৪:৪২ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২২ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আউশ ধানের বাম্পার হয়েছে। আগে জমিতে বছরে ২ বার ধান বোরো আর আমান ধান চাষ হলেও এ বছর আউশ ধান চাষ করেছে চাষিরা। প্রথমবার ভালো ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার আন্ধারমুহা, বড়বাউল, মর্ত্তমন্ডল গ্রামের অনেক কৃষক এবারে ওই জাতের আউশ ধান জমিতে লাগিয়েছেন।

তবে, মাঝে মাঝে বাবুই পাখির ঝাঁক এসে পাকা ধান খাওয়ার চেষ্টা করছে। চাষিরা পাখি তাড়াতে ধানক্ষেতে জাল, খড়ের মূর্তি, টিনের শব্দ তরঙ্গ পদ্ধতি এবং পলিথিনের ঝাণ্ডা পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, ব্রি-ধান-৪৮ আউশ ধান চাষ করলে ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়।

আমনের জাতগুলোর তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ দিন আগে এ ধান পেকে যায়। ফলে বাকি সময় চাষিরা অন্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:৩০ অপরাহ্ন
চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট হতে পারে। এজন্য আমাদের এখন হতেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে উৎপাদিত রোপা আমন ধানের হালি চারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ধান, ফসল, তরিতরকারিসহ যখন যে ফসল জন্মে তাই ফলাতে হবে। আজ হতে সতর্ক হলে সম্ভাব্য এ সঙ্কট আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন,  দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা যায় তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ভাবেন।

চাষীদের জন্য বিনামূল্যে চারা বিতরণের ব্যবস্থা করায় এসময় কৃষি বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে দেশকে ভালোবাসলে, দেশের মাটিকে ভালোবাসলে, দেশের জন্য দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে সকল সঙ্কট কাটিয়ে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোদাচ্ছির বিল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার প্রমুখ।

এরপূর্বে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান সামগ্রী বিতরণ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে নির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:২২ অপরাহ্ন
দেশে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ক্ষমা করা হবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ক্ষমা করা হবে না। একইসঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে যশোর ইটিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কৃষি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জামাতের আমলে সারের মূল্য ৯০ টাকায় নিয়ে ঠেকিয়েছিল।  শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেই সারের মূল্য কমিয়ে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে সারের মূল্য বাড়ানো হয়নি।

তিনি আরও বলেন, গুলশান বনানীর ব্যবসায়ীরা কৃষি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে নব্য শোষক শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সাড়ে ১৬ কোটি মানুষকে দেশের উৎপাদন দিয়েই খাওয়াচ্ছি। কৃষকের পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ ভিক্ষুকের দেশ না; খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন আকাশের মতো উদার। তার দয়ায় খালেদা জিয়া জেলের বাইরে আছে। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোল চালিয়ে হবে না।

বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও অধিক ফলনশীল ধানের জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধির শীর্ষক কর্মশালায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, কৃষক ও বীজ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
আমন মৌসুমে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ : কৃষি সচিব
কৃষি বিভাগ

চলমান আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে’ করণীয় বিষয়ক সভা শেষে কৃষিসচিব এ সব কথা বলেন।

বলেন, সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে।

সভায় কৃষিসচিব বলেন, এবার আমনে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ লাখ হেক্টর, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭ লাখ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৭০ ভাগ ও সন্তোষজনক।

বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯৮ ভাগ অর্জিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যে যাতে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করা যায় এবং রোপণের পর অন্তত ৩০ দিন যাতে সেচ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যেই আলোচনা হয়েছে।

সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদুুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৬:৩২ অপরাহ্ন
কামারখন্দে আউশ ধানের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

সিরাগঞ্জের কামারখন্দে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষাণ-কৃষাণীরা চাষাবাদ করেছেন আউশ ধান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৭ থেকে ১৮ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে।

উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের কৃষক মানিক হোসেন জানান, তার ১০ বিঘা জমি প্রতি বছর আউশ মৌসুমে পতিত থাকে। কিন্তু এবছর কৃষি অফিসের দেওয়া বীজ ও সার দিয়ে সেই ১০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি, ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান মানিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, উপজেলার কৃষকরা আউশ মৌসুমে ধান আবাদ করতে চান না। আউশ ধান রোপণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে উপজেলার ২০০ কৃষককে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৫:৪০ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

 

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি দর্শন ও কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট ) ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহা: রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড.মো: আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালযের প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি ১৯৭২ সালে ফিরে আসার পর দেশে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন শুরু হয়। যার ফলে এই দেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর, যা অন্য কোন দেশের নেতার পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.গোলাম ফারুক মানিক, নীল দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, অফিসার পরিষদ সভাপতি খাইরুল আলম নান্নুসহ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের পোকা দমন করবেন যেভাবে
কৃষি গবেষনা

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলিলিটার পানি ও ১০ মিলিলিটার তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার পানি সঙ্গে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালেও বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজের চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলো ফসলে কোনো রকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতি রেখে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বন্ধুপোকা ফসলের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২২ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
তিল চাষে এগিয়ে সাতক্ষীরা
কৃষি বিভাগ

কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উদ্ভাবিত বিনা তিল-২ চাষ করে সফল হচ্ছেন সাতক্ষীরার চাষিরা। চাষের মাধ্যমে বিঘা প্রতি ৭মণ তিল উৎপাদিত হচ্ছে। স্থানীয় বাজার সহ সারা দেশে তিলের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ।

জানা যায়, সাতক্ষীরা অঞ্চল একটি খরা প্রবণ এলাকা। খরার কারণে কিছু চাষ করতে না পারায় চাষীরা তাদের জমি ফেলে রাখতেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন সেই ফেলে রাখা জমিতে তিল চাষ করে প্রত্যাশার চাইতে বেশি অর্থ আয় করতে পারছেন তারা। এই তিল কালো এবং গাছে ৩-৪ টি প্রধান শাখা হয়। অনেকগুলো উপশাখা হয় বলে ফলনও বেশি হয়।

খুলনা কৃষি বিদ্যালয়ের প্রফেসর রাকিবুল হাসান জানান, তিলের তেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই তেল ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। তিল চাষে খরচ অনেক কম, আগাছা পরিষ্কার করা ও পানির তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই দিন দিন তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতার জানা, চাষীদের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে আড়াই কেজি তিল বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এই মৌসুমে পতিত জমিতে তিল চাষ করে সাতক্ষীরার কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আশা করছি আগামীতে তিল চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
ট্রেতে চারা লাগানোর দিকে ঝুঁকছেন কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জেলায় ট্রেতে চারা লাগানো দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে কমছে খরচ। বাড়ছে ফসল উৎপাদন। তিন ফসলি জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষাকে যুক্ত করতে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ করা হচ্ছে।

এজন্য সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ বপন করা হচ্ছে। তাছাড়া পাকা ধানের জমি কাটা হচ্ছে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষকদের এমন উৎসবে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।

এছাড়া প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়। এখন সব চিন্তা থেকে আমরা মুক্ত।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ২০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপণ ও কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্যে ধান কাটার উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে। সে নিরিখে এখন সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরির জন্য বীজ বপন করছেন কৃষকরা। এতে তাদের সময় ও খরচ বাঁচে।

বুড়িচং উপজেলায় কার্যক্রমটির সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় বাসসকে জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অর্থায়নে এ কাজটি হচ্ছে। দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

প্রথমত কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করা। দ্বিতীয়ত যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল সরিষার অন্তর্ভুক্তি। তাছাড়া স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক সংকটের চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে।

ইতোমধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে বলে জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ১১:২২ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ
কৃষি বিভাগ

জেলায় চলতি মৌসুমের আমন এবং আউশ চাষে মোট ২৩ হাজার ৫শ কৃষকের মধ্যে ১ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ  করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৭ হাজার জন কৃষকের মধ্যে ৭ হাজার বিঘা জমির বিপরীতে মোট ৩৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এবং ১৬ হাজার ৫শ জন কৃষকের মধ্যে ১৬ হাজার ৫শ বিঘা জমির বিপরীতে মোট ৮৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানিয়েছেন, প্রণোদনা হিসেবে প্রত্যেক কৃষককে তাঁদের এক বিঘা জমির বিপরীতে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি দেয়া হয়েছে। প্রতি কেজি বীজ ৪০ টাকা টাকা হিসেবে ২০০ টাকা, প্রতি কেজি ডিএপি ১৬ টাকা হিসেবে ১৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি এমওপি ১৫ টাকা হিসেবে ১৫০ টাকা হারে প্রত্যেক কৃষক পেয়েছেন ৫১০ টাকার সামগ্রী। সেই হিসেবে ৭ হাজার আমন চাষের কৃষকের মধ্যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ৩৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার সামগ্রী।

উপজেলা ভিত্তিক আমন মৌসুমে প্রণোদনা প্রাপ্ত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর সদর উপজেলায় ৪৫০ জন কৃষক, রানীনগর উপজেলায় ৬৩৫ জন কৃষক, আত্রাই উপজেলায় ২৯০ জন কৃষক, বদলগাছি উপজেলায় ৫৩০ জন কৃষক, মহাদেবপুর উপজেলায় ৮৫০ জন কৃষক, পত্নীতলা উপজেলায় ৯০০ জন কৃষক, ধামইরহাট উপজেলায় ৭১০ জন কৃষক, সাপাহার উপজেলায় ৪৫০ জন কৃষক, পোরশা উপজেলায় ৬০০ জন কৃষক, মান্দা উপজেলায় ৬৩৫জন কৃষক এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৯৫০ জন কৃষক।

অপরদিকে এ বছর আউশ চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে জেলায় ১৬ হাজার ৫শ জন কৃষককে একই পরিমাণ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। উপজেলাভিত্তিক আউশ চাষে প্রণোদন্প্রাাপ্ত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৯শ জন। রানীনগর উপজেলায় ১ হাজার ২শ জন, আত্রাই উপজেলায় ৯০০ জন, বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ২শ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ২ হাজার ১শ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৫শ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৩শ জন, সাপাহার উপজেলায় ১ হাজার ১শ জন, পোরশা উপজেলায় ১ হাজার ১শ জন, মান্দা উপজেলায় ২ হাজার ২শ জন এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২ হাজার জন। উল্লেখিত সংখ্যক কৃষকদের মধ্যে অনুরুপ জনপ্রতি ৫১০ টাকা করে বীজ ও সার বিতরণের জন্য ব্যয় হয়েছে ৮৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop