গৌরীপুরে মৃত্তিকার কৃষক প্রশিক্ষণ ও সুষম সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ
কৃষি বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহের তত্ত্বাবধানে ‘সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ ও সুষম সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিষয়ক’ এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা গবেষণাগার MSTL-যমুনা কর্তৃক মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে গৌরীপুরের চাষীদের জন্য প্রস্তুতকৃত ৫০টি সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. মো: আনিছুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অফিস প্রধান আঞ্চলিক গবেষণাগার, ময়মনসিংহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন MSTL-যমুনা এর দলনেতা ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: সিরাজুল ইসলাম,। আরও উপস্থিত ছিলেন MSTL -যমুনার সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান।
উপস্থিত ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী কৃষক- কৃষাণীদের মাঝে সুষম সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয় এবং সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব নিলুফার ইয়াসমিন জলি এবং সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব কৃষিবিদ মো: আবুল বাশার।
‘মাটি পরীক্ষা করে সার দিন, অধিক ফলন ঘরে নিন, মাটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হই’ স্লোগানকে সামনে রেখেই ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা ল্যাবরেটরি যমুনা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৬ টি উপজেলায় উক্ত কর্মসূচি পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় এসআরডিআই এর যুগোপযোগী সেবা পৌঁছে দেওয়ার এই চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাননীয় মহাপরিচালক, এসআরডিআই মহোদয়কে গৌরীপুরের চাষিদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং চাষীরা এই ধরনের কর্মসূচি বেশি বেশি আয়োজন করার দাবি জানান। আলোচকবৃন্দ মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তারা বলেন, মাটি পরীক্ষা করলে ফলন বেশি হয়, সারের অপচয় রোধ হয়, খরচ কমে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা হয়, মানুষের যেমন সুষম খাবার দরকার ঠিক তেমন ই মাটিরও সুষম সার, জৈব সার বেশি করে প্রয়োজন। কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে ইচ্ছামতো বস্তা বস্তা সার দিতেন, এখন জমির মাটি পরীক্ষা করে জেনেছেন তার জমির জন্য এত সার লাগবে না, এখন ওনি মৃত্তিকার সার সুপারিশ কার্ড অনুসরণ করে জমিতে সার দিবেন এবং আশেপাশের অন্যান্য চাষিদের বিষয়টি অবগত করবেন।