনাব ডক্টর আবদুল মালেক।


অনুষ্ঠানের শুরুতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংলাপের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আলোচনা করেন বিএনএনআরসি’র প্র্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এএইচএম বজলুর রহমান। তারপর এফএনএফ বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত এবং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জনাব ডক্টর নাজমুল হোসাইন।

সংলাপের এ পর্যায়ে ‘ময়মনসিংহের ভূমি, সমাজ ও স্বাস্থ্যসেবা: বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজকর্মী ও গবেষক জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম। প্রবন্ধে জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম সংক্ষেপে ময়মনসিংহ জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভূ-আঞ্চলিক অবস্থান উল্লেখ করে জেলার  বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবা ও ভূমি ব্যবস্থাপনার  বর্তমান অবস্থা, অগ্রগতি এবং বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন।

পরবর্তীতে, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ- এর সভাপতিত্বে অংশগ্রহণকারীগণ অতিথিবৃন্দ এবং প্যানেল আলোচকদের কাছে জেলার সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা; বিশেষ করে ভূমি ও স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া ও স্থানীয় পর্যায়ে মাদক, পর্যটন এলাকায় ও গণ পরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি, অবকাঠামোগত অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেন এবং সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ উল্লেখপূর্বক সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চান। পরে প্যানেল আলোচকগণ পর্যায়ক্রমে এসকল প্রশ্নের উত্তর দেন ও ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্যানেল আলোচকগণ বলেন, “আপনাদের উপস্থাপিত অভিযোগগুলো ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন মহোদয়কে অবগত করা হবে এবং সে মোতাবেক সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে”। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সেবা সমূহ পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কেউ সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর  জন্য বলা হয়।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ডক্টর আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য কমিশনার, তথ্য কমিশন বাংলাদেশ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ডক্টর আবদুল মালেক বলেন- সকল শাসন সু-শাসন নয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, ভুল তথ্য প্রচার ও প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি পর্যটন এলাকায় ও গণ পরিবহনে নারীদের  যৌন হয়রানি প্রতিরোধ এবং তাৎক্ষনিক সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ার পরমর্শ দেন।

সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু বলেন, বাক-স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি জনাব মনিরা বেগম অনু বলেন জনগণের অধিকার সঠিকভাবে পেলে সুশান নিশ্চিত হবে। জনাব মো. ফরিদ আহমেদ (যুগ্ম-সচিব) পরিচালক বলেন জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।

জনাব পুলক কান্তি চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন আপনারা নিয়মিত জাতীয় তথ্য বাতায়ন গিয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের পোর্টাল থেকে সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের সেবা সম্পর্কে তথ্য  পেতে পারবেন। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের পোর্টাল কেননা ৯০ ভাগ আপটেড এবং ১০০ ভাগ অথেনটিক । জেলা প্রশাসকের কার্যলয় থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় তার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনগুলোও পোর্টালে দেওয়া থাকে এছাড়া জেলা প্রশাসকের পোর্টালের সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরের লিংক দেয়া থাকে। জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের কবি ও সংস্কৃতি কর্মী জনাব স্বাধীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংলাপে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব আঃ কাইয়ুম, ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার জনাব এইচ এম ইবনে মিজান, এবং ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব সৈয়দ জাবেদ হোসেন।

এছাড়াও সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের মাননীয় প্রধান তথ্য কমিশনার মহোদয়ের একান্ত সচিব জনাব শাহাদাৎ হোসেইন, ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা জনাব শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
আশা করা হচ্ছে উক্ত সংলাপটি  সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সরকারী, বেসরকারী, স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যক্তিগত সেবাদানকারী প্রভৃতি সকলের সক্রিয় ভ‚মিকা জোরালকরণ, স্থানীয় পর্যায়ে  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব-প্রণোদিত হয়ে তথ্য ও সেবা প্রদানে এবং তথ্য প্রদানকারী এবং তথ্যগ্রহণকারী উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য বিএনএনআরসি একটি গণমাধ্যম উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা যা ২০০০ সালে আত্মপ্রকাশ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে নিবন্ধিত হয়। এটি জাতিসংঘের ইকোনোমিক এন্ড সোশ্যাল কাউন্সিল এর বিশেষ পরামর্শক মর্যাদা প্রাপ্ত সংস্থা এবং সংস্থাটি তথ্য সমাজ বিনির্মাণে অবদানের জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি জাতিসংঘের পুরস্কার-২০১৬ এর বিজয়ী এবং ২০১৭ এবং ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২৩- এর চ্যাম্পিয়ন ।

বিএনএনআরসি নলেজ-ড্রাইভেন মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট-এর ভূমিকায় দেশীয় আঞ্চলিক, ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে থাকে। বিএনএনআরসির কর্মপ্রচেষ্টা হলো গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর তথ্য অধিকার, সুশাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের দ্রুত পরিবর্তনশীল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধাসমূহ বিবেচনায় রেখে জ্ঞানভিত্তিক ও চলমান ইস্যু বিবেচনায় রেখে গণমাধ্যমের উন্নয়ন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২৩ ১:০১ অপরাহ্ন
কবুতর রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন
পাঁচমিশালি

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরেও অনেকেই কবুতর পালন করে। শখের সাথে সাথে এটি এখন বাণিজ্যিকভাবে লালন করছেন অনেকে। তবে কবুতর পালন করতে গিয়ে শুরুতেই অনেকে ভুল করে ফেলেন। যার ফলে প্রত্যাশিত সফলতা লাভ করতে পারেন না। তাই কবুতর পালনের প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখা গেছে যারা কবুতর পালন করেন তারা প্রাথমিক অবস্থায় এর রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। অথচ সামান্য একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে আপনি নিজের প্রিয় কবুতরটিকে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারেন।

কবুতর রোগাক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন (ইলেক্ট্রোমিন) এবং রাইস স্যালাইন (কলেরা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য যেকোন রাইস স্যালাইন) এই দুটি ওষুধ খাওয়াতে হবে। এগুলো খুবই স্বল্প মূল্যের সাধারণ ঔষধ। এতে কবুতর দ্রুত সেরে উঠবে। কবুতর পালনের প্রথম দিন থেকেই, কবুতরের সঙ্গী হিসেবে এই দুটি জিনিস বাড়িতে নিয়ে আসা উচিত।

কবুতরের ড্রপিংস পাতলা হলে, খাবার হজম না হলে, কবুতর না খেলে, বা খাবারের পর বমি করে খাবার ফেলে দিলে এবং এর সঙ্গে যখন তার মাঝে ঝিমুনির ভাব দেখা দেবে তখন রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য চেষ্টার শুরুতে কবুতরকে রাইস স্যালাইন খাইয়ে দিয়ে হবে।
অসুস্থতা দেখা দিলেই আগে আপনার কবুতরকে খাবার দিতে হবে। কবুতরের পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার পেলে কবুতর রোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকবার জন্য হলেও শক্তি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৩:৩৭ অপরাহ্ন
ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

ছোট ছোট অনিয়ম ও জবাদিহিতাহীন কর্মকান্ড একট সময় মহীরুহ হিসাবে আর্বিভুত হয়

 
নিয়ম শৃংখলাবিহীন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কর্মকান্ড যেমন একটা সময় বিশাল অনিয়মের পাহাড়ে পরিনত হয়। আজকে যারা ব্যাংক লুট করছে, দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে, তারা ছোট ছোট অনিয়ম ও নিয়মশৃংখলাবিহীন কর্মকান্ড করে শেষ পর্যায়ে বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ঠিক একই ভাবে একটা সময় চিনি, সয়াবিন তেল এ কিছু ব্যবসায়ী কারসাজি করতো। যখন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থার পরিবর্তে পুরস্কৃত করছে, তখন পুরো দেশের ছোট বড় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা কারসাজি ও অতিমুনাফায় লিপ্ত হয়েছে। যার কারনে কভিড, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ১০ টাকার সাবান ১৫ টাকা, ৫০ টাকার টুথপেস্ট ১০০ টাকায়, ৩০ টাকার পেয়াঁজ বিনা কারনে ১০০ টাকায় বিক্রি করছে। আর এভাবে সব খাদ্য পণ্যে অতি মুনাফা যেন জাতীয় মহামারী রোগে পরিনত হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নেই এমন পণ্য মেলা ভার এবং সর্বশেষ কাগজ-কলম ও সেখানে যুক্ত হলো। আর দেশের ১৮ কোটি মানুষ  এসমস্ত অন্যায়, অবিচারকে নিরবে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীসহ মূল্য সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয় হয়ে যাচ্ছে। আবার সরকার তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা বানিয়ে পুরস্কৃত করছে। তাই এখন সময় এসেছে এসমস্ত অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তা না হলে এ সংক্রামক ব্যাধি পুরো রাস্ট্র, সমাজ, পারিবারিক বন্ধনসহ সবকিছুকে চুুর্ন বিচুর্ন করে দিবে। আর এই আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত হয়ে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। ২৪ জুন ২০২৩ইং নগরীর একটি রেস্টোরেন্ট এ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের এর উদ্যোগে আয়োজিত পরিকল্পনা সভায় বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ক্যাব যুব গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। অতিথি আলোচক ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ঠ সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব সদরঘাটের সভাপতি শাহীন চৌধুরী, ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক একেএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব যুব গ্রুপের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদুল হক আয়াজ, সহ-সাংগঠনিক মহাম্মদ মিশকাত, সহ-অর্থ সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুক, আইন সম্পাদক মিনা আকতার, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম, মোহাম্মদ করিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাব যুব গ্রুপের ফজলে রাব্বি তৌহিদ, তুষার চৌধুরী, ক্যাব যুব গ্রæপের সদস্য ওমর করিম, মুহাম্মদ রায়হান, তানিয়া সুলতানা প্রমুখ।

সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় কিছু করপোরেট গ্রুপ গুলো করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) নামে নানা ভাবে লোক দেখানো ও পত্রিকা-মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করে দান খয়রাত করলেও আবার ভোক্তার পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছেন। বিজ্ঞাপন ও অনুষ্ঠান পুষ্টপোষকতার অস্ত্র ব্যবহার করে করপোরেট গ্রুপগুলো গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন। সমাজের অপরাধ, অনিয়ম ও সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজীতে যুক্তরা সুসংগঠিত আর তথাকথিত ভালো মানুষগুলো অসংগঠিত। আর এ সুযোগে গুটিকয়েক দুষ্ঠু লোক পুরো সমাজকে কুলষিত ও নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হাতে এখন সমাজ, রাজনীতি ও ব্যবসা বানিজ্যসহ সকল ক্ষমতার কাঠামো। মেধাবীরা অবমূল্যায়িত হয়ে দেশ বিমুখ হয়ে দেশের পেশার পেশা ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে।

বক্তাগন আরও বলেন, একটা সময় খাদ্যে ভেজাল, মানহীন খাবার বিক্রি হতো, এখন জীবনরক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সব ধরণের খাদ্য-পণ্যও ভেজালের সংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য-পণ্যের দাম বাড়লে একটা সময় রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে আসতেন, এখন ভোটের মাঠে ছাড়া অন্য জায়গায় রাজনৈতিক নেতাদের দেখা পাওয়া যায় না। একদিকে খাদ্য-পণ্যে ভেজাল, বাজারে মানহীন পণ্যের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে মজুতদারি ও সিন্ডিকেট করে প্রতিটি খাদ্য-পণ্যের বাজারে আগুন দিয়ে মানুষের পকেট কাটছে একশ্রেণীর মূল্য সন্ত্রাসী। ফলে মানুষ জীবন জীবিকা মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। আয়ের বৈষম্য চরমভাবে বেড়েছে, সংসার চালাতে না পেরে অনৈতিক পন্থার অবলম্বন যেন নিয়তিতে পরিনত হয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে সমাজে অস্থিরতা, অসন্তোষ ও সহিংষতার প্রকোপ বাড়তে পারে যা পুরো সমাজ ব্যবস্থায় চরম বিশৃংখলা তৈরী করতে পারে।

সভায় ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের কার্যক্রম বাড়ানো, সমাজ পরিবর্তনে আগ্রহী যুবদের সম্পৃক্ত করতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ নানা সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
আগামী ৭ মে থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৪ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৭ মে  থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৭:০০ অপরাহ্ন
“রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন”-এর উদ্যোগে এতিমখানার শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
পাঁচমিশালি

রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের উদ্যোগে এতিমখানার শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পাঞ্জাবি ও পাজামা এবং প্রতিটি শিশুদের হাতে এক শত টাকার নতুন নোট তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতিটি শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে খাতা ও কলম প্রদান করা হয়। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র:) এতিমখানায় ৭৮ জন শিশুর মাঝে ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীনের সাবেক সভাপতি ও প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান রোটার‍্যাক্টর আবদুর রহমান (রাফি), বর্তমান সভাপতি রোটার‍্যাক্টর মোঃ আরিফুর রহমান, সার্ভিস প্রোজেক্ট ডিরেক্টর রোটার‍্যাক্টর আবুল হাসনাত, রোটার‍্যাক্টর তন্ময় দত্ত, রোটার‍্যাক্টর অভিজিৎ দাস এবং রোটার‍্যাক্টর আনাস বিন সোলায়মান। রোটার‍্যাক্টর আবদুর রহমান (রাফি) বলেন, “আমরা আমাদের স্পন্সর ক্লাব “রোটারি ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি” এর রোটারিয়ানবৃন্দের সহযোগিতায় এবং আমাদের ক্লাব “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন” এর সদস্যদের সহযোগিতায় এ মহৎ কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। এছাড়াও, আমাদের এ কাজে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন। আমি সকলকেই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ সকলের দানকে কবুল করে নিক। আমি রোটার‍্যাক্ট জেলা ৩২৮১ এর ডিআরআর কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের এ আয়োজনে যুক্ত থাকার জন্য।”

গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গতবছর প্রথমবারের মতো “ঈদের খুশি” নামে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করে রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর “ঈদের খুশি” নামে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের আয়োজন করেছে ক্লাবটি। ভবিষ্যতে প্রতি বছর রমজান মাসে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনার কথা জানায় ক্লাবটি।

উল্লেখ্য, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের একটি অঙ্গসংগঠন, যেটি সারা বিশ্বব্যাপী তরুণদের নিয়ে গঠিত হয় তা হলো “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব”। “রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা মিড সিটি গ্রীন” রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ বাংলাদেশ এর অন্তর্গত একটি ক্লাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২০, ২০২৩ ৮:৫৬ অপরাহ্ন
নীলফামারীর সৈয়দপুরে আবাসিক এলাকায় লাল তালিকাভূক্ত কারখানা স্থাপন, এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্থ
পাঁচমিশালি

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের কামারপুকুর কলাবাগান নামক স্থানে শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ নামে একটি সিমেন্ট সীট উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপিত হয়েছে। কারখানাটি পরিবেশের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লাল তালিকা হওয়া সত্বেও সম্পূর্ন একটি আবাসিক এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। বিশ্বের আর কোন দেশে লাল তালিকাভূক্ত কারখানা আবাসিক এলাকায় স্থাপনের নজির নাই। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট কথা বলতে চাইলে তারা অসম্মতি প্রকাশ করেন। তাছাড়াও পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া মিল চালানো হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানান। কারখানার মালিকপক্ষ এতই প্রভাবশালী যে, কোন প্রকার নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার এলাকাবাসির জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন । উক্ত আবাসিক এলাকার নিরীহ বাসিন্দারা উক্ত কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান পরিবেশ আইন অনুযায়ী লাল তালিকাভূক্ত কারখানা শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ বন্ধ করে অতিসত্ত্বর আবাসিক এলাকা হতে অন্যত্র স্থানান্তর করা অত্যন্ত জরুরী। অন্যথায় কারখানাটির কারনে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে। সিমেন্ট সীট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এর সাথে উক্ত বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, লাল তালিকাভূক্ত কারখানা আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বিধায় উহা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে গন্য হওয়ায় শ্যামলী সিমেন্ট সীট মিলস্ লিঃ-কে সিমেন্ট সীট এসোসিয়েশন এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আতঙ্কগ্রস্থ এলাকাবাসী উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তর/কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
কৃষি বিভাগ

ফলবাগানে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় রাতের আধাঁরে কেটে ফেলা হয়েছে ফল ধরা প্রায় ৩০০ মাল্টা গাছ। এ ঘটনায় বাগানমালিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ৩নং ওয়ার্ডের কোমরপুরে ঘটেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই বাগান মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক মেজবাউর রহমান অভিযোগ করেন, বখাটেরা রাতের আঁধারে বাগানের চৌকি ঘরে ঢুকে মাদক সেবন করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের বাগান থেকে বের করে দিলে তারা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর সকালে বাগানে গিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মেজবাউর জানান। গাছগুলো দুই বছর আগের লাগানো। সেগুলোতে ফুল এসেছিলো। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত মারুফ ও ওহিদুজ্জামান নামে দুজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এস আই ফাহিম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:

পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে শনিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৩)লেখক এডভিন বরুন ব্যানার্জী রচিত ‘মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পিদিম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ রুমে এটি উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, বাংলা একাডেমির সভাপতি, সেলিনা হোসেন। উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী। অনুষ্ঠানে “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন” বইয়ের লেখক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তিনি সমসাময়িক বিষয়াবলি কীভাবে তাঁকে আন্দোলিত করেছে এবং বই লেখার পিছনে প্রেরণা যুগিয়েছে তা চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন। বইটি লিখতে যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রেরণা দিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিশেষ বক্তা সিসিডিবি’র নির্বাহী পরিচালক, জুলিয়েট কেয়া মালাকার তাঁর বক্তব্যে লেখকের সমসাময়িক বিষয়াবলির উপর বিশদ জ্ঞানের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তিনি বলেন, বইটিতে যে বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা হয়েছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। বইটি পড়ে পাঠক,পাঠক সমাজ এবং সর্বোপরি সমাজ উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় গ্রন্থ আলোচক লেখক ও এনজিও কর্মী ড. ফ্লোরেন্স লিপিকা সমাদ্দার বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। বইটি নতুন পাঠকদের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। গ্রন্থ আলোচক, লেখক ও লিটল ম্যাগ সম্পাদক, মি. আহমেদ ফয়েজ বলেন, লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষয়গুলোকে যেভাবে পাঠক সমাজের কাছে তুলে ধরেছেন, তা তাঁর গভীর জ্ঞান ও শিল্পকর্মের-ই বহি:প্রকাশ। পাঠক বই-টি পড়ে নানা উপজীব্য খুঁজে পাবে। যা তাকে জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষুধা মিটাবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন লেখক রঞ্জনা বিশ্বাস, মি. জুলিয়াস অধিকারী, রেভারেন্ড মিলিতা দাস প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. তপন বাগচী বলেন, লেখক সমসাময়িক বিষয়াবলি তাঁর লেখনী দিয়ে সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন। বইটিতে একই সাথে সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় নানা বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। সুন্দর সুন্দর উপমা এবং যুক্তি দিয়ে তাঁর লেখনীকে সমৃদ্ধ করেছেন। লেখক যে একজন ভালো পাঠক বইটিতে তারও প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠেছে। তিনি লেখককে আরো ভালো বই উপহার দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, লেখক “মুক্ত করো রুদ্ধ চেতন”বইয়ের মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান মূল্যবোধের উপর আঘাত করেছেন। যেন সমাজে পরিবর্তন আসে। এ বইটি পাঠকের নিকট দিকনির্দেশনা হিসাবে কাজ করবে। লেখক তাঁর লেখনী দিয়ে আমাদের মাঝে মহাদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছেন। যারা পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য রাজনীতি করেন তাঁরা যদি বইয়ের ভাবনাকে সমাজের মানুষের কাছে নিয়ে যান তাহলে আমাদের দেশ একটি মহান দেশে পরিনত হবে। লেখকের বিচিত্রমূখী চিন্তা ভাবনা পাঠকের কাছে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। আমরা সবাই বইটি পড়ে সৎ পথে চলব অন্যকেও সে পথে চলতে উৎসাহিত করব।
সভাপতির বক্তব্যে উইং কমান্ডার (অব.) খ্রীষ্টফার অধিকারী বলেন, বইটিতে লেখক সমাজ পরিবর্তনের যে ডাক দিয়েছেন তা সত্যিই একটি সাহসী পদক্ষেপ। বইটিতে পৌরাণিক ভাষার পাশাপাশি আধুনিক ভাষার চমৎকার মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়।

সমাপনী বক্তব্যে জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর সেলিম (সিনিয়র পরিচালক, কার্যক্রম, পিদিম ফাউন্ডেশন) বলেন, বইটিতে লেখক তাঁর লেখনি দিয়ে সমাজ, ধর্ম এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বিষাবলীর উপর যুগোপযোগী এবং যুগান্তকারী ভাববিনিময় করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংনীয়। বই-টি পড়ে নতুন পাঠকদের মধ্যে সাহিত্য চর্চাবোধ জেগে ওঠবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জনাব মোঃ শফিউল্লাহ শোভন, সিনিয়র পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ, প্রশাসন ও মনিটরিং) পিদিম ফাউন্ডেশন। মোড়ক উন্মোচন
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন, জয়েস তিথি, উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ ও আরটিডি) এবং সোমা সরকার, সহকারী পরিচালক (অর্থ), পিদিম ফাউন্ডেশন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৮, ২০২৩ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
বিআরবিডি’র “ল্যাটেক্স উইথ ওভারলিফ” শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে দুই বছরের অধিক সময় ধরে নানা আঙ্গিকে অবদান রেখে যাচ্ছে “গবেষক হতে চাই :: Be Researcher BD (BRBD)’ প্লাটফর্মটি। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও টেকসই উন্নয়নসহ সকল বিষয়ের ওপর গবেষণাধর্মী কর্মসম্পাদনে সহায়তা করে আসছে । গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়গুলোকে সবার কাছে সহজ করে তোলার জন‍্য প্লাটফর্মটি ইতোমধ্যে বেশ কিছু ফ্রি কোর্স, ট্রেনিং, ওয়েবিনার/সেমিনার, ওয়ার্কশপ, লাইভ আলোচনা, ইত্যাদি-র আয়োজন করেছে। গবেষণা বিষয়ক এসব কার্যক্রমসমুহের গ্রহণযোগ্যতা আকাশচুম্বী; যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন গবেষকদের মাঝে ব‍্যাপক সাড়া ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের ব‍্যাপক আগ্রহ এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্লাটফর্মটির পক্ষ হতে ‘LaTex with Overleaf’ শীর্ষক ফ্রি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মূল উদ্দেশ্য হল গবেষকদের তাদের বৈজ্ঞানিক লেখায় পরিপূর্ণতা আনতে সহায়তা করা। LaTeX একটি উচ্চ-মানের টাইপসেটিং সিস্টেম; এটি প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ফাংশনের সুবিধা দিয়ে থাকে। খুব সহজেই মানসম্মত আর্টিকেল তৈরিতে LaTeX -এর বিকল্প নাই।
বিআরবিডি’র “ল্যাটেক্স উইথ ওভারলিফ” শীর্ষক ফ্রি ওয়ার্কশপ
ওয়ার্কশপ চলাকালীন সময়ে একাংশ
আমেরিকা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রায় ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বাংলাভাষাভাষী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণ উক্ত ওয়ার্কশপে রেজিষ্ট্রেশন করে। একটি অনলাইন কুইজের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে রেজিষ্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত অংশগ্রণকারী বাছাই করা হয় (লিস্টঃ https://tinyurl.com/brbd-latex-registered-list)। কুইজের সিলেবাস ছিল বিশ্ববিখ্যাত গবেষক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের “High Impact Paper Writing Guidelines”-শীর্ষক লেকচার সিরিজটি।
আজ ৭ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে জুম প্ল‍্যাটফর্মের মাধ‍্যমে ভার্চুয়ালি ‘LaTex with Overleaf’ ওয়ার্কশপটি সম্পন্ন হয়।  সকাল ১০:০০ টা থেকে শুরু হয়ে দুটি ধাপে প্রায় ৪ ঘন্টার অধিক সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই ওয়ার্কশপটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন আশীষ পন্ডিত (গবেষক  ও জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডাইনামিক সলুশন ইনোভেটরস (DSi))। ওয়ার্কশপে Guest of Honor  হিসেবে ছিলেন BRBD-এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও এই ওয়ার্কশপের সম্মানিত মেন্টর, চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ছাবির হোসাইন। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ প্রদান, ওয়ার্কশপলব্ধ জ্ঞান গবেষণা কাজে লাগানো, প্ল্যাটফর্মটির নানাদিক তুলে ধরেন। প্রশ্ন-উওর পর্ব শেষে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি। ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করে BRBD প্ল্যাটফর্মের ক্যাম্পাস রিসার্চ অ্যাম্বাসেডর, জনাব মোঃ রিফাত হোসেন (শিক্ষার্থী-আন্ডারগ্র্যাড, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর)। এই ওয়ার্কশপের কো-অরডিনেটর হিসেবে ছিল সাদিয়া কারিমুন (লিডার, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টিম, বিআরবিডি)। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে মহিন উদ্দিন (৪র্থ বর্ষ, গণিত বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ)।
ওয়ার্কশপের রিসোর্স পার্সোন ও মেন্টর-এর বরাতে জানা যায়, যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের জন‍্য ওয়ার্কশপের লেকচারটি কয়েকটি খন্ডে BRBD-এর ইউটিউব চ্যানেলে “LATEX with Overleaf Workshop”-নামক প্লেলিষ্ট আকারে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ওয়ার্কশপ সংক্রান্ত সকল তথ্য জানা যাবে BRBD–এর ফেসবুক পেজ, গ্রুপ, লিংকডইন ও চ্যানেল থেকে। গবেষণা, প্রকাশণা ও উচ্চ-শিক্ষাবিষয়ক যেকোন ধরনের তথ‍্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেন তাদের ইমেইলে (beresearcherbd@gmail.com)।
শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop