৭:২১ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ১৫, ২০২২ ৪:২৪ অপরাহ্ন
১৭ কেজির কাতল বা ৬৫ হাজারের বাঘাইর, মাছ কেনার হিড়িক বিনিরাইলে
মৎস্য

১৭ কেজি ওজনের বিশাল এক কাতল মাছকে ঘিরে ক্রেতাদের জটলা। বিক্রেতা দাম হেঁকেছেন ১৭ হাজার টাকা। ক্রেতাদের মধ্যে স্থানীয় বিনিরাইল গ্রামের জামাই এহসান সরকার মাছটির দাম বলছেন ১৪ হাজার। পাশেই ঢাউস আকৃতির বাঘাইর ঘিরেও জটলা। বিক্রেতা ৬৫ হাজার দাম চাইলেও ক্রেতা কাপাইস গ্রামের জামাই দাম বলছেন ৪৯ হাজার। বিক্রেতারা আরো বেশি দাম পাবার আশায় মাছগুলো ছাড়ছেন না। চলছে দর কষাকষি। যতো না ক্রেতা তার চেয়ে অনেক বেশি উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন মাছ দুটি দেখার জন্য।

মাছ কেনা-বেচার এ মেলা বসেছিল গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে। উপজেলার জামালপুর, জাঙ্গালীয়া ও বক্তারপুর এ তিন ইউনিয়নের সীমান্তে পৌষ সংক্রান্তিতে (পৌষ মাসের শেষ দিন) হিন্দু সস্প্রদায়ের আয়োজনে গত আড়াই বছর ধরে বসছে এ মেলা। মেলার নাম ‘জামাই মেলা’। তবে বর্তমানে মেলা পরিচিতি পেয়েছে মাছের মেলায়। বিনিরাইল গ্রামের আশেপাশের গ্রামের জামাইরা মেলার মাছের মূল ক্রেতা। এখন এ মেলা রূপ পেয়েছে সার্বজনীন।

মেলায় দেখা গেছে, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দূর-দূরাস্ত থেকে মেলায় মানুষ মাছ কিনতে এসেছেন। সকাল থেকেই লোকজন জড়ো হলেও দুপুরের পর মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। দেশের নানাপ্রাপ্ত থেকে ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন মেলায়। সামদ্রিক চিতল, শাপলা পাতা, কোরাল কাইক্কা, লইট্টা, টুরা থেকে দেশি বাঘাইর, রুই, কাতলা, মৃগেল, আইড়, বোয়াল, কালীবাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, রূপচাঁদা মাছের পাশাপাশি মেলায় স্থান পেয়েছে নানা রকমের দেশি মাছও। কোনো ব্যবসায়ী কত বড় সাইজের মাছ নিয়ে আসতে পারলেন এটা নিয়ে যেমন প্রতিযোগিতা ছিল, তেমনি জামাইদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল কে সবচেয়ে বড় মাছটি কিনে শ্বশুরবাড়ি যাবেন। তবে কম যাননা শ্বশুররাও। তাদেরও প্রতিযোগিতা ছিল জামাইদের চেয়ে বড় মাছ কিনে বাড়ি ফেরার।

মেলায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা থেকে আসা মাছ ব্যবসায়ী নয়ন কুমার দাস (৫০) জানান, মেলায় প্রচুর দেশি রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, বাঘাইর, চিতল, কালবাউশ ও রিটা  উঠেছে। বিক্রিও ভালো।  এক কেজি থেকে শুরু করে ২০-২৫  কেজি ওজনের মাছ বেশি উঠেছে। মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে শুধু মাছ নয় আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি, বস্ত্র, হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যের পসরাও ছিল প্রচুর।

বিনিরাইলের মাছের মেলা নিয়ে কথা হলে ভাটিরা গ্রামের ভাওয়াল আশরাফুল বলেন, এবার আত্মীয়ের হয়ে তিনি প্রায় ৩৫ হাজার টাকার চিতল, বোয়াল, রুই, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনেছেন। এ মেলা তাদের এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বড় একটি উদাহরণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আশেপাশের গ্রামগুলোর সকল মানুষেন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মনে করিয়ে দেয় হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির কথা।

বিনিরাইলের মাছের মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য কিশোর আকন্দ জানান, প্রথম মেলাটি খুব ক্ষুদ্র পরিসরে হতো। প্রায় ২৫০ বছর ধরে মেলাটি চলে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৫, ২০২২ ১২:০৭ অপরাহ্ন
গাজীপুরে মাছের মেলায় জামাইদের বাহাদুরি!
মৎস্য

বড় মাছ, বড় বাহাদুরি! মেলা থেকে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়িতে বীরত্ব জানান দেন জামাইরা।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি)  পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এমনই এক মেলা বসে গাজীপুরে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এবার দর্শনার্থীদের পদচারণায় উৎসবে পরিণত হয় মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলাজুড়ে বড় বড় মাছের সমাহার। পছন্দ আর দামের প্রতিযোগিতায়-এগিয়ে থাকা ক্রেতাই আলোচনার শীর্ষে। সবচে সেরা মাছ কিনে নিয়ে যেতে পারলেই শ্বশুরবাড়িতে বাড়বে বাহাদুরি। সম্পর্ক হবে আরও মধুর।

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিনিরাইল বিলে শুক্রবার দিনব্যাপী চলে এই মেলা। ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মেলা পরিণত হয় উৎসবে।

বাঘাইড়, সারস, বোয়াল, কোরাল, কাতল ও চিতলসহ হরেক রকম মাছের বেচাকেনা চলে মেলায়। বসে শিশুদের খেলনা ও হরেক রকমের মিষ্টির দোকানও।

পরিস্থিতি বিবেচনায়, এবার মেলা সীমিত করা হয়েছে বলে জানান মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি কিশোর আকন্দ।

মেলায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে বলে ধারণা আয়োজকদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে বড় মাছে সরব মাছের বাজার
মৎস্য

ছুটির দিনে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট পাইকারি বাজারে চাহিদা বাড়ে বড় মাছের। তাই চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারাও বাজারে তোলেন বড় আকারের রুই, কাতল ও কোরাল মাছ। মানভেদে এসব মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

আকারে বড় তাই দামেও বেশি। তিন থেকে চার কেজি ওজনের একটি রুই মাছের দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এ দিকে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি বড় মাছে। তাই ছুটির দিনে মাছের কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

মাছের দামের বিষয়ে বিক্রেতারা বলেছেন, দেশি এবং জীবন্ত মাছ হওয়ায় এর দাম বেশি।

এ দিকে মৌসুম না হলেও ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে উঠেছে কিছু রুপালি ইলিশ। তবে দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ইলিশের দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলেছেন, শীতের দিনে ইলিশ মাছ সরবরাহ একটু কম হয়। কেজিতে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বড়গুলো ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগরে মাছ নেই।

অপরদিকে বড় বাজারে বড় কোরাল ছাড়া কি জমে? মান ভেদে প্রতি কেজি নানা রঙের কোরাল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। কোরাল মাছ নিয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোরাল মাছ ৫০০ টাকা কেজি।

বঙ্গোপসাগর থেকে জেলেরা ট্রলার ভর্তি মাছ এনে তোলেন চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের নানা আড়তে। এ ছাড়া খুলনা, রাজশাহী ও টেকনাফ থেকেও এখানে দেশীয় মাছ আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২২ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বসেছে মৎস্য মেলা
মৎস্য

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বসেছে মৎস্য মেলা। বাঘা আইড়, রুই, কাতলাসহ দেশীয় নানা প্রজাতির বিশালাকৃতির মাছ উঠেছে মেলায়। সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন হাওড়-বাওড় ও নদী থেকে ধরা এসব মাছ কিনতে মেলায় আসছেন দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতারা

পৌষ বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতিতে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। এ মাসের শেষদিন এই উৎসব পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে, মৎস্য ভান্ডারখ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বসেছে দু’দিনব্যাপী মাছের মেলা। হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর এবং কুশিয়ারা নদীসহ সিলেটের হাওর-বাওর থেকে ধরা দেশীয় প্রজাতির মাছ নিয়ে মেলায় এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য মেলা উপলক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল বাজারে দু’টি বড় বাঘা আইড়। যেখানে ৭৫ কেজি ওজনের একটি মাছের দাম উঠেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিশালাকৃতির এই মাছ দেখতে মেলায় ভিড় করেন উৎসুক মানুষ।

এছাড়াও রুই, কাতলা, বোয়াল, চিতলসহ দেশীয় নানা প্রকারের মাছ আসছে মেলায়। আকার ভেদে দাম হাঁকা হচ্ছে হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

পৌষ সংক্রান্তি ঘিরে এই মৎস্য মেলা চলবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৪, ২০২২ ১২:১৩ অপরাহ্ন
ইলিশ উৎপাদনে ‘যুগান্তকারী সংযোজন’ গবেষণা জাহাজ
মৎস্য

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ইলিশ গবেষণায় সম্প্রতি ‘এম ভি বিএফআরআই গবেষণা তরী’ নামে নতুন একটি জাহাজ যুক্ত হয়েছে।

জাহাজটিতে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো সাউন্ডার, নেভিগেশন ও আধুনিক টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি এটি ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি, নেটিং সিস্টেম, পোর্টেবল মিনি হ্যাচারিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিতে সজ্জিত।

ইলিশ গবেষকরা বলছেন, নতুন এই জাহাজটি দেশের ইলিশের উৎপাদন সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘এ পর্যন্ত দেশে ইলিশ নিয়ে যে গবেষণা হয়েছে তা বাণিজ্যিক তথ্যের ভিত্তিতেই হয়েছে। সব তথ্য ছিল ধারণার ওপর, ফলে প্রকৃত চিত্র পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘এই জাহাজের মাধ্যমে ইলিশের গতি প্রকৃতি, কোথায় কোথায় ডিম দেয়, মাইগ্রেট করছে কি না—সব ধরনের তথ্য জানা সম্ভব। জাহাজের সাহায্যে গভীর সমুদ্রে অক্সিজেনের অবস্থা কী পর্যায়ে আছে তা-ও জানা যাবে। ফলে ইলিশ গবেষণায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি অন্যান্য মাছের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করতে সাহায্য করবে এই জাহাজ। তবে এর জন্য দক্ষ গবেষকদের নিয়োগ দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইলিশের প্রজননসহ অন্যান্য বিষয়ের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে বা ১০ বছর পর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা জানা সম্ভব এই জাহাজের মাধ্যমে।’

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০০৩ সালে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ২ লাখ মেট্রিক টনের নিচে নেমেছিল। বর্তমান উৎপাদন সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে, যা বিশ্বে প্রথম। ইলিশের সহনশীল উৎপাদন ধরা হয় ৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এই জাহাজ যুক্ত হওয়ায় সহনশীল উৎপাদনে পৌঁছানো সম্ভব।’

১৯৮৮ সাল থেকে ইলিশ নিয়ে কাজ করা এই গবেষক বলেন, ‘ইলিশ গবেষণা দলের কৌশল দক্ষতা বাড়ানোর জন্য যানবাহনের খুব প্রয়োজন ছিল। এই জাহাজটি নিয়ে সব জায়গায় যাওয়া যাবে। ফলে কাজের গতি, বিস্তৃতি বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এই জাহাজের মাধ্যমে মা ইলিশ কোথায় থেকে আসে, কোথায় ডিম পাড়ছে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাবে। ইলিশের ডিম পাড়ার সুযোগ তৈরি, জাটকা সংরক্ষণ এবং অভয়াশ্রম তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে ইলিশ গবেষণা জাহাজ। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটি।’

ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল বাশার বলেন, ‘দেশে ইলিশের সুস্থিত মজুদ, আহরণমাত্রা, খাদ্যের প্রাচুর্যতা, সম্ভাব্য নতুন প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, পূর্বে চিহ্নিত অভয়াশ্রমের (প্রজনন ক্ষেত্র ও বিচরণ ক্ষেত্র) বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য জানার জন্য ধারাবাহিক গবেষণা প্রয়োজন। এই সব গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নদীতে সার্বক্ষণিক থাকা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে নতুন জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি এই জাহাজটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম। জাহাজটি তৈরিতে ভ্যাট ও আয়করসহ মোট খরচ হয়েছে ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।’

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ‘ইলিশ নিয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। এই জাহাজের মাধ্যমে সাগর-উপসাগরসহ সব জায়গায় যাওয়া যাবে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। ফলে আমরা জানতে পারবো নদীতে কী পরিমাণ ইলিশ আছে, কতটুকু ধরা যাবে বা কতটুকু ধরলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। সমুদ্রে প্রাকৃতিক খাবার কতটা আছে সেটাও জানা সম্ভব হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৩, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
ভোলায় যাত্রীবাহী বাসে মিললো ২০০ কেজি জাটকা
মৎস্য

ভোলায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৫ মণ অর্থাৎ ২০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা। তবে জাটকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভোলা সদরের ভেদুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে এ জাটকা জব্দ করা হয়।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. তাহসিন রহমান জানান, একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল্লাহ পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। তবে এর সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।

পরে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় মৎস্য বিভাগের উপস্থিতিতে বিভিন্ন এতিমখানা, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে জাটকা ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৩, ২০২২ ১২:৫৮ অপরাহ্ন
জেলের জালে ধরা পড়ল ১২০ কেজির বাগাড়
মৎস্য

সিলেটের সুরমা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ১২০ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। মাছটির দাম হাঁকা হয়েছে দেড় লাখ টাকা।

বুধবার দুপুরে মাছটি নগরের কাজিরবাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়। বিশালাকারের বাগাড় মাছটি দেখতে স্থানীয় লোকজন বাজারে ভিড় করছেন

এর আগে গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে সুরমা নদীতে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে লামাকাজি বাজারের এক জেলে মাছটি বিক্রির জন্য আনেন। পরে মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনে নেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ বিক্রেতা মো. বেলাল মিয়া।

মাছ বিক্রেতা মো. বেলাল মিয়া বলেন, মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তাই বিক্রির জন্য দেড় লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। তবে মাছটি বিক্রি করতে না পারলে বৃহস্পতিবার বাজারে কেটে ভাগা করে বিক্রি করা হবে। মাছটি প্রতি কেজি ভাগায় এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১২, ২০২২ ১:৩৭ অপরাহ্ন
রাতভর বৃষ্টির প্রভাবে বেড়েছে মাছের দাম
মৎস্য

মানিকগঞ্জের আরিচা মৎস্য আড়তে দুইদিনের ব্যবধানে মাছের দামে আগুন। খারাপ আবহাওয়ার এবং রাতভর বৃষ্টির কারণে আড়তে কমেছে মাছের সরবরাহ। আর জেলেরা বলছেন, মাছ ধরা পড়েছে অর্ধেকেরও কম। আড়তে পানি নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন আড়ত কমিটির সভাপতি।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোর থেকেই জেলে এবং পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের ঐতিহ্যবাহী মুক্ত-জলাশয়ের দেশীয় মাছের আড়ত। পাওয়া যাচ্ছে টাটকা বড় বড় বাগার, আইড়, নোওলা, বোয়াল, ইলিশ, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির পদ্মা-যমুনা, ইছামতি, ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গাসহ খাল-বিলের দেশীয় মাছ।

বৃষ্টি এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় কমেছে সরবরাহ, বেড়েছে দর। আরিচা মৎস্য আড়তে আজকের মাছের পাইকারি দর।

মাছের দর- বাগার ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, পাঙাশ ১০৫০ থেকে ১১ টাকা, সরপুঁটি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, নোওলা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, বোয়াল ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা, আইড় কাটা ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কার্প ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ইলিশ ১০৫০ থেকে ১০৬০ টাকা, গাইড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

দুশো বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছের আড়তের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আড়তে পানি নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যা রয়েছে। তবে আবহাওয়া হঠাৎ বৃষ্টির কারণে মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় মাছের দাম অনেকটা বেশি।

তিনি আরও জানান, আরিচা মৎস্য আড়তে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক আড়তদার এবং সাত শতাধিক পাইকারদের মাধ্যমে ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকার দেশীয় মাছ বেচা–কেনা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১২, ২০২২ ১২:৪১ অপরাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ৩৭ কেজির ব্ল্যাক কার্প
মৎস্য

কুমিল্লা নগরীর প্রাচীন দিঘি ধর্মসাগরে এক ব্যবসায়ীর বড়শিতে এবার ধরা পড়েছে ৩৭ কেজি ওজনের একটি ব্ল্যাক কার্প মাছ। ব্যবসায়ীর নাম জাহিদুল্লাহ রিপন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাহিদুল্লাহ রিপন জানিয়েছেন, সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে তাঁর বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। ধর্মসাগরে বিশাল মাছ ধরা পড়ার খবর নগরীতে ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর রাতে ওই ব্যবসায়ীর বড়শিতেই ৪৩ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের আরেকটি ব্ল্যাক কার্প মাছ ধরা পড়েছিল। ওইদিন রাতেই খবর পেয়ে মাছটি দেখতে আসেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। পরে মাছটি তাঁকে উপহার দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী জাহিদুল্লাহ রিপন জানান, বর্তমানে কুমিল্লা ধর্মসাগর দিঘিটি তাঁরা ৩০ জন অংশীদার মিলে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। প্রায়ই দিনই তাদের সদস্যরা বড়শিতে মাছ ধরেন। অন্যান্য সময়ের মতো সোমবার সন্ধ্যায়ও ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড়ে শখের বসে ডিম-পুঁটি দিয়ে বড়শি ফেলেন তিনি। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ তাঁর বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। পরে পানি থেকে তুলে দেখতে পান বিশাল আকৃতির একটি ব্ল্যাক কার্প। মাছটি পাড়ে তুলতে সময় লেগেছিলো প্রায় ৩০ মিনিট। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মাছটির ওজন করলে ৩৭ কেজি হয়।

রিপন বলেন, গত ৬ বছরে এই দিঘিতে অনেক বড় বড় মাছ হয়েছে। তার মধ্যে এটি দ্বিতীয়। আমরা ইজারাদাররা মিলে মাছটি ভাগ করে নিয়েছি।

কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্ল্যাক কার্প মাছ আমাদের দেশের নদী ও পুকুরে বেশি হয়। বিশেষ করে যেসব পুকুর-দিঘিতে শামুক ও ঝিনুক বেশি থাকে সেখানে ব্ল্যাক কার্প মাছ বেশি বড় হয়ে থাকে। ধর্মসাগর দিঘিতে প্রচুর শামুক ঝিনুক থাকায় এখানে ব্ল্যাক কার্প মাছ বেশি হয় বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১১, ২০২২ ৫:২১ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে চলছে মা কাঁকড়া নিধন
মৎস্য

প্রজনন মৌসুমেও কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদী ও খালে চলছে মা কাঁকড়া নিধন। জেলেরা কতিপয় অসাধু বনকর্মীদের যোগসাজশে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অবৈধভাবে আহরণ করছে মা কাঁকড়া। ফলে রপ্তানিযোগ্য শিলা কাঁকড়া সহ বিভিন্ন ধরনের কাঁকড়ার প্রজনন ব্যহত হবার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১ জানুয়ারী থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পূর্ব সুন্দরবনের আওতাধীন ১৩টি নদ-নদী, প্রায় ২৫০টি ছোট-বড় খাল ও জলাভূমিতে নিরাপদ প্রজনন ও সংরক্ষনের লক্ষ্যে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়া আহরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে বনবিভাগ। শিলা কাঁকড়ার প্রধান উৎস সুন্দরবনে রয়েছে প্রায় ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া

অধিক লাভের আশায় বন সংলগ্ন দাদন ব্যবসায়ীরা চরপাটা, গুড়ি জাল দিয়ে মাছ ধরার পাশের (অনুমতি) আড়ালে জেলেদের দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা শিলা কাঁকড়া নিধন করছে এবং এতে বনবিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া, পুর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জ কার্য্যালয়ের সম্মুখে স্থানীয় শরনখোলা বাজারের ব্যবসায়ী রিপন রয়াতী, ডালিম আকন, আলতাফ মাতুব্বর, ইসমাইল হাওলাদার, ডালিম মুন্সী, মিজান খাঁন, জামাল গাজী, নুরু হাওলাদার, ফরিদ খাঁন, ফেরদৌস খাঁন এবং চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকায় রফিকুল হাওলাদার, কালাম মুন্সী ও কালু সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রতিদিনই প্রকাশ্যে সুন্দরবন হতে ধরে আনা ১৫/২০ মন কাঁকড়া ক্রয় বিক্রয় করলেও বনরক্ষীরা দেখেও না দেখার ভান করছে।

অন্যদিকে, কাঁকড়া আহরন নিষিদ্ধ মৌসুমে শুটকি পল্লী দুবলা টহল ফাঁড়ির (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় রামপাল ও মোংলা এলাকার প্রায় অর্ধশত জেলেদের কাছ থেকে প্রতি (১৫দিনে) দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়ে সুন্দরবনের দুবলার চর, আলোরকোল, মেহের আলী, নারিকেলবাড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকা হতে কাঁকড়া আহরণে জেলেদের সহায়তা করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলেরা জানান।

জানতে চাইলে দুবলা ফাঁড়ির কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমানে মাছ ধরার জন্য চরপাটা ও গুড়ি জালের পাশ থাকলেও কাঁকড়ার পাশ বন্ধ রয়েছে। তবে, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।

শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিনয় কুমার রায় বলেন, প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া নিধন পুরোপুরি বন্ধ করা না গেলে উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাঁকড়ার প্রজনন সহ প্রাকৃতিক এ সম্পদ রক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপ জরুরী।

পুর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) সামছুল আরেফিন জানান, বর্তমানে কাঁকড়া আহরণ ও বিপনন নিষিদ্ধ। গোপনে অন্য পাশ নিয়ে যদি কেউ কাঁকড়া ধরে ও বিক্রি করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ টহল জোরদার করা হবে।

পুর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া আহরণের অনুমতি নাই। তবে, এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop