৯:৩২ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৪ ২:৪৭ অপরাহ্ন
গ্রীষ্মের দাবদাহে মুরগির হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়
পোলট্রি

গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমের প্রভাব পড়েছে গবাদি প্রাণিতেও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরগির স্ট্রোক করে মারা যাবার খবর প্রতিনিয়তই পাওয়া যাচ্ছে।  বাড়ন্ত ব্রয়লার বেশি স্ট্রোক করছে আর লেয়ার মুরগিতে কমে যাচ্ছে ডিমের উৎপাদন। তীব্র দাবদাহে গত ১০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির দাবি, চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে, যার আনুমানিক ক্ষতি দিনে ২০ কোটি টাকা। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে ডিম ও মুরগি উৎপাদন কমেছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

 

গরমের বিরূপ প্রভাব থেকে মুরগিকে বাচাতে খামারিরা ফার্ম ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনছে। ফার্মে অতিরিক্ত ফ্যানের ব্যবস্থা, মুরগির গায়ে পানি ছিটানো, দিনের বেলা খাবার বন্ধ রাখা, খাবার পানিতে স্ট্রোক প্রতিরোধে ঔষধ ব্যবহার করা, ঘরের চালে চট দিয়ে তার উপর পানি ছিটানো সহ খামার ব্যবস্থাপনায় যত ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব সবই করছেন খামারিরা কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না।

পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ডা. খালিদ হোসাইন বলেন – গরমে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই সময়ে মুরগির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে খামার ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। খামারে পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করা, শেড ঠান্ডা রাখা, দুপুর বেলা খাবার বন্ধ রাখার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।  আবার টিনের চাল যেন উপ্তত্ত না হয় সেজন্য পাটের ব্যাগ দিয়ে তাতে নিয়মিত পানি স্প্রে করে শেডের ভিতর ঠান্ডা রাখা যেতে পারে।  যেসব ফার্ম সিমেন্ট শীট ব্যবহার করে তাদের অবশ্য এই ধরনের ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন  খুব বেশি প্রয়োজন হয় না।

গরমে সাধারণ ঢেউটিন ব্যবহারকারী ফার্ম এবং আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহারকারী ফার্মের মাঝে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আনোয়ারের  সিমেন্ট শীট ব্যবহারকারী ফার্মে খামার ব্যবস্থাপনায় তুলনামূলক কম পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, তুলনামূলকভাবে অনেক কম মুরগি মারা যাচ্ছে যা এগ্রিভিউ এর সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের লেয়ার খামারী তাইফুল জানান যে তার খামারে বিভিন্ন বয়সের ১৪ হাজার লেয়ার মুরগি আছে।  গরমের প্রচন্ড তাপে তার খামার ব্যবস্থাপনায় খুব কমই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মুরগির দৈনিক খাবার গ্রহন কিছুটা কমেছে তবে তা অন্যান্যদের তুলনায় অনেক কম।  ফলে ডিমের প্রোডাকশনে খুব একটা হেরফের হয়নি, তিনি আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহার করে এই তীব্র গরমেও সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছেন।

কেরানিগঞ্জের খামারি সোহাগ পোল্ট্রি জানায় যে তার বিভিন্ন বয়সের ব্রয়লার রয়েছে।  তার এলাকায় গরমে প্রায় প্রতিটি খামারের বাড়ন্ত মুরগি স্ট্রোক করছে।  খামারের ব্যবস্থাপনা ভেদে ২০ থেকে ৩০ দিন বয়সী মুরগির দৈনিক স্ট্রোক করে মর্টালিটি প্রায় ৫-১০ শতাংশ হলেও তার ফার্মে খুব বেশি মুরগি মারা যাচ্ছে না, আনোয়ারের সিমেন্ট শীট ব্যবহারের ফলে ঘরের তাপমাত্রা মোটামুটি নিয়ন্ত্রনেই থাকে, ফলে তীব্র গরমের কারণে খামার ব্যবস্থাপনায় খুব বেশি পরিবর্তন আনতে হয় না।

 

টাংগাইল এর ঘাটাইলের এ আর পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ রুহুল আমীন বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আনোয়র সিমেন্ট শীট ব্যবহার করি, আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না, সিমেন্ট শীট টেকসই তাই পরিবির্তনও করতে হয় না কয়দিন পর পর।

ধামরাই উপজেলার ভাই ভাই পোল্ট্রির স্বত্ত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেনের ৭ টি বড় বড় শেড রয়েছে, সবগুলাতেই আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহার করা।  এই তীব্র গরমেও তার মুরগির প্রোডাকশন ভালো আছে, মর্টালিটি খুব একটা নেই বললেই চলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২৪ ২:৫২ অপরাহ্ন
তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজিতে ডিমের দাম অস্থির
পোলট্রি

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠানামা করে তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের উপর নির্ভর করে। মোবাইল এস এম এস ও ফেইসবুকের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম সমিতি। তারা কম দামে ডিম কিনে নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীরা সেই দামে কিনতে বাধ্য হন।

 

শনিবার (২৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, খামারি মালিক থেকে চার দিন পর পর ডিম কিনে আড়তদার। খামারি চাইলে অন্য কারো কাছে ডিম বিক্রি করতে পারেনা। একই পাইকারের কাছে ডিম বিক্রি করতে হয়। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের সেই দামে কিনতে হয়। পাইকারি খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠানামা তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের উপর নির্ভর করে।

তার অভিযোগ, পাইকারি খুচরা পর্যায়ে প্রতিদিন প্রতি শতকে ডিমে ১০ টাকা ২০ টাকা করে কমিয়ে ৭ টাকায় দাম নামিয়ে আনে। আবার একই নিয়মে বাড়িয়ে দিয়ে ডিমর পিস ১৩ টাকায় পৌঁছায়। মোবাইল এস এম এস ও ফেইসবুকের মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম সমিতি। ঢাকা কাপ্তান বাজার ডিম সমিতি সাভার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, স্বরূপকাঠি, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ রংপুর এই দাম অনুসরণ করে। এরপরে তারা কম দামে ডিম কিনে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে অতি মুনাফা করছে। অন্যদিকে উৎপাদক ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিপিএয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চাষি মামুন বলেন, ছোট ছোট কৃষি ও শিল্প  ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী, সিন্ডিকেট ও করপোরেট ব্যবসায়ীর স্বার্থে এটা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ধ্বংস করে কোনো দেশ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিম মুরগির সংকট নিরসন, বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা ও প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের সুরক্ষায় আগামী বাজেটে এক হাজার কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অসাধু সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন সংগঠনটি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৪ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার পালনে কিছু সমস্যা ও এর প্রতিকার
পোলট্রি

ব্রয়লার লালন পালনে খামারি ভাইয়েরা মাঝে মধ্যেই নানা রকম সমস্যায় পড়েন। সময় মতো এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য খামারিকে চৌকস না হয়ে উপায় নেই। একজন চৌকস খামারি হিসেবে ব্রয়লার পালনে যেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে চলুন সেটা জেনে নিই।

ব্রয়লার পালনে সমস্যা :
ব্রয়লার পালনে খামারি ভাইয়েরা যেসব সমস্যায় পড়েন সেগুলো হলোন্ধ
১. গামবোরো রোগ,
২. ওজনে পার্থক্য (একই বয়সের বাচ্চা কিছু দিন পর ছোট-বড় হওয়া)
৩. সমন্বয়হীন বাজারব্যবস্খা,
৪. খামারিদের ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা।

পামবোরো রোগ :
খামারি ভাইয়েরা গামবোরো রোগ নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। গামবোরো ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগের কার্যকরী কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সময়মতো টিকা দেয়া থাকলে রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এই রোগের আক্রমণ যদি ঘটেই থাকে তাহলে উন্নত ব্যবস্খাপনার মাধ্যমে মৃত্যুহার কিছুটা কমানো যায়। এই রোগে আক্রান্ত মুরগি খাদ্য ও পানি খাওয়া বìধ করে দেয়, পালক উসকো-খুসকো দেখায়। সাদা পাতলা ও দুর্গìধযুক্ত পায়খানা করে। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, হাঁটতে পারে না। অবশেষে মারা যায়। তবে এই রোগে মৃত্যুহার ৩০ ভাগের বেশি হয় না। থাইয়ের গোশতে রক্তের ছিটা দেখা যায়। একই বয়সের বাচ্চা প্রথমে বড় এবং পরে ছোট হয়ে যায়, বাচ্চা কাটলে ভিতরে রক্তের ফোঁটা দেখা যায়।

চিকিৎসা :
এই রোগের কার্যকরী কোনো চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধ ব্যবস্খাই একমাত্র উপায়। গামবোরো রোগ দেখা দিলে মুরগির ঘরে খাদ্য ও পানির পাত্র বাড়াতে হবে। কারণ এই রোগে খাবারের প্রতি অরুচি হওয়ায় না খেয়ে দুর্বল হয়ে মুরগি মারা যায়। তাই খাদ্য ও পানি পাত্র এমনভাবে দিতে হবে যাতে ঘুরলেই খাদ্য পায়। এই রোগে অরুচি, ডিহাইড্রেশন এবং মুরগি না খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে পানিতে ভিটামিন সি, স্যালাইন ও গ্লুকোজ মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ছোট-বড় হওয়া :
প্রায়ই দেখা যায় একই ব্যাচে একই বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা কিছু দিন পর কতকগুলো বেশ ছোট হয়ে গেছে। এর জন্য দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনেক কারণ জড়িত। যেমনন্ধ কৌলিকাত্ত্বিক কারণ, পরিবেশগত ও ব্যবস্খাপনাগত কারণ। দৃশ্যমান বা পরিবেশগত কারণের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য ও পানির পাত্র থাকা। কারণন্ধ প্রথম সপ্তাহে বিশেষ করে এক-তিন দিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চার চলাচল সীমিত থাকে এবং খাদ্য না চেনার কারণে খাদ্য খাওয়ায় তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তাই এই সময়ে যেসব বাচ্চা এক বা দুই দিন খাদ্য ভালোভাবে খেতে পারে না সেগুলোই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পরে খাদ্য খাওয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ছোট হয়ে যায়। পুরুষ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি স্ত্রী বাচ্চার চেয়ে ২০-২৫ ভাগ বেশি হওয়ায় স্ত্রী বাচ্চা ছোট হয়। মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা এক সাথে পালন করা। বিভিন্ন বয়সের মুরগির ডিম এক সাথে ফুটানো হলে পুলের ডিমের বাচ্চা ছোট হয়। ব্রুডিং পিরিয়ডে কাáিক্ষত তাপ না পাওয়া।

প্রতিকার :
মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা না কিনে একই এ বা বি গ্রেডের বাচ্চা কিনতে হবে। বাচ্চা ছোট-বড় দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। কাáিক্ষত পরিমাণ খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

খামারিদের ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা :
রোগ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম এ কথাটা মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বেশি যুক্তিযুক্ত। অনেক খামারি জেনে না জেনে রোগ প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ান, যা মোটেও ঠিক না। অসুখ না হলে ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মতো টিকা দিতে হবে। সুস্খ মুরগিকে রোগ প্রতিরোধের নামে ওষুধ খাওয়ানোর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এমনকি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যেতে পারে। তাই প্রতিরোধের জন্য ওষুধ না খাইয়ে সময় মতো টিকা দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২৪ ২:০৭ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের খামার যেভাবে জীবাণুমুক্ত রাখবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার পালন লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই মুরগির খামার গড়ে তুলছেন। খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে খামার জীবাণুমুক্ত না করার কারণে অনেক সময় খামারে মারাত্মক রোগের দেখা দেয়।

ব্রয়লার পালনে খামার জীবাণুমুক্ত রাখার কৌশল:

খামারের আগের মুরগি বিক্রি করার পর ফিডার, ড্রিংকার ম্যালাথিয়ন বা সেভিন ১০ মিলি/লিটার পানিতে রাখার পর পর্দা তুলে দিয়ে স্প্রে করতে হবে যাতে সেডের ভিতরে যত পোকা বা বিটল আছে সব মারা যায়। যদি এগুলো যদি বেঁচে থাকে তবে পরবর্তী ফ্লকে জীবানু নিয়ে যেতে পারে। এরপর ৪ লিটার পানিতে ১ লিটার ফরমালিন দিয়ে সম্পূর্ন ঘর স্প্রে করতে হবে।

ব্রয়লার মুরগির খামারে ফরমালিন স্প্রে করার কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পর শেডের ভিতরের ফিডার, ড্রিংকার বের করে ফেলতে হবে।
ব্যবহৃত লিটারগুলো বস্তায় ভরে আগের স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যা বিক্রি করা যাবে অথবা সবজি ক্ষেতে সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

মেঝেতে নারিকেলের ঝাড়ু, প্লাস্টিক ব্রাশ দিয়ে ধূলিকনা, মাটি, মুরগীর পাখনা, আবর্জনা ইত্যাদি যদি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ভালোকরে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

জীবাণুমুক্ত করার সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে ফিউমিগেশন করা। ফিউমিগেশন এর জন্য ঘরের আয়তন অনুযায়ী ফরমালিন ও পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে জন্য ৪০ মিলি ফরমালিন এবং ২০ গ্রাম পটাশ ১০০ ঘন ফুট শেডের জন্য প্রয়োগ করতে হবে।

মেঝে থেকে সবকিছু সরানোর পরে পানি দিতে হবে। তবে ঘরে পানি ব্যবহার করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে ইলেকট্রিক মেইন সুইস অফ করা হয়েছে। অফ করা না থাকলে তা অফ করে তারপর পানি ঢেলে দিতে হবে।

মেঝে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর কস্টিক সোডা ১.২৫ কেজি প্রতি ১০০০ বর্গফুট ফ্লোরে দিয়ে ২৪ ঘন্টা পানি দ্বারা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘন্টা পর কস্টিক সোডার পানি বের করে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ফ্লোর ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

খামারে লিটার ঢুকানোর পূর্বেই ম্যালাথিয়ন ও ফরমালিন স্প্রে করে পরিষ্কার শেডে ঢুকাতে হবে। এতে আরও বেশি জীবাণুমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
মুরগিকে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচানোর উপায়…
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে মুরগি পালনে খামারীরা বেশ হিমসিম খাচ্ছেন । বিশেষ করে দিনের বেলা তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে প্রায় ৩৮-৪১ ডিগ্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য পোলট্রি খামারিরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। প্রায় দেখা যায় যে ব্রয়লার এ ২৫-৩০ দিন বয়সে বা লেয়ার মুরগি দুপুর বেলায় খুব হাপাতে থাকে, হঠাৎ করে লাফ দিয়ে উঠে মারা যায়। খামারিরা এটাকে হিট স্ট্রোক নামেই জানেন।

এরকম আবহাওয়ায় খুব কম সময়ের ব্যবধানে একটি ১০০০ সেডে ২০০-৩০০ মুরগি মারা যাওয়ার অনেক রেকর্ড আছে। এ অবস্থায় পোল্ট্রি খামারীরা
বিটেইন, স্যালাইন, ভিটামিন সি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় এসব প্রয়োগ করেও মৃত্যু হার কমানো সম্ভব হয় না। ফলে খামারীদের আর্থিক অপচয় ঘটে থাকে।

তবে কিছু আধুনিক টেকনোলজি আছে যা প্রয়োগ করে খামারে অতিরিক্ত গরমে মৃত্যু হারের পরিমান কমানোর পাশাপাশি বাড়তি খরচ ৮০-৯০% কমানো সম্ভব।

আসুন অত্যন্ত সহজ এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানি
১.  পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এর ব্যবস্থা করতে হবে।

২.  লিটারে গ্যাস রাখা যাবে না ( গ্যাস হলে স্টান ফ্যান এর ব্যবস্থা করুন )

৩.  লিটার তুলনা মুলক কম দিবেন ।

৪.  পরিমানের চেয়ে ঘরে মুরগি কম রাখুন।

৫.  পানিতে ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৬.  মুরগীর গায়ে পানি স্প্রে করে দিতে পারেন।

৭.  অল্প সময় পরপর পানি পরিবর্তন করুন।

৮.  টিনের চালে পাটের চট দিয়ে পানি স্প্রে করুন।

৯.  শেডের উপর ভিজা চট দিয়ে রাখলে এবং শেড এ সিলিং ফ্যান থাকলে শেড তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।

১০.  সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

 

সচেতনতায়: বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
গরমে পোল্ট্রির যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

প্রাণীজ আমিষের বড় একটা অংশ আসে পোল্ট্রি শিল্প হতে। প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই এ শিল্পের সুদৃঢ় ভবিষ্যত চিন্তা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। গরম কাল এ পোলট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি এবং লেয়ার খামারের ডিম সংখ্যা। সে কারণেই নিচের টিপসসমূহ খামারি ভাইদের খুবই কাজে লাগবে:

পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতে উত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণ কমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয় এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।

তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করে গাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডে প্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডের ছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময় মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়ে কুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটার দ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালে ব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভাল হয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধ চলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।

গরমে পোল্ট্রি খামারে খাবার ব্যবস্থাপনা: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮ হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখের গুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।
লেখক: ডা. সুমন তালুকদার (রুনু) , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২৪ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
গরমে পোল্ট্রির বাড়তি যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

প্রাণীজ আমিষের বড় একটা অংশ আসে পোল্ট্রি শিল্প হতে। প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই এ শিল্পের সুদৃঢ় ভবিষ্যত চিন্তা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। গরম কাল এ পোলট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি এবং লেয়ার খামারের ডিম সংখ্যা। সে কারণেই নিচের টিপসসমূহ খামারি ভাইদের খুবই কাজে লাগবে:

পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এর প্রভাব: ঘর্মগ্রন্থি না থাকার কারণে মোরগ-মুরগির অতিরিক্ত গরম অসহ্য লাগে। এতে উত্পাদন ক্ষমতা ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত তাপে এদের পানি গ্রহণ, শ্বাস-প্রশ্বাস, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে থাইরয়েড গ্রন্থির আকার, রক্তচাপ, নাড়ির স্পন্দন, রক্তে ক্যালসিয়ামের সমতা, খাদ্য গ্রহণ, শরীরের ওজন ও ডিমের উত্পাদন হ্রাস পায়। ১৫ হতে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এদের উত্পাদন সর্বোচ্চ। ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শতকরা ৪ ভাগ হারে পানি গ্রহণ বৃদ্ধি পায়। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পর হতে ডিমের সংখ্যা না কমলেও প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ডিমের ওজন শতকরা এক ভাগ হারে কমে যায়। ২৬.৫ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রার পর হতে মোরগ-মুরগির খাদ্যের রূপান্তর ক্ষমতা হ্রাস পায়। ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে প্রতি ডিগ্রি তাপ বৃদ্ধিতে ২ হতে ৪ শতাংশ খাবার গ্রহণ কমে যায়। ৩৬ হতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মোরগ-মুরগির জন্য অসহনীয় এবং ৩৮ ডিগ্রির পর মৃত্যু হার খুব বৃদ্ধি পায়।

তাপজনিত ধকল প্রতিরোধে করণীয়: খামারের আশে পাশে ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রোপণ এবং ঘর পূর্ব-পশ্চিমে হওয়া বাঞ্চনীয়। তবে আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনায় বায়োসিকিউরিটির কথা চিন্তা করে গাছপালা রোপণের প্রতি অনুত্সাহিত করা হয়ে থাকে। গরমে পোল্ট্রি শেডে প্রত্যক্ষ সূর্যালোক পরা যাবে না। অত্যধিক গরম প্রতিরোধে প্রয়োজনে শেডের ছাদে/বা টিনের চালায় দিনে দু’তিন বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টিনের নিচে চাটাই/হার্ডবোর্ড দিয়ে সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক সময় মুরগি যখন হাঁ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় তখন ঘরে সেপ্র মেশিন দিয়ে কুয়াশার মত করে পানি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। পানির ড্রিংকার ও ফিডারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ঘন ঘন ড্রিংকারের পানি পাল্টাতে হবে। গরমে বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে শেডের মেঝে অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে হয়ে লিটার দ্রুত ভিজে যায়। ফলে রোগের আক্রমণও বাড়ে। সেজন্য প্রতিদিন সকালে ব্রয়লার শেডের লিটার উলোট-পালোট করা প্রয়োজন। লিটারে গুঁড়ো চুন ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। শেড হতে শেডের দূরত্ব ৩০ ফুটের অধিক হলে ভাল হয়। শেডে মোরগ-মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে তা কমিয়ে দিতে হবে। বাতাসের অবাধ চলাচল শেডের ভেতরের তাপমাত্রা শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং পোল্ট্রির জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত রাখবে। শেডে স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।

গরমে পোল্ট্রি খামারে খাবার ব্যবস্থাপনা: ঠাণ্ডা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এদের খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, সেহেতু প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ৮ হতে ১০ ভাগ শক্তি কমিয়ে প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১০-১২ গ্রাম গ্লুকোজ ও মুরগি প্রতি ১০ গ্রাম ভিটামিন সি পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রাকৃতিক বিটেইনে ধনাত্মক ও ঋনাত্মক আছে যা কোষের মধ্যে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হিট স্ট্রোকের হাত থেকে এরা রক্ষা পায়। গরমে পোল্ট্রির অ্যামাইনো এসিডের চাহিদা বেড়ে যায়। বিটেইনে মিথাইল মূলক বিদ্যমান, যা মিথিওনিন ও কলিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। গরমে প্রয়োজনে একদিনের বাচ্চার জন্য পানিতে আখের গুড়, ভিটামিন সি অথবা ইলেকট্রোলাইট যুক্ত স্যালাইন পানি দিতে হবে।
লেখক: ডা. সুমন তালুকদার (রুনু) , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৪ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
Viruses in Animal Feed Need More Attention
পোলট্রি

Animal feed is a part of the food chain and has an impact on both the health and welfare of animals as well as the safety of human food. This article lists possible suggestions to prevent the spread of viruses by feed.

Many hazards may contribute to contaminated feed. Hazards are categorized as biological, chemical or physical. Bacteria, molds, viruses, prions and parasites are examples of biological hazards. In fact, feed could be a possible source of this type of hazard and special attention has been paid to pathogenic bacteria. Many articles have been published and manufacturing procedures developed related to the control of salmonella as a zoonosis bacterium in feed which is responsible for causing feed/food borne illness of animals and humans. Bacteria as live organisms can also replicate in feed.

Viruses can potentially exist in feed but they cannot reproduce by themselves. They can only multiply in a suitable host and not in the feed, thus for many years, viral contamination of feed has not been given a lot of attention in feed quality and safety management systems. However, feed is a potential vector to spread viruses to animals and humans. Global feed production is more than 1.1 billion tons annually and many consignments of feeds are transferred from one continent to another by trans-oceanic shipping.

In recent years, many viral diseases outbreaks have infected livestock and other animals. Foot and mouth disease (FMD), Newcastle disease, Avian influenza, Porcine epidemic diarrhoea (PED) and African swine fever (ASF) are recent instances of viral diseases in livestock. Many of the viral diseases do not infect humans but will affect the health of livestock, food supply chain and international trade.

One of the main potential routes of spreading viral diseases in animals within the borders of countries is the transit of live animals. When there is a viral disease outbreak, severe quarantine tasks are implemented preventing the transit of live animals to control animal diseases within the borders. However, these severe controls have not been implemented for feed in the same manner. Many of the viruses responsible for animal diseases are stable in feed and feed ingredients, even during long distance transportation.

 

Suggestions to prevent the spread of viruses through feed:

  • Measures should be taken to prevent contamination from infected areas to the clean areas.
  • Measures to prevent the spread of viruses should be considered in national and international policies, biosecurity protocols for farms and feed mills and feed quality management systems.
  • Early warning systems for infected areas and countries should be considered.
  • More awareness and attention should be given to potentially virus infected feed by government authorities for products that are internationally traded.
  • Suppliers of feeds and feed ingredients should consider the health status of the origin country or region along with price and nutritional value.
  • Feed manufacturers should buy feed ingredients from non-infected areas.
  • Bans on imported feed and ingredients from infected areas and countries should be considered by governments.
  • The use of potential anti-virus treatments in the manufacturing of feeds and feed ingredients such as chemical treatments (feed additives such as organic acids, fatty acids and essential oils), thermal treatments and legal fumigants to reduce or eliminate viruses should be considered.
  • Potentially infected materials should be kept quarantined prior to use to overcome the survival time of livestock pathogens, where possible.
  • Feed safety management systems, feed safety policies and biosecurity plans of feed mills and livestock farms should include risk mitigation protocols for viruses potentially transmitted in feed stuffs.
  • Virus survival time in feeds and feed ingredients are different and some feed stuffs are more high-risk. Products should be evaluated based upon risk and used in risk ranking models.
  • Vehicles that transport feed from feed mills to livestock farms are subjected to virus infection and should be cleaned and disinfected by effective methods between deliveries.
  • Appropriate methods of sampling and rapid detection of important viruses should be used in international trade of feed.
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৪ ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে যা করবেন
পোলট্রি

সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল খামারিদের ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমান সময়ে ব্যাপকহারে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। খামারে অনেকেই সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। অনেকেই ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। খামারে লাভবান হওয়ার জন্য ডিম উৎপাদন বাড়ানো জরুরী।

সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলঃ
মুরগির খামার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের ভেতরে যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না সৃষ্টি হয়। খামারটি সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে।

সোনালি মুরগি পালনে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সবার আগে খাদ্য ব্যবস্থায় দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য প্রদানের ভিত্তিতে মুরগির ডিমের উৎপাদন নির্ভর করে থাকে। তাই সোনালি মুরগিকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। সোনালি মুরগি পালনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য লেয়ারের মতই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে আলোকসূচিতে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

সোনালি মুরগির খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য খামারটি খোলামেলা স্থানে হলে ভালো হয়। খামারে লক্ষ্য করুন কোন মুরগিগুলো ডিম দিচ্ছে আর কোন গুলো দিচ্ছে না। যেগুলো থেকে ডিম পাচ্ছেন না সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

খামারে খাদ্যের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের ভেতরে কিছু দূর পর পর পানির পাত্র দিতে হবে। খামারে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। সময়মতো মুরগিকে কৃমিমুক্ত করতে হবে। মাঝে মাঝে মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৪ ৬:০০ অপরাহ্ন
লাভ-লসে ভেঙ্গে না পড়া খামারী মাহফুজ
পোলট্রি

স্বাবলম্বী হওয়ার সুবাদে বাবার করা খামারকে আবারো তৈরি করতে কাজ করছেন নোয়াখালী জেলার চাটখিলের আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ। “যে মুরগি আমরা খাই তা কেউ না কেউ তো পালন করেছে”, আর সেই পালনকারীর কাতারে থেকে দেশকে আরো সম্মৃদ্ধ করার প্রয়াসে পোল্ট্রি খামারসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তামূলক কাজে নামেন তিনি। আর পোল্ট্রি খামার করতে গিয়ে তিনি এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান নানান সমস্যা আর সম্ভাবনা। নিন্মে পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে দেয়া সাক্ষাৎকারাটি। আপনি কতসালে খামার শুরু করেন? এমন প্রশ্নে তিনি এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে বলেন, আমি যে খামার নতুন শুরু করেছি এমনটি নয়। ২০০০ সালে আমার বাবা প্রথম খামার শুরু করে। আর তখন বাবা খামার করে লাভও করেছেন বেশ। তখন আমি দাখিলে পড়ি। আর বাবা বিদেশ যাওয়ার পর সেই খামার বন্ধ থাকে। আবার ২০১৯ সালে এসে আমি আবার খামার শুরু করি। কতটি মুরগির বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রথম প্রায় ৪৩ হাজার টাকায় ১৫‘শ বাচ্চা দিয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে খামার শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথম সেডেই আমি ত্রিশ হাজার টাকা লাভ করি। তারপর আরেক সেডে ৫০ হাজার টাকার মত লাভ করলেও ২০১৯-২০ সালে আমার লসের অংকটা একটু বেশি গুনতে হয়। আমি প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত লস করি। এই লসের কারণ কি বলে আপনি মনে করেন? তিনি বলেন,করোনার কারণে অনেকটা লসে পড়তে হয়। তার উপর ছিলো সিন্ডিকেট বানিজ্য। সিন্ডিকেট বলতে বাচ্চা যারা উৎপাদন করে আবার তারাই খাদ্য উৎপাদনও করে আবার মুরগিও তারাই উৎপাদন করে। এতে করে একজন প্রান্তিক খামারির চাইতে তাদের উৎপাদন খরচ অনেক কম পড়ে। অন্যদিকে তারাই আবার মুরগির বাজার মূল্য নির্ধারণ করে। ফলে বাচ্ছা, খাদ্য এবং একই সাথে মুরগী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন ব্যায় অনুযায়ী বাজার মূল্য নির্ধারণ করায় প্রান্তিক খামারিগন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। ফলে প্রান্তিক খামারিগন আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। ২০২১ সালে এসে নতুন বছর কেমন যাচ্ছে? ২০২১ সালের এসে প্রথম ব্যাচ ভালো করতে পারি নাই। শীতের কারণে আবার নানারকম রোগের কারণে প্রায় ২০ হাজার টাকার মত লস দিয়েছি। আর ২য় ব্যাচ শুরু করেছি ইনশাআল্লাহ।২য় ব্যাচের বয়স মাত্র ৮ দিন বলে তিনি জানান। একজন খামারী কিভাবে লাভ করতে পারবে বলে আপনি মনে করছেন? একজন খামারী লাভ করতে হলে প্রথমত বাচ্চার দাম কমাতে হবে। একটা খামারের ৯০%খরচ ধরা হয় খাদ্যে। তাই খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বাজারের অন্যান্য দ্রব্যের ন্যায় মুরগির দামেরও একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি থাকতে হবে। হুট করে বাচ্চার দাম, খাদ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা কমাতে হবে।একটা স্থিতিশীল বাজার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।যাতে বাচ্ছা উৎপাদনকারী, খাদ্য উৎপাদনকারী এবং খামারি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার জনগণকেও উচ্চমূল্যে মুরগী কিনতে না হয়। এছাড়া ভারতের সিন্ডিকেটসহ যেকোন ধরণের সিন্ডিকেট হ্রাস করতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক বাচ্চা উৎপাদন কমাতে হবে।আবার বাজারে কেবল বাচ্চার দাম কমালেই হবে না। বাচ্চার সাথে সাথে তার প্রাসঙ্গিক সব কিছুর দাম কমাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটা কমিটি গঠন করা উচিত। যারা বাজার মনিটরিং করবে। পোল্ট্রির খামার দিয়েই কি প্রতিষ্ঠিত হবেন ভাবছেন? মাহফুজ বলেন,পোল্ট্রি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। আবার মাছ, গরু, দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এসবের উপরে আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এ ছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প থেকেও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। আমার ছোট আরো দুই ভাই আছে তারাও লেখাপড়ার পাশাপাশি যুব উন্নয়নসহ ব্যাক্তিকেন্দ্রিক নানান প্রতিষ্ঠানে গরু মোটাতাজা করন, গাভী পালন, দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন, মৎস্য পালন সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে। মূলত আমরা খামারিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই খামার করি। যদিও এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের অনেক পরিকল্পনা আছে। যদিও তা যথা সময়ে প্রান্তিক খামারিদের কাছে এসে পৌঁছায়না। সরকারি সুবিধাগুলো যদি যথাসময়ে প্রান্তিক খামারিদের কাছে এসে পৌঁছায় তা হলে এই শিল্প আরো এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। এতে জাতীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করার সুযোগে সৃষ্টি হবে। সুতরাং সুযোগ সুবিধা এবং আমার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে খামার করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছা আছে বলে জানান মাহফুজ। প্রাণিসম্পদ থেকে কেমন সুবিধা পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ থেকে এখনও যেভাবে পাওয়ার কথা সেভাবে সহযোগিতা পাইনি। প্রথমত এই সেক্টরে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব, প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিনের অভাব। যার কারনে ভ্যাকসিন নিজ টাকা দিয়েই কিনতে হচ্ছে। যদিও পারিবারিক খামারের জন্য সরকারি ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়। আবার বাজার থেকে কেনা ভ্যাক্সিন দিলেও অনেকক্ষেত্রে কাজ হচ্ছে না। আর কোন ধরনের উদ্যোগ নিলে আপনাদের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন? প্রথমত সিন্ডিকেটের বন্ধ করতে হবে। বাচ্ছা উৎপাদনকারী শুধু বাচ্ছাই উৎপাদন করবে, খাদ্য উৎপাদনকারী শুধু খাদ্যই উৎপাদন করবে আর খামারিরা মুরগী উৎপাদন করবে। সাথে যত্রতত্র হ্যাচারি বন্ধ করতে হবে। কারণ যত্রতত্র হ্যাচারি মান সম্মত বাচ্চা দিতে পারে না। বাচ্চা নিয়ে আসলেই দেখি কয়েকদিনের ভিতরে মারা যায়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়।যত্রতত্র হ্যাচারির কারণে মানহীন বাচ্চা ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে খামারীরা উঠে দাঁড়াতে পারে না। করোনায় প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি সরকারের প্রশংসা করে এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে বলেন, এটা সরকার খুব ভালো একটা কাজ করেছে। অনেকে এখনও প্রণোদনার টাকা না পেলেও আমি পেয়েছি। আমি প্রায় ২৩ হাজার টাকা পেয়েছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop