১২:৫১ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ৬ মে , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২, ২০২৪ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
পোলট্রি

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
মুরগির ডিম খাওয়া সমস্যার কারণ ও প্রতিকার
পোলট্রি

ডিম পাড়া মুরগির আরও একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস হলো নিজের ডিম নিজে খাওয়া। এটা প্রায়ই লেয়ার খামারে দেখা যায়। এর ফলে খামারি তার লাভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না।

ডিম খাওয়ার কারণঃ

  • দীর্ঘক্ষণ ডিম খাঁচায় রাখা।
  • যদি কোনো কারণে একবার ডিম ভেঙে যায় এবং সেই ডিম যদি মুরগি খেয়ে স্বাদ পায় তাহলে পরে সে নিজের ভালো ডিম খেতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
  • ডিমের খোলস যদি খুব পাতলা হয়। রক্ত বা ভেজা ভেজা অবস্থার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
  • মুরগির খাবারে যদি প্রোটিনের অভাব হয়।

সমাধানঃ

  • মুরগিকে পরিমিত সব উপাদান দেয়া প্রয়োজন,
  • যত দ্রুত সম্ভব মুরগির ডিম অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে,
  • মুরগির ঠোঁট কেটে দিতে হবে।
  • মুরগির খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের সরবরাহ বাড়াতে হবে। ক্যালসিয়াম ডিমের সেল গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • মুরগির ডিম পাড়ার জায়গা তুলনামূলক ঢালু করে রাখতে হবে। এতে ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিচে চলে আসে।
  • ডিম পাড়া স্থানে তুলনামূলক অন্ধকার হলেও এ অভ্যাসের প্রকোপ কমে।
  • ডিম সংগ্রহের বিরতি কমাতে হবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার ৬ উপায়
পোলট্রি

আমাদের দেশে এখন বেশির ভাগ খামারিরা মুরগির খামারের সাথে জড়িত। আর এই খামার করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগ খামারিরা পড়েন খাদ্য সমস্যায়। নানা কারণে তাদের খামারের খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারলে খামারিরা হবে আরো লাভবান। এই জন্য জানতে হবে খামারের খাদ্য অপচয় কমানোর উপায়।

মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার উপায়:

১। খামারে মুরগিতে কৃমির সংক্রমন বিশেষ করে সোনালি বা কক মুরগির গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ প্রদান করতে হবে।

২। খামারে খাবারের পাত্র পূর্ণ করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৩। মুরগির খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

৪। খামারে মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

৫। মুরগির খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করে থাকে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৬। মুরগির খামারে খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের সাডেন ডেথ সিনড্রোম
পোলট্রি

ডাঃ শুভ দত্ত: মাঝে মধ্যে অনেক ব্রয়লার ফার্ম থেকে অভিযোগ আসে যে, ফার্মে প্রায় সব মুরগীই সুস্থ, স্বাভাবিক খাদ্য-পানি গ্রহন করছে, রোগেরও কোন বাহ্যিক লক্ষন নাই, তারপরেও প্রতিদিন ২-১ টা করে সুস্থ, সবল মুরগী মারা যাচ্ছে। এই সমস্যায় পোস্টমর্টেম করেও কোন রোগের প্রোমিনেন্ট লিশন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই সমস্যায় অনেকেই বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।

আসলে এই সমস্যাটিকে এসডিএস বা সাডেন ড্রেথ সিনড্রম বলে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল মুরগী তথা ব্রয়লারের একটি খুবই সাধারন সমস্যা। মুলত সব বয়সের ব্রয়লার মুরগীতেই (১ দিন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত) এই সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইদানিং ১-২ সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগীতে এই সমস্যাটি বেশি পাচ্ছি। সারাবছর এই সমস্যাটা কম বেশি দেখা দিলেও গরমকালে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। সাধারনত পুরুষ ব্রয়লার মুরগী ও বডি স্কোর ভাল এমন ব্রয়লার মুরগীই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই সমস্যায় ১-৫% পর্যন্ত মুরগী মারা যেতে পারে।

এই সমস্যাটির সঠিক কোন কারন এখন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ধারনা করা হয় সম্ভবত নিম্নোক্ত কারনগুলোর কারনেই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। যেমন-
১. স্ট্রেস (লাইট, হাই টেম্পারেচার, ওভার স্টোকিং ডেনসিটি ইত্যাদি)
২. হাই ডেনসিটি ফিড
৩. মেটাবলিক ডিসঅর্ডার মেইনলি রিলেটড টু কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম
৪. ল্যাকটিক এসিডোসিস
৫. কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া
৬. ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স
৭. লো ওয়াটার ইনটেক

এই সমস্যায় মর্টালিটি কনট্রোল করতে অনেক ফার্মারই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে থাকেন যাতে মর্টালিটি আরো বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এমন সমস্যায় অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন সেই সাথে ম্যানেজমেন্টাল ত্রুটিগুলো সমাধান করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ১২:৪১ অপরাহ্ন
অধিক লাভ পেতে সোনালি মুরগিকে যা খাওয়াবেন
পোলট্রি

অধিক লাভের আশায় এখন অনেকেই খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি এলাকায় খামাদের দেখা মিলে। পোল্ট্রির পাশাপাশি এখন অধিক লাভের আশায় সোনালি মুরগির খামারের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সোনালি মুরগি পালনের পাশাপাশি যদি তার যত্ন কিভাবে করতে হয় তা জানা থাকে তাহলে আরো লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে।

সোনালি মুরগির খাদ্য প্রদানে যা রাখবেন:
সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার মুরগির মত সব সময় খাবার দেয়া দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। মনে রাখা দরকার ব্রয়লার মুরগি খাদ্য রূপান্তরের হার এবং সোনালি মুরগির খাদ্য রূপান্তরের হার এক নয়।

সাধারণত সোনালি মুরগি ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ মুরগিতে ৪০ ব্যাগ হিসেবে সোনালি খাদ্য হিসাব করে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। কিন্তু সোনালি খাদ্যে কখনো কখনও ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ বেশি লাগতে পারে। আবার খুব ভাল হলে ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ কম লাগতে পারে।

যদি সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার খাদ্য খাওয়ানো হয় তবে ১০০০ মুরগিতে সর্বোচ্চ ৩৪-৩৫ ব্যাগ খাদ্যে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রেও আগের মতই ২ থেকে ৩ ব্যাগের যোগ বা বিয়োগ ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সারাদিনে খাদ্য দেয়ার নিয়ম:
দিনে ৩ বার খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে মনে রাখতে হবে যেন সকালে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য খাওয়া শেষ হয়ে যায়, দুপুরে যেন সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্য শেষ হয় ও রাতে সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা যেন খাদ্য খায়।

প্রয়োজনে মুরগি ক্রপ(খাদ্য থলি) পরীক্ষা করে খাদ্য দিতে হবে। যদি খাদ্য থলি ভর্তি থাকে তবে খাদ্য দেয়া কোন দরকার নাই। কারণ মনে রাখবেন, সোনালি মুরগিকে আপনি যতই খেতে দিবেন তারা ততই খাবে। কিন্তু এতে খাদ্য অপচয় হবে আপনাদের। খেয়াল করে দেখবেন ঘরে নিমপাতা বা যেকোন পাতা ঝুলিয়ে রাখলে তারা সেগুলোও খেয়ে শেষ করে। সেজন্য খাবার দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

৩য় সপ্তাহ বয়সে পরে মুরগিকে ২০-২২ গ্রাম/ মুরগি হিসেবে খাদ্য পরবর্তী প্রতি সপ্তাহে ৪-৬ গ্রাম/মুরগি হারে খাদ্য বৃদ্ধি করে চলতে হবে। দিনের মোট খাদ্যের পরিমাণকে তিন ভাগে ভাগ করে ৪০%(সকাল)+২০%(দুপুর)+৪০%(রাত) খাদ্য প্রদান করতে হবে সোনালি মুরগিকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২৪ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি গবেষণায় ৯ গবেষক পেলেন ওয়াপসা-বিবি রিসার্চ গ্রান্ট
পোলট্রি

দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন গবেষককে রিসার্চ গ্রান্ট প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি)। গতকাল ওয়াপসা-বিবি কার্যালয়ে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে ৯ গবেষকের প্রত্যেকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি মসিউর রহমান। প্রকল্প প্রতি অনুদানের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা মাত্র। পুরস্কৃত ৯ জন গবেষক হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির রহমান ও পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আবদুল সায়িদ সিদ্দিকী; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপিডেমিওলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের উত্তমা আচার্জী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী এন্ড পোল্ট্রি সাইন্স বিভাগের নিলঞ্জনা ভৌমিক; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন, সার্জারি এন্ড অবসট্রিকস বিভাগের মোঃ আরাফাত জামান; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সুমাইয়া সুলতানা লাবণ্য; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সাইন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের নূরতাজ লাবণ্য; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের মোঃ সাইফুর রহমান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের মোসাঃ নাহিদা আক্তার।

মসিউর রহমান বলেন, বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির কথাও ভাবছেন। তাছাড়া দেশীয় মুরগির জাত সংরক্ষণ, সম্ভাবনাময় জাতগুলোর উন্নয়ন, খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, রোগবালাই দমন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি ডিম, মুরগির মাংস ও পোল্ট্রিজাত খাদ্যপণ্যের নিরাপদতা রক্ষা করা এখন অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে কারণেই গবেষণার মান ও পরিধি বাড়ানোও জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সরকার ২০৩০, ২০৪১ ও ২১০০ সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান বলেন, দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দু’টি প্রকল্প প্রস্তাবনা শর্তাবলীপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২৩টি প্রকল্পকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়নের আওতায় নেয়া হয়- যার মধ্য থেকে ৯টি প্রকল্পকে মূল্যায়ন কমিটি পুরস্কারের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছেন।

ওয়াপসা-বিবি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন- পোল্ট্রি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণাকে সমৃদ্ধ করা ও পোল্ট্রি গবেষণায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা আশাকরছি আগামী বছর আরও অধিক সংখ্যক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী পোল্ট্রি বিষয়ক গবেষণায় আগ্রহী হবেন এবং গ্রান্টের জন্য আবেদন জমা দিবেন। ডা. বিপ্লব বলেন- দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পোল্ট্রি বিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত যে কোন নিয়মিত শিক্ষার্থী- গবেষণা প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। পোল্ট্রি ব্রিডিং, পোল্ট্রি ও খামার ব্যবস্থাপনা, পোল্ট্রি স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, ডিম ও মাংসের নিরাপদতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পগুলোকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।

২০২৪ সালে নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধায়কগণ হচ্ছেন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. সায়েম উদ্দীন আহমেদ; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক ইসলাম; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.বি.এম সাইফুল ইসলাম; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ.বি.এম রুবায়েত বোস্তামী; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক কায়েস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.এম মোজাফফর হোসেন।

রিসার্চ গ্রান্ট এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ওয়াপসা-বিবি’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিরাজুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফয়েজুর রহমান এবং ওয়াপসা-বিবি রিসার্চ গ্রান্টের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান- প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিঃ, রেনাটা লিমিটেড ও এভোন এ্যানিমেল হেলথ -এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৪ ২:৪৭ অপরাহ্ন
গ্রীষ্মের দাবদাহে মুরগির হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়
পোলট্রি

গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমের প্রভাব পড়েছে গবাদি প্রাণিতেও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরগির স্ট্রোক করে মারা যাবার খবর প্রতিনিয়তই পাওয়া যাচ্ছে।  বাড়ন্ত ব্রয়লার বেশি স্ট্রোক করছে আর লেয়ার মুরগিতে কমে যাচ্ছে ডিমের উৎপাদন। তীব্র দাবদাহে গত ১০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির দাবি, চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে, যার আনুমানিক ক্ষতি দিনে ২০ কোটি টাকা। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে ডিম ও মুরগি উৎপাদন কমেছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।

 

গরমের বিরূপ প্রভাব থেকে মুরগিকে বাচাতে খামারিরা ফার্ম ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনছে। ফার্মে অতিরিক্ত ফ্যানের ব্যবস্থা, মুরগির গায়ে পানি ছিটানো, দিনের বেলা খাবার বন্ধ রাখা, খাবার পানিতে স্ট্রোক প্রতিরোধে ঔষধ ব্যবহার করা, ঘরের চালে চট দিয়ে তার উপর পানি ছিটানো সহ খামার ব্যবস্থাপনায় যত ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব সবই করছেন খামারিরা কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছে না।

পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ডা. খালিদ হোসাইন বলেন – গরমে মুরগির খামার ব্যবস্থাপনা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই সময়ে মুরগির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে খামার ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। খামারে পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করা, শেড ঠান্ডা রাখা, দুপুর বেলা খাবার বন্ধ রাখার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।  আবার টিনের চাল যেন উপ্তত্ত না হয় সেজন্য পাটের ব্যাগ দিয়ে তাতে নিয়মিত পানি স্প্রে করে শেডের ভিতর ঠান্ডা রাখা যেতে পারে।  যেসব ফার্ম সিমেন্ট শীট ব্যবহার করে তাদের অবশ্য এই ধরনের ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন  খুব বেশি প্রয়োজন হয় না।

গরমে সাধারণ ঢেউটিন ব্যবহারকারী ফার্ম এবং আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহারকারী ফার্মের মাঝে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আনোয়ারের  সিমেন্ট শীট ব্যবহারকারী ফার্মে খামার ব্যবস্থাপনায় তুলনামূলক কম পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, তুলনামূলকভাবে অনেক কম মুরগি মারা যাচ্ছে যা এগ্রিভিউ এর সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের লেয়ার খামারী তাইফুল জানান যে তার খামারে বিভিন্ন বয়সের ১৪ হাজার লেয়ার মুরগি আছে।  গরমের প্রচন্ড তাপে তার খামার ব্যবস্থাপনায় খুব কমই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মুরগির দৈনিক খাবার গ্রহন কিছুটা কমেছে তবে তা অন্যান্যদের তুলনায় অনেক কম।  ফলে ডিমের প্রোডাকশনে খুব একটা হেরফের হয়নি, তিনি আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহার করে এই তীব্র গরমেও সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছেন।

কেরানিগঞ্জের খামারি সোহাগ পোল্ট্রি জানায় যে তার বিভিন্ন বয়সের ব্রয়লার রয়েছে।  তার এলাকায় গরমে প্রায় প্রতিটি খামারের বাড়ন্ত মুরগি স্ট্রোক করছে।  খামারের ব্যবস্থাপনা ভেদে ২০ থেকে ৩০ দিন বয়সী মুরগির দৈনিক স্ট্রোক করে মর্টালিটি প্রায় ৫-১০ শতাংশ হলেও তার ফার্মে খুব বেশি মুরগি মারা যাচ্ছে না, আনোয়ারের সিমেন্ট শীট ব্যবহারের ফলে ঘরের তাপমাত্রা মোটামুটি নিয়ন্ত্রনেই থাকে, ফলে তীব্র গরমের কারণে খামার ব্যবস্থাপনায় খুব বেশি পরিবর্তন আনতে হয় না।

 

টাংগাইল এর ঘাটাইলের এ আর পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ রুহুল আমীন বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আনোয়র সিমেন্ট শীট ব্যবহার করি, আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না, সিমেন্ট শীট টেকসই তাই পরিবির্তনও করতে হয় না কয়দিন পর পর।

ধামরাই উপজেলার ভাই ভাই পোল্ট্রির স্বত্ত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেনের ৭ টি বড় বড় শেড রয়েছে, সবগুলাতেই আনোয়ার সিমেন্ট শীট ব্যবহার করা।  এই তীব্র গরমেও তার মুরগির প্রোডাকশন ভালো আছে, মর্টালিটি খুব একটা নেই বললেই চলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২৪ ২:৫২ অপরাহ্ন
তেজগাঁও ডিম সমিতির কারসাজিতে ডিমের দাম অস্থির
পোলট্রি

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠানামা করে তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের উপর নির্ভর করে। মোবাইল এস এম এস ও ফেইসবুকের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম সমিতি। তারা কম দামে ডিম কিনে নিয়ে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীরা সেই দামে কিনতে বাধ্য হন।

 

শনিবার (২৫ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, খামারি মালিক থেকে চার দিন পর পর ডিম কিনে আড়তদার। খামারি চাইলে অন্য কারো কাছে ডিম বিক্রি করতে পারেনা। একই পাইকারের কাছে ডিম বিক্রি করতে হয়। তেজগাঁও ডিমের বাজার থেকে যে মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের সেই দামে কিনতে হয়। পাইকারি খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ওঠানামা তেজগাঁও ডিম সমিতির নির্ধারিত দামের উপর নির্ভর করে।

তার অভিযোগ, পাইকারি খুচরা পর্যায়ে প্রতিদিন প্রতি শতকে ডিমে ১০ টাকা ২০ টাকা করে কমিয়ে ৭ টাকায় দাম নামিয়ে আনে। আবার একই নিয়মে বাড়িয়ে দিয়ে ডিমর পিস ১৩ টাকায় পৌঁছায়। মোবাইল এস এম এস ও ফেইসবুকের মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বাড়তি বা কম দাম বাস্তবায়ন করে তেজগাঁও ডিম সমিতি। ঢাকা কাপ্তান বাজার ডিম সমিতি সাভার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, স্বরূপকাঠি, ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ রংপুর এই দাম অনুসরণ করে। এরপরে তারা কম দামে ডিম কিনে কোল্ড স্টোরেজ করে পরবর্তীতে সেই ডিম সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করে অতি মুনাফা করছে। অন্যদিকে উৎপাদক ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিপিএয়ের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চাষি মামুন বলেন, ছোট ছোট কৃষি ও শিল্প  ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী, সিন্ডিকেট ও করপোরেট ব্যবসায়ীর স্বার্থে এটা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ধ্বংস করে কোনো দেশ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিম মুরগির সংকট নিরসন, বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা ও প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের সুরক্ষায় আগামী বাজেটে এক হাজার কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অসাধু সিন্ডিকেটকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন সংগঠনটি।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২৪ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার পালনে কিছু সমস্যা ও এর প্রতিকার
পোলট্রি

ব্রয়লার লালন পালনে খামারি ভাইয়েরা মাঝে মধ্যেই নানা রকম সমস্যায় পড়েন। সময় মতো এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য খামারিকে চৌকস না হয়ে উপায় নেই। একজন চৌকস খামারি হিসেবে ব্রয়লার পালনে যেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে চলুন সেটা জেনে নিই।

ব্রয়লার পালনে সমস্যা :
ব্রয়লার পালনে খামারি ভাইয়েরা যেসব সমস্যায় পড়েন সেগুলো হলোন্ধ
১. গামবোরো রোগ,
২. ওজনে পার্থক্য (একই বয়সের বাচ্চা কিছু দিন পর ছোট-বড় হওয়া)
৩. সমন্বয়হীন বাজারব্যবস্খা,
৪. খামারিদের ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা।

পামবোরো রোগ :
খামারি ভাইয়েরা গামবোরো রোগ নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। গামবোরো ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগের কার্যকরী কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সময়মতো টিকা দেয়া থাকলে রোগ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এই রোগের আক্রমণ যদি ঘটেই থাকে তাহলে উন্নত ব্যবস্খাপনার মাধ্যমে মৃত্যুহার কিছুটা কমানো যায়। এই রোগে আক্রান্ত মুরগি খাদ্য ও পানি খাওয়া বìধ করে দেয়, পালক উসকো-খুসকো দেখায়। সাদা পাতলা ও দুর্গìধযুক্ত পায়খানা করে। শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, হাঁটতে পারে না। অবশেষে মারা যায়। তবে এই রোগে মৃত্যুহার ৩০ ভাগের বেশি হয় না। থাইয়ের গোশতে রক্তের ছিটা দেখা যায়। একই বয়সের বাচ্চা প্রথমে বড় এবং পরে ছোট হয়ে যায়, বাচ্চা কাটলে ভিতরে রক্তের ফোঁটা দেখা যায়।

চিকিৎসা :
এই রোগের কার্যকরী কোনো চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধ ব্যবস্খাই একমাত্র উপায়। গামবোরো রোগ দেখা দিলে মুরগির ঘরে খাদ্য ও পানির পাত্র বাড়াতে হবে। কারণ এই রোগে খাবারের প্রতি অরুচি হওয়ায় না খেয়ে দুর্বল হয়ে মুরগি মারা যায়। তাই খাদ্য ও পানি পাত্র এমনভাবে দিতে হবে যাতে ঘুরলেই খাদ্য পায়। এই রোগে অরুচি, ডিহাইড্রেশন এবং মুরগি না খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে বলে পানিতে ভিটামিন সি, স্যালাইন ও গ্লুকোজ মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ছোট-বড় হওয়া :
প্রায়ই দেখা যায় একই ব্যাচে একই বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা কিছু দিন পর কতকগুলো বেশ ছোট হয়ে গেছে। এর জন্য দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনেক কারণ জড়িত। যেমনন্ধ কৌলিকাত্ত্বিক কারণ, পরিবেশগত ও ব্যবস্খাপনাগত কারণ। দৃশ্যমান বা পরিবেশগত কারণের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য ও পানির পাত্র থাকা। কারণন্ধ প্রথম সপ্তাহে বিশেষ করে এক-তিন দিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চার চলাচল সীমিত থাকে এবং খাদ্য না চেনার কারণে খাদ্য খাওয়ায় তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তাই এই সময়ে যেসব বাচ্চা এক বা দুই দিন খাদ্য ভালোভাবে খেতে পারে না সেগুলোই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পরে খাদ্য খাওয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ছোট হয়ে যায়। পুরুষ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি স্ত্রী বাচ্চার চেয়ে ২০-২৫ ভাগ বেশি হওয়ায় স্ত্রী বাচ্চা ছোট হয়। মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা এক সাথে পালন করা। বিভিন্ন বয়সের মুরগির ডিম এক সাথে ফুটানো হলে পুলের ডিমের বাচ্চা ছোট হয়। ব্রুডিং পিরিয়ডে কাáিক্ষত তাপ না পাওয়া।

প্রতিকার :
মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা না কিনে একই এ বা বি গ্রেডের বাচ্চা কিনতে হবে। বাচ্চা ছোট-বড় দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। কাáিক্ষত পরিমাণ খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

খামারিদের ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা :
রোগ চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম এ কথাটা মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বেশি যুক্তিযুক্ত। অনেক খামারি জেনে না জেনে রোগ প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ান, যা মোটেও ঠিক না। অসুখ না হলে ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। রোগ প্রতিরোধের জন্য সময়মতো টিকা দিতে হবে। সুস্খ মুরগিকে রোগ প্রতিরোধের নামে ওষুধ খাওয়ানোর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এমনকি রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যেতে পারে। তাই প্রতিরোধের জন্য ওষুধ না খাইয়ে সময় মতো টিকা দিতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop