৫:৩২ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১০, ২০২২ ৫:১৫ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে বিনাধান-২৪’র আবাদ বিষয়ক মাঠ দিবস
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে বোরো ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনাধান-২৪’র ওপর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ উপজেলার পাংশায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক উদ্বোধনী (ভার্চুয়ালি) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।

বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন।

উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোসা. নুরুন্নাহারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার পপি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার লিপি, কৃষক আবুল বাশার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিনাধান-২৪ বোরো ধানের একটি সম্ভাবনাময় জাত। ধানগাছ সহজে হেলে পড়ে না। পাকা অবস্থায়ও ডিগ পাতা সবুজ থাকে। সেজন্য ধান চিটা হওয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। ফলন হয় বেশ। তাই এ জাতের ধানের আবাদ সম্প্রসারণ করা দরকার।

মাঠদিবসে অর্ধশতাধিক কিষাণ-কিষাণী অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১০, ২০২২ ৪:২৬ অপরাহ্ন
লিচু ফেটে যাওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার
কৃষি বিভাগ

বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার ফল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফলের ফেটে যাওয়া একটি বড় সমস্যা। সাধারণত: ফল বড় হওয়ার পর অর্থাৎ ফল পুষ্ট হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ফাটা শুরু করে। ফল বড় হওয়ার পর কোন কারণে নষ্ট হলে কৃষকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। প্রায় সব ফলকেই ফাটতে দেখা যায়। তবে আমাদের দেশের ফল গুলোর মধ্যে লিচু ও ডালিম বেশী ফাটে। অন্যান্য ফলের মধ্যে কলা, আম, পেয়ারা, কাঁঠাল ইত্যাদি ফেটে যেতে পারে। ফল ফেটে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং উক্ত ফাটা জায়গায় রোগ জীবানুর আক্রমণ ঘটতে পারে। ফলে গোটা ফল নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। ফল ফেটে গেলে তার বাজার মূল্য কমে যায়। তাছাড়া কোন কোন সময় তা খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে যায় ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

ক্ষতির ধরণ বা প্রকৃতি:
লিচুর ফল ফাটা বিভিন্ন রকম হতে পারে। সামান্য ফাটা, কেবলমাত্র খোসা ফাটা, লম্বালিম্বভাবে গোটা ফল ফাটা ইত্যাদি। ফল ফেটে গেলে তার অপক্ক শাঁস অনাবৃত হয়ে পড়ে এবং সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শে আসে ফলে শাঁস দ্রুত শুকায়ে যায়। পরবর্তীতে তা রোগ ও পোকার আক্রমণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। লিচুর ফাটা লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি দু রকমই হতে পারে।

ফল ফাটার পদ্ধতিঃ
খরা বা অনাবৃষ্টির সময় ফলের জাইলেম ও ফ্লোয়েম কোষে অনাকাংখিত আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু শক্তিশালী কোষের উৎপন্ন হয় যা বিভক্ত হওয়ার বা বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যদি শুস্ক আবহাওয়ার পর পানি/সেচ সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয় তখন বর্ধনশীল কোষ (Merstematic tissuc) খুব দ্রুত বাড়া শুরু করে । কিন্তু , জাইলেম ও ফ্লোয়েমের শক্ত কোষগুলো সমভাবে বাড়তে পারে না। এমতাবস্থায়, কোষ বৃদ্ধির এই তারতম্যের কারণে ফলের আবরণের শক্তকোষগুলো ফেটে যায়।

ভারতের কানোয়ার ও তার সহযোগী বিজ্ঞানীবৃন্দ ব্যাখ্যা করেছেন যে, লিচুর ফল বৃদ্ধি দুটি পর্যায়ে ঘটে থাকে। প্রথম পর্যায়ে, ফল তার সম্ভাব্য দের্ঘ্য পর্যন্ত দ্রুত বাড়ে। বিশেষতঃ ফলের বীজ দ্রুত বাড়ার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে ফলের শাঁস দ্রুত বাড়া শুরু করে যে সময় (মে মাসে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আদ্রতা কম থাকে। এ সময় ফলের যে অংশে সরাসরি রোদ্র পায় সে দিকে ফলের খোসায় হালকা বাদামী দাগ পড়ে। দাগযুক্ত খোসার রং গাঢ় হয় এবং জায়গাটা শুকিয়ে যায়। একই সময় দ্রুত বর্ধনশীল শাঁসের চাপে দাগযুক্ত আক্রান্ত খোসার জায়গাটি ফেটে যায়। শাঁস বৃদ্ধির হার বেশী হলে ফাটল দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং ফাটল সুস্পস্ট হয়ে উঠে।

ফল ফাটার কারণঃ

ফল ফাটার বিভিন্ন কারন রয়েছে। তবে, লিচু ফল ফেটে যাওয়ার নিম্নের এক বা একাধিক কারণ থাকতে পারে।

(ক) আবহাওয়া জনিতঃ আবহাওয়ার মুল উপাদান তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আদ্রতা এবং বৃষ্টিপাত। লিচুর ফল ফাটার সঙ্গে আবহাওয়ার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গোছ। কানোয়ার, সিংহ প্রভৃতি বিজ্ঞানীদের মতে গরম বাতাস/ আবহাওয়া লিচুর ফল ফাটার প্রধান কারণ। তারা বলেন ফল পাকার আগে গরম আবহাওয়া তৎসহ গরম বাতাস ফল ফাটাতে সহায়তা করে। ফলের শাঁস দ্রুত বৃদ্ধির সময় তাপমাত্রা ৩৮০ সে. বা অধিক এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬০ % বা কম হলে ফল ফাটা তরান্বিত হয়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য, তৎসহ গরম আবহাওয়ার পর হঠাৎ পর্যাপ্ত সেচ প্রদান বা বৃষ্টিপাত ফল ফাটতে সহায়তা করে। ফল পাকার পূর্ব মুহূর্তে উচ্চ তাপমাত্রা, নিম্নমাত্রার আপেক্ষিক আর্দ্রতা তৎসহ দীর্ঘ বৃষ্টিপাত ফল ফাটার অন্যতম কারণ বলে বিজ্ঞানী মিশ্র মনে করেন।

(খ) হরমোনজনিতঃ সুস্থ্য ও ফাটা লিচুর রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সুস্থ্য লিচুর তুলনায় ফাটা লিচুর খোসা ও বীজে কম মাত্রায় এবং শাঁসে বেশী মাত্রায় অঙিন বিদ্যমান থাকে। জিবারেলিন এর মাত্রা খোসা, বীজ ও শাঁসে স্বাভাবিক ফলের তুলনায় বেশী থাকে। এছাড়া সাইটো কাইনিন ও এবসিসিক এসিড ফাটা ফলে বেশী লক্ষ্য করা গেছে।

(গ) জাতের বৈশিষ্ট্য জনিতঃ লিচুর সব জাতে একইরকম ফাটল দেখা যায় না। কোন কোন জাত বেশী সংবেদনশীল আবার কোন কোনটি ফাটা প্রতিরোধক। ভারতে বেশ কিছু জাতের উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, জাতভেদে ফল ফাটার পরিমাণ ০.৩-৩৬.২% । এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফাটল দেরাদুন জাতে এবং সর্বনিম্ন ফাটল সীডলেস নং-২ জাতে লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ঈশ্বরদী এলাকায় আবাদকৃত জাতগুলোর মধ্যে বোম্বাই ও স্থানীয জাতের ফল ফাটার পরিমান বেশী হয়ে থাকে। চায়না -৩ ও বেদানা জাতে ফল ফাটার পরিমাণ বেশ কম, নাই বললেই চলে। গবেষণায় দেখা গেছে, আগাম পাকে এমন জাতের ফল ফাটার পরিমাণ নাবী জাতের তুলনায় বেশী। ভারতেও একই রকম ফলাফল লক্ষ্য করা গেছে।

(ঘ) পুষ্টির অভাব জনিতঃ কিছু কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, দস্তা, বোরণ, তামা, মালিবডেনাম ও ম্যাঙ্গানিজ ফল বৃদ্ধির সময় শারীরতাত্বিক পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় এদের অভাবে ফল ফাটা ত্বরান্বিত হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে ফাটা লিচুতে স্বাভাবিক লিচুর তুলনায় বেশী পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম থাকে। অপরদিকে ক্যালসিয়াম ও দস্তা কম পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। স্বাভাবিক ও ফাটা ফলের অম্লতা (পিএইচ) এবং মিষ্টতার (টিএসএস) কোন তারতম্য ঘটে না । তবে, ফাটা ফলে পানির পরিমাণ বেশী থাকতে দেখা গেছে।

(ঙ) মাটির আর্দ্রতাজনিতঃ ত্রুটিপূর্ণ সেচ ব্যবস্থাপনার কারণে ফল ফাটা বেড়ে যেতে পারে। ফলের শাঁস বৃদ্ধির সময়ে মাটির আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং পরিমিত মাত্রায় সেচ প্রদান না করার কারণে মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় লিচুর ফল ফেটে যেতে পারে।

(চ) রোগ পোকার আক্রমণ ও আঘাত জনিতঃ কোন কোন সময় রোগ ও পোকার আক্রমণ বা শারীরিকভাবে ফল ফল আঘাত প্রাপ্ত হলে তা ফেটে যায় এবং পচনকারী জীবানুর আক্রমণ দেখা দিতে পারে । তবে, এসব কারণে ব্যাপক আকারে ফাটল দেখা যায় না।

প্রতিকারঃ
১। যে সব জাত ফাটল প্রতিরোধক/ সংবেদনশীল সে গুলোর চাষাবাদ করতে হবে।
২। বিভিন্ন প্রকার হরমোন সেপ্র করে ফলের পরিপক্কতা দীর্ঘায়িত করা এবং খোসার সমপ্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে

ফলের ফাটা দমনের ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে। ন্যাপথালিন এসিটিক এসিড ((NAA) ২৫ পিপিএম হারে এর সাথে জিবারেলিক এসিড ৫০ পিপিএম হারে ১০ দিন পর পর সেপ্র করে ফাটল রোধ করা সম্ভব।

৩। ফল বৃদ্ধির সময় জিংক সালফেট ( প্রতি লিটারে ৫ গ্রাম), রোবাঙ/ বরিক এসিড ( প্রতি লিটারে ৫ গ্রাম) একত্রে বা আলাদা আলাদা ভাবে সেপ্র করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
৪। ফল বৃদ্ধির সময় গাছে নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণ সেচ প্রদান করলে মাটির আর্দ্রতা / রস বৃদ্ধি এবং বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাবে। ফলে লিচুর ফাটল কমে যাবে।
৫। মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। জৈব সার প্রয়োগে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফলে বিরুপ আবহায়ায় মাটির রস দ্রুত হ্রাস বৃদ্ধির হার কমে যাবে। উপরন্ত, জৈব সারে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় মাটির অপুষ্টি জনিত সমস্যাও দুর হবে।

অনেক সময় চাষীরা ফল ফাটার প্রকৃত কারন নির্ণয় করতে পারেনা । সে জন্য একক ভাবে কোন চেষ্টার উপর নির্ভর না করে উপরের আলোচিত প্রতিকারগুলোর সমন্বিত ব্যবস্থা নিলে কার্যকর ভাবে লিচুর ফাটল রোধ করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১০, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
আবারও বরিশাল হবে বাংলার শস্য ভান্ডারে পরিণত- কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): আবারও বরিশাল হবে বাংলার শস্য ভান্ডারে পরিণত। তবে এ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা জরুরি। অন্যান্য এলাকার ন্যায় দক্ষিণাঞ্চলেরও একই জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল আবাদ করতে হবে। এ নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানী এবং সম্প্রসারণবিদগণ কাজ করছেন। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের কৃষকের জীবনমান উন্নয়ন হবে।

সোমবার (৯ মে) বরিশালের বাকেরগঞ্জে বোরো ধানের ফসল কর্তন এবং কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি এসব কথা বলেন।

ব্রি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

ব্রির ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রিয় লাল বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, ব্রির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, বাকেরগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায়, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মুছা ইবনে সাঈদ, কৃষক আবু দাউদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপকূলীয় শস্য নিবিড়তা কর্মসূচির আওতাধীন এ অনুষ্ঠানে ৩ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৯, ২০২২ ৪:১৯ অপরাহ্ন
বিএআরসিতে কৃষি প্রযুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে কৃষি প্রযুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা (Agricultural Technology and Food Security) শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৮ মে) বেলা ১১.০০ টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস), সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা (Global Institute for Food Security (GIFS), University of Saskatchewan, Canada এর যৌথ উদ্যোগে উক্ত  অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি. এবং কৃষি সচিব জনাব মো: সায়েদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য যে, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি, কানাডা এর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কর্মশালায় অংশগহণ করেন। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো: রুহুল আমিন তালুকদার।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি জমির হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান জমির উর্বরতা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, বাংলাদেশের কৃষি জলবায়ু ফসল উৎপাদনের জন্য বেশ অনুকূল এবং এই অনুকূল পরিবেশকে বিজ্ঞান-ভিত্তিকভাবে কাজে লাগিয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষি গবেষণায় কানাডার উন্নত কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশে কৃষি আরো এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কারিগরি সেশনে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ যথা: ড. বালজিট সিং, ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা), জিআইএফএস এর পরিচালক ড. স্টিফেন ভিসার, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার এট জিআইএফএস ড. এন্ড্রু সার্প এবং জিআইএফএস এর ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডেভলাপমেন্ট ম্যানাজার জনাব মো: হাসান পারভেজ আহমেদ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান বিষয়ে পৃথক পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তাছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড মো: তফাজ্জল ইসলাম Bangabandhu – Pierre Elliot Trudeau Agricultural Technology Centre (BP-ATC) স্থাপন ও এর অধীনে ৫ টি থিমের (Genomics Phenomics for Plant Breeding, Soil Health and Quality, Soil Water Regime and Adaptation, Agro-processing and Postharvest food handling, and Data Management) সমন্বিত গবেষণা কার্যক্রম ও গবেষণায় বিনিয়োগ বিষয়ে অপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

উল্লেখ্য যে, GIFS-Canada BP-ATC এর অধীনে এসব গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। উল্লেখ্য এ লক্ষ্যে বিএআরসি কমপ্লেক্স এ GIFS Regional Office ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় কানাডা ও নেদাল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, FAO, IFAD, IsDB, World Bank, ADB সহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা, কূটনৈতিক মিশন, কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন আন্তজার্তিক ও আঞ্চলিক সংস্থার প্রধান/ প্রতিনিধিবৃন্দসহ ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটে পতিত জমিতে সবজি চাষে কৃষকদের বাড়তি আয়
কৃষি বিভাগ

শস্য বিন্যাস কর্মসচির আওতায় বাড়ির পাশে এবং রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষ পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে স্থানীয় কৃষকদের।

শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত জয়পুরহাট জেলায় কাঁচা রাস্তা রয়েছে এক হাজার ৫৯৬ কিলোমিটার এবং পাকা রাস্তা রয়েছে ৩৪২ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার।

রাস্তার দু’পাশের জমি গুলো মূলত পতিত হিসেবে পড়ে থাকে। সেই পতিত জমি গুলোতে বিভিন্ন প্রকার সবজি বিশেষ করে লাউ, শিম, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, পুইশাক ও করোলা চাষ করা যায় সহজেই। সরেজমিন পাঁচবিবি উপজেলার দহতপুর থেকে পাথরঘাটা রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন আলম হোসেন, আব্দুস সাত্তার ও আব্দুর রহমান। সবজি চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয় করা সম্ভব হয়।

দহতপুর গ্রামের আলম হোসেন জানান, একই মাচা ব্যবহার করে সারা বছর বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়।

জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে। একই মাচা ব্যবহার করে সবজি চাষ করায় উৎপাদন খরচ কম পড়ে। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। যার কারণে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা পতিত জমিতে সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. নূরুল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায় শস্য বিন্যাস কর্মসূচির আওতায় পতিত জমিতে সবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ১:২১ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ে প্রতি কেজি শসা ৫০ পয়সা, হতাশায় কৃষক
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায দাম পাচ্ছে না চাষিরা। বর্তমানে শসার দাম কম, লাভের বদলে উল্টো লোকসানে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন চাষীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। বেশি চাষাবাদ হয়েছে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ও হাড়িভাসা ইউনিয়নে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার ফলনও হয়েছে ভালো। রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি শসা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করলেও বর্তমানে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ পয়সা কেজি দরে।

কৃষকরা বলছেন, প্রতিবিঘা জমিতে শসা চাষে ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও চারভাগের একভাগ টাকাও উঠবে না। এক বিঘা জমিতে শসা পাওয়া যায় ২৫০ থেকে ৩০০ মণ। ৫০ পয়সা কেজি দরে বিক্রি করে তারা পাচ্ছেন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা তাঁদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এমনকি বর্তমানে মজুরি খরচও ওঠাতে পারছেন না তাঁরা। তাই অনেকে ক্ষোভে শসা ক্ষেতের পরিচর্যাও বাদ দিয়ে দিয়েছেন।

সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বনগ্রামের চাষি মতিয়ার রহমানের বলেন, এ বছর আমি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মুজুরি খরচই উঠছে না।

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শামীম জানালেন, তাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ৩:২৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় সাথী ফসলের চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, চান্দিনা, দেবীদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার কৃষকেরা তাদের জমিতে তিন সাথী ফসলের (ভুট্টা, ধনেপাতা, আলু) আগাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা ভুট্টা চাষের পাশাপাশি প্রতিটি জমিতে ধনেপাতা ও আলুর চাষ করে রীতিমতো কৃষি অঙ্গনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি জমিতে আলু ও ধনেপাতার চাষও বেশ ভালো হয়েছে। এতে ধনেপাতা ও আলু বিক্রি থেকেই কৃষকের ভুট্টা চাষের খরচ উঠে আসে। তিন সাথী ফসলে লাভবান হওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, চান্দিনা, দেবীদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলা এলাকা ঘুরে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে তাদের সাফল্যের এসব বিষয় জানা গেছে।

সরেজমিন জেলার দাউদকান্দি উপজেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঐ উপজেলার পাঁচগাছিয়া, দৌলতপুর, জিংলাতলী, মারুকা, মালিগাঁও, বারপাড়া, সুন্দলপুর, হরিপুর, ঢাকারগাঁও, গোয়ালমারী, রাঙ্গাশিমুলিয়া, ডাকখোলাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠ জুড়ে ভুট্টা আর ভুট্টা। এখন ভুট্টা সংগ্রহের উৎসব চলছে। প্রতিটি বাড়ির উঠানে, ঘরের চালায়, ভবনের ছাদে, স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসা ও মক্তবের মাঠে কিষাণ-কিষাণীরা  ভুট্টা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা ফসলের মাঠে গিয়ে ভুট্টা সংগ্রহ করছেন। কেউ জ্বালানির জন্য ভুট্টার মোচা, ভুট্টার ছোবড়া ও ভুট্টাগাছ সংগ্রহ করছেন। আবার বসতবাড়িগুলোর উঠানে উঠানে কেউ ভুট্টা শুকাচ্ছেন। দেখা গেছে, ভুট্টা চাষের পাশাপাশি প্রতিটি জমিতে আলু ও ধনেপাতার চাষও করেছেন কৃষকেরা।

মনির হোসেন, কবির উদ্দিন, রমিজ হোসেন, জাকির হোসেনসহ অন্তত ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বীজ, চাষ, সার, কৃষিশ্রমিক ও পরিচর্যাসহ একই খরচে জমিতে ভুট্টার পাশাপাশি ধনেপাতা ও আলুর চাষ করা যায়। এতে ভুট্টা চাষের খরচ ধনেপাতা ও আলু বিক্রি থেকে উঠে আসে। এভাবে ভুট্টার আয়ের পুরোটাই তাদের লাভ হয়।

গোয়ালমারী গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, তিনি সাড়ে ১২ বিঘা জমিতে অগ্রহায়ণ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথমে ধনেপাতা বপন করেন। একই জমিতে পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করেন ভুট্টা। ধনেপাতা বিক্রির পর একই জমিতে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে ভুট্টার সঙ্গে আলু চাষ করেন। আলু তোলার পর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে ভুট্টা সংগ্রহ করেন।

তিনি আরো বলেন, আবাদকৃত জমি থেকে ৮৫ হাজার টাকার ধনেপাতা এবং ৬৫ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেন। সেখানে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আর বাজারে প্রতি মণ ভুট্টার দাম ৭৮০ টাকা। ভুট্টা বিক্রিতে এবার প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাভ হবে। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টাগাছ ১২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিন সাথী ফসল (ভুট্টা, ধনেপাতা, আলু) আবাদে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় সব কৃষকই শতভাগ লাভবান হয়েছেন। ভুট্টা আগাম চাষ করা গেলে এবং ব্যবস্থাপনা ভালো হলে উচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের পরামর্শসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

 

 

সূত্রঃ বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ১:০৫ অপরাহ্ন
মাগুরায় বাম্পার ফলনেও বিপাকে পেঁয়াজ চাষিরা
কৃষি বিভাগ

মাগুরায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কিন্তু বাজারে দাম কম থাকায় লোকসানের আশংকা করছেন কৃষকরা। পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা যেমন ছাড়িয়েছে, তেমনি পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে লাভবান হবেন কৃষকরা।

দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম জেলা মাগুরা। আর এখানে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয় শ্রীপুর উপজেলায়। গত কয়েক মৌসুমে পেঁয়াজের ভাল দাম পাওয়ায় লাভের আশায় তারা বেশি পেঁয়াজ চাষ করেছেন, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজের ফলনও ভাল হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত পেঁয়াজ তোলা ও বিক্রি নিয়ে।

জেলায় বারি পেঁয়াজ-১ ও লালতীর কিংসহ দেশীয় জাতের বিভিন্ন পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি শতকে প্রায় এক থেকে দেড় মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।

বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না তারা। লাভ দূরে থাক, উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকায়, মাঝারি আকারের ৬৮০ টাকায় এবং ছোট আকারের ৪৪০ টাকায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে। সেখানে কৃষকরা চাষ করছেন ১১ হাজার ৯৮৪ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলানায় ১ হাজার ৬১৪ হেক্টর বেশি। জেলার চার উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে শ্রীপুরে। এ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে। এছাড়া সদর উপজেলায় ১ হাজার ২০৫ হেক্টর, শালিখায় ৬৯০ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৩৯৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। চাষ করা জমি থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, অনূকুল আবহাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের লোকজন নিয়মিত পেঁয়াজ চাষিদের পরামর্শ ও তদারকি অব্যাহত রাখায় পেঁয়াজের উৎপাদন ভাল হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
গাইবান্ধায় বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক
কৃষি বিভাগ

গাইবান্ধা জেলার একাধিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বোরো ধানের বেশ কিছু খেতে ব্যাপক আকারে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে আনেক চাষি। কীটনাশক প্রয়োগেও সুফল মিলছে না বলে জানিয়েছেন তারা। এর ফলে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মাত্র দু-তিন দিন সময়ের মধ্যে শীর্ষ বের হওয়া কাঁচা ধানগাছ হঠাৎ করে হলুদ বর্ণ ধারণ করে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ এটিকে ব্লাস্ট রোগ বলে চিহ্নিত করেছে। অসময়ে হঠাৎ এ রোগের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

এবার চড়া দামে চারা, সার ও কীটনাশক কিনে ধানের চাষ করেছিল কৃষকরা। কিন্তু ঘরে তোলার আগেই স্বপ্নের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা তারা। ফসল বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

চাষীদের অভিযোগ, এব্যাপারে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, কৃষকদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শও কৃষি বিভাগ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

চলতি বছর গাইবান্ধা জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ১৫ হাজার টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২২ ১:১৩ অপরাহ্ন
হাওরের ৯০ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ- কৃষি মন্ত্রণালয়
কৃষি বিভাগ

এখন পর্যন্ত হাওরের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৮০%, নেত্রকোনায় ১০০%, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৮%, সিলেটে ৯২%, মৌলভীবাজারে ৮৮%, হবিগঞ্জে ৯০% এবং সুনামগঞ্জে ৯৫% ধান কাটা শেষ হয়েছে।

রোববার (১ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: কামরুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর দেশের হাওরভুক্ত ৭টি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে। ৪ লাখ ৫০০ হেক্টর জমিতে শেষ হয়েছে ধান কাটা। আর হাওরের বাইরে উঁচু জমিতে (নন-হাওর) আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে।

মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে, যা শতকরা হিসাবে ৬০ ভাগ (হাওরে ৯০%, নন-হাওরে ৩২%)।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়ায় হাওরে দ্রুততার সাথে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। শুধু সুনামগঞ্জ জেলাতেই ৫৭৭টি কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে বৈরি পরিবেশের মধ্যেও দ্রুততার সাথে বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পাকা ধান দ্রুততার সাথে কাটার জন্য শুরু থেকেই কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৬০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে ৩০০টি কম্বাইন হারভেস্টার অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop