৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২২, ২০২২ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
সিকৃবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা
ক্যাম্পাস

সিকৃবি প্রতিনিধিঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্যারাসাইটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। সোমবার (২১ নভেম্বর)মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মোছা: রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞাকে চার বছর মেয়াদে সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

একাধারে শিক্ষক, গবেষক ও সংগঠক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ২৮ বছরের কর্মজীবনে তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি সিকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন, রেজিস্ট্রার, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা), পরিচালক (ভেটেরিনারি ক্লিনিক্স), পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা), পরিচালক (খামার), অতিরিক্ত পরিচালক (আইকিউএসি), বিভাগীয় প্রধান, হোস্টেল সুপার, সভাপতি (বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ক্রয় কমিটি) সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া একজন সংগঠক হিসেবে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি, সিকৃবির গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয় কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় এক সম্ভ্রান্তÍ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২২ ১১:৩৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াডের বিজয়ী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস

আবদুর রহমান (রাফি): জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর সহায়তায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অলিম্পিয়াডের বিজয়ী দল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম “সুপারবাগস”। কক্সবাজারের হোটেল রয়েল টিউলিপে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ও ১৭ নভেম্বর। এতে ফাইনাল রাউন্ডে ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬৬ টি টিম অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি করে ১২ টি টিম ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ লাভ করে। এর মধ্যে শ্রেষ্ট দলের মর্যাদা লাভ করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের “টিম সুপারবাগস”। সুপারবাগস দলের সদস্যরা হলেন লেভেল-৫ থেকে দলনেতা মুহতাদী মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, লেভেল-৪ থেকে মুজাহিদুল ইসলাম তুষার, লেভেল-৩ থেকে ফরহাদ হোসেন সাগর, লেভেল-২ থেকে সোনিয়া হাসনাত জাহান এবং লেভেল-১ থেকে সুশীলা পাল।

বিজয়ী দল টিম সুপারবাগস কে তাৎক্ষণিকভাবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ শুভেচ্ছা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী
ক্যাম্পাস

চার বছরের জন্য খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।

আজ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ দেয়া হয়।

Open photo

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী আগামী চার বছর তিনি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। বিধি অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন তিনি। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি যেকোন সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলে, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমানে ড. আবুল কাশেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত পটুয়াখালী কৃষি কলেজের (বর্তমান পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৩৪ বছর সুনামের সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

তাছাড়া তিনি ২০০১ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  আন্তর্জাতিক (২৯টি) ও জাতীয় (২৪টি) পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে তার ৫৩টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অধ্যাপক ড. চৌধুরী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সফল কর্মজীবনের অধিকারী অধ্যাপক ড. চৌধুরী কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, কৃষি অনুষদের ডিন, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের প্রধান, রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং স্বৈরাচার বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম চৌধুরীর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা মাধ্যমে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনে আরও বেগবান হবে একই সাথে তাদের গবেষণা কার্যক্রমেও সাফল্য নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৬, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
বেগুনে নয়, চাষের মাটিতেই ভারী ধাতু: বাকৃবির গবেষণা
ক্যাম্পাস

বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি তা থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, শুধু বেগুনে নয়, যে মাটিতে ফসল উৎপাদন হচ্ছে তাতেই রয়েছে ক্ষতিকর ভারী ধাতু লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেলের উপস্থিতি। অন্য সবজি বা ধান-গমেও মিলতে পারে এসব ক্ষতিকর ধাতু।

সম্প্রতি জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার মাটিতে চাষ হওয়া বেগুন নিয়ে বাকৃবির গবেষকরা একটি গবেষণা করেন। সেখানে দেখা গেছে, বেগুনে ভারী ধাতুর উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। পরে এর কারণ খুঁজতে ফসলের মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, মাটিতেও রয়েছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর ভারী ধাতুর (লেড, ক্যাডমিয়াম ও নিকেল) উপস্থিতি।

এই মাটিতে ফলানো অন্য ফসলেও এসব ভারী ধাতুর উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে কী কারণে মাটিতে লেড, নিকেল ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বাড়ছে তা জানতে এবং এর প্রতিকারে আরও গবেষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন গবেষকরা। কারণ এসব ভারী ধাতু খাবারের সঙ্গে বছরের পর বছর নিয়মিত গ্রহণ করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদের সমন্বয়ে বেগুন ও মাটির নমুনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে বেগুন ও মাটির নমুনা নিয়ে দুই বছর ধরে গবেষণা করা হয়। সম্প্রতি ওই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টে’।

এ বিষয়ে বেগুন চাষি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, বেগুন ক্ষেতের পোকা মারতে চার ধরনের বিষ দিতে হয়। এই চার জাতের বিষ একসঙ্গে মিশিয়ে ক্ষেতে দিলে পোকা মরে, না হলে মরে না। আমার এক বিঘা জমিতে ৯ মাসে প্রায় ৩৬ হাজার টাকার বিষ দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে আগামীতে বেগুন ক্ষেতে বিষ না দিয়ে নেট হাউজ তৈরি করে ফেলবো। এতে নিজের ক্ষতি, ফসলের ও মাটির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আর এসব বিষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির। কারণ, এই বছর বেগুনক্ষেতে দুই প্রকার বিষ দিয়ে পোকা মারলাম। কিন্তু, পরের বছর চার প্রকার বিষ দিয়ে পোকা মারতে হবে, না হলে বেগুন ক্ষেতের পোকা মরবে না। প্রতিবছর এভাবে বেগুন ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ বাড়াতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাকৃবির রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী ফরহাদ কাদির বলেন, গবেষণাটা শুরু হয় ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি ফান্ডে এবং পরবর্তীকালে একই দাতা সংস্থার আরেকটি ফান্ডে মোট দুই বছর আমাদের গবেষণা চলে। গবেষণায় আমরা জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা থেকে বেগুন এবং যে মাটিতে বেগুন হচ্ছে সেই মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। সেখানে ভারী ধাতুর পাশাপাশি অন্য কিছু পুষ্টি উপাদানের মাত্রা কতখানি আছে তা দেখি।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল, আমরা যে পরিমাণ বেগুন খাই সেখানে যে আয়রন, জিংক আছে তা আমাদের জন্য যথেষ্ট কি না তা দেখা। পাশাপাশি ক্ষতিকর উপাদান ভারী ধাতু আছে কি না তা জানার চেষ্টা করি। ভারী ধাতু লেড, নিকেল, ক্যাডমিয়াম ও কপার কতখানি আছে তা সহনীয় মাত্রার চেয়ে কম না বেশি; সেটা ক্ষতিকর হলে কতখানি ক্ষতি হতে পারে, তাও জানার চেষ্টা করেছি।

কাজী ফরহাদ কাদির বলেন, পাশাপাশি লেড, নিকেল ও ক্যাডমিয়াম পেলাম তা কোথা থেকে এলো। সেজন্য আমাদের মাটির সঙ্গে একটা যোগসূত্র স্থাপন করার চেষ্টা করেছি। সে ক্ষেত্রে গবেষণা করে দেখেছি লেড, নিকেল, ক্যাডমিয়াম ও কপার চারটি ধাতু মাটি থেকেই এসেছে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি মাটিতে এই চারটি ধাতু সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আছে।

বাকৃবির কৃষি রসায়ন বিভাগের আরেক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, মাটিতে লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেল ও কপারের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি। এর কারণে শুধু বেগুন নয়, অন্যান্য সবজি, এমনকী ধান-গমেও আসতে পারে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে বড় ঝুঁকির কারণ। এসব ধাতু শুধু জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহের মাটিতে বেশি আছে বিষয়টি এমন না। আমরা ভালুকা ও গাজীপুরের মাটিতেও এসব ধাতুর উপস্থিতি পেয়েছি। আমরা যদি মনে করি, গাজীপুর ও ভালুকায় কলকারখানা বেশি এই কারণে এসব জায়গার মাটিতে লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেলের উপস্থিতি বেশি। তা ঠিক নয়, কারণ, জামালপুরে তো কলকারখানা নেই। তাহলে সেখানে এসব ভারী ধাতু এলো কীভাবে?

তিনি আরও বলেন, মাটিতে ভারী ধাতুর যে উপস্থিতি পাওয়া গেছে, এর উৎস কী- রাসায়নিক সার, কীটনাশক, সেচের পানি নাকি অন্য কোনো উপায়ে মাটি নষ্ট হচ্ছে- এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন। যে সমস্ত উৎস থেকে ভারী ধাতুগুলো আসছে সেগুলো যদি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি, তাহলে মাটিতে ভারী ধাতুর পরিমাণ কমে যাবে এবং খাদ্যে কম অনুপ্রবেশ করতে পারবে। এ বিষয়ে গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া পদক্ষেপে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। সূত্র: সিটিনিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৫, ২০২২ ৭:৪৭ অপরাহ্ন
সিভাসু‘তে অনুষ্ঠিত হলো কাঁচাবাজারের মুরগী জবাই পরবর্তী করণীয় নিয়ে কর্মশালা
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এর ফিজিওলজি, বায়োকেমিষ্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ দ্বারা অনুষ্ঠিত হলো “কাঁচাবাজারের মুরগী ব্যবসায়ীদের বাজারজাত মুরগীর জবাই পূরবর্তী প্রাণীকল্যাণ বরং জবাই পরবর্তী মাংসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের” উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা ।

মঙ্গলবার(১৫ নভেম্বর) এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাঁচাবাজার হতে প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহন করেন।

প্রশিক্ষণে বাজারজাত মুরগীর জবাই পূর্ববর্তী প্রাণীকল্যাণ নিশ্চিতকরণের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। বিশেষত জবাইয়ের পূর্বে মুরগী ধরার কৌশল, ছুরির অবস্থা, হালাল ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে ড. আলম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন এর মাধ্যমে সচিত্র বিষয়সমূহ আলোকপাত করেন। মুরগীর প্রাণীকল্যাণ ছাড়াও জবাই পরবর্তী মাংসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উপর প্রশিক্ষক হিসেবে আলোকপাত করেন ডা. মোঃ রিদুয়ান পাশা। জবাই পরবর্তী স্থানসমূহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ মাংস সরবরাহ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে ড. পাশা আলোকপাত করেন।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শেষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ শাহনেওয়াজ আলী খান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় এর কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল।

এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন, খাদ্যবিজ্ঞান ও টেকনোলজী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ও পরিচালক (বহিরাঙ্গন) ড. এ কে এম সাইফুদ্দীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা ও সম্পসারন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ লুৎফুল আহসান। বক্তাগণ এই প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও সময়োপযোগী বলে মত দেন এবং এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মুরগী ব্যবসায়ীদের সচেতন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জবাইয়ের পূর্বে প্রাণীকল্যাণ এবং ধর্মীয় নিয়মকানুন মেনে এবং জবাই পরবর্তী স্থান নিয়মিতভাবে পরিস্কার করলে ভোক্তাগন নিরাপদ মাংস বাজার থেকে সাচ্ছন্দ্যে নিয়ে আসতে পারবেন বলেও মত প্রদান করেন। প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এই ধরনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ যা মানবস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত তা আয়োজন করার জন্য ফিজিওলজি বায়োকেমিষ্ট্রি ও ফার্মাকোলজী বিভাগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সদনপত্র বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
আসমি এবং ফিলিলের ২ দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের সমাপ্তি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: ‘বাংলাদেশে কৃষির রূপান্তর: উপযুক্ত পরিমাপে যান্ত্রিকীকরণ ও ফসল কর্তন পরবর্তী ক্ষতি কমানোর উদ্ভাবনসমূহ ’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপি আয়োজিত আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার  লেকশোর হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন ইনোভেশন হাব (আসমি) বাংলাদেশ ও  পোস্ট-হারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাব (ফিলিল) বাংলাদেশ ফেজ-২ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের আয়োজনে ওই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামের সমাপনী অনুষ্ঠানে আমেরিকার কানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দি রিডাকশন অফ পোস্টহারভেস্ট লস প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ড. জেগার হার্ভে, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) ডিরেক্টর ড. প্রশান্ত কে. কালিতা, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আবুল কাশেম শিরিণ, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মো. আব্দুস সামাদ এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন।

“ট্রান্সফর্মেশন ইন এগ্রিকালচার থ্রু পোস্টহারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশনস” শীর্ষক টেকনিক্যাল পর্বে আলোচনা করেন আমেরিকার কানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দি রিডাকশন অফ পোস্টহারভেস্ট লস প্রোগ্রামের পরিচালক ড. জেগার হার্ভে,  ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এডিএম ইনস্টিটিউটের জেন্ডার ও ইয়োথ কো-অর্ডিনেটর ও সহযোগী পরিচালক মারিয়া জোনস্,  ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের এডুকেশন পলিসি এন্ড লিডারশীপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সামান্থা লিন্ডগ্রেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী, ইফরি-বাংলাদেশের সিনিয়র রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ড. সৌমি মুস্তাফা এবং আমেরিকার টাফস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিড দি ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর নিউট্রিশনের রিজিয়নাল কো-অর্ডিনেটর ড. রবিন শ্রেষ্ঠ।

এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমরা যথেষ্ট উপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। তবে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে উৎপাদনের বড় একটি অংশ ক্ষতির সম্মুখে পরতে হয়। এই ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও নারী পুরুষের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের তরুণদেরকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এবং সেগুলো উত্তোরণের প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাউ এসটিআর ড্রায়ার, রিসারকুলেটিং ড্রায়ার, সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা যা কর্তন পরবর্র্তী ক্ষতি কমাতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করবে। এ জন্যে সরকার এবং যেসব কোম্পানি যান্ত্রিকীকরণ নিয়ে কাজ করছে তাদের কৃষি যন্ত্র সম্প্রসারণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তারা।

আসমি প্রজেক্টের মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত প্রযুক্তিগুলো হলো ধান কাটা, মাড়াই ও প্যাকেজিং যন্ত্র কম্বাইন হার্ভেস্টর, ধান কাটার যন্ত্র রাইস রিপার, ধানের বীজ বপন করার যন্ত্র রাইস সিডার, চারা লাগানোর যন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। এছাড়া ফসল সংগ্রহের পর ফসলকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য বাউ ড্রায়ার, বায়ুরোধী হারমেটিক ব্যাগ ও হারমেটিক কোকুন।

পরে “চ্যালেঞ্জেস এন্ড পলিসি ইস্যুজ ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশন” শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিস সরকার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক  ড. শাহজাহান কবীর,  বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক (লাইভস্টক) ও মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষি প্রকৌশল) ড. নাজমুন নাহার করিম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এডিশনাল কমিশনার প্রমিলা সরকার।
সমাপনী পর্বে “এগ্রিকালচারাল ট্রান্সফর্মেশন অফ বাংলাদেশ: ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন এপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন এন্ড পোস্টহারভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশনস” বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক এবং আসমি-বাংলাদেশ ও ফিলিল-বাংলাদেশ ফেজ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. মো মঞ্জুরুল আলম।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গবেষক,কর্মকতাবৃন্দ, শিক্ষার্থী , কৃষক, ব্যবসায়ীসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতাসংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২২ ৮:৪৪ অপরাহ্ন
পিপিবি শেকৃবি শাখার নতুন নেতৃত্বে রবিন, কো-লিডার বিভব-কাদেরী
ক্যাম্পাস

শেকৃবি প্রতিনিধি: পোল্ট্রি প্রোফেশনাল’স বাংলাদেশ (পিপিবি) স্টুডেন্ট’স ভলান্টিয়ার টিম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।

২১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে লিডার হিসেবে রয়েছেন আরিফুল ইসলাম রবিন এবং কো-লিডার হিসেবে রয়েছেন মোস্তাফিম মামুন (বিভব) এবং ইশরাত জাহান কাদেরী। বাকি ১৮ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনবীর, লামিয়া, রাকিব, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান, অনন্যা, অর্পিতা, আনাস, কামরুল, মেহেদী, সাগর, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অজয়, রাহী, আয়েশা, রাকিব, নোমান, প্রথম বর্ষের এনামুল, রাহী এবং রাবেয়া।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিপিবি কাজ করে যাচ্ছে দেশের পোল্ট্রি শিল্প নিয়ে। ভোক্তা ও খামারী পর্যায়ে পোল্ট্রি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে পিপিবি’র উদ্যোগে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্রয়লার, লেয়ার ও ডিমের পাইকারী ও খুচরা দাম তাদের ফেসবুক পেইজে দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও পোল্ট্রি সংক্রান্ত বিভিন্ন সভা, সেমিনার করে থাকে পিপিবি।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা ভিত্তিক ভলিন্টিয়ার টিমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে ডিম ও মাংস নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং বিভিন্ন গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে পিপিবি৷ উল্লেখ্য, পিপিবি পোল্ট্রি কনভেনশন-২০২৩ আয়োজন করতে যাচ্ছে ২৮-২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ এ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২২ ৯:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে সোলার ইরিগেশন সিস্টেম টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অভ্যন্তরে ওই সোলার ইরিগেশন সিস্টেম বেইজড টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের অ্যাপ্রোপ্রিয়েট স্কেল মেকানাইজেশন কনসোর্টিয়ামের (এএসএমসি) পরিচালক ডক্টর প্রশান্ত কে. কালিতা এটি উদ্বোধন করেন।

জানা যায়, টেকনোলজি পার্কে আইওটি (বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ) বেইজড সোলার ইরিগেশন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে একটি ১৫০০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার মডিউল ব্যবহার করে .৭৫ কিলো ওয়াট সাবমারসিবল পাম্প চালানো হয়। পরে সেই পাম্পের মাধ্যমে ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জলাধার পূর্ণ করা হয়। জলাধারের পানি ব্যবহার করেই ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে প্রতিটি গাছের গোড়ায় গোড়ায় পানি দেয়া হয়। এই সম্পন্ন প্রক্রিয়াটি ওয়াইফাই (ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক)নির্ভর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ সময় অতিথিরা মোবাইলের মাধ্যমে বেগুন গাছে ইরিগেশন (গাছে পানি দেওয়া) দেয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-আরবানা শ্যাম্পেইনের সহযোগী ডিন এবং এক্সটেনশন ইমিরিটাসের পরিচালক ডক্টর জর্জ ছাপার। এছাড়া কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ক্ষুদ্রসেচ বিভাগের সদস্য পরিচালক ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, আসমি-বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ও কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম  এবং  সহযোগী পরিচালক ও কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আওয়াল, অধ্যাপক ড. মো. রোস্তম আলী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক-ই রব্বানী, অধ্যাপক কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক টুম্পা রাণী সরকার,পিএইচডি ফেলো শীবেন্দ্র নারায়ন গোপ ও জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু এবং অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২২ ৯:০১ অপরাহ্ন
সিভাসুর নতুন অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন হলেন প্রফেসর ড. আশুতোষ দাশ
ক্যাম্পাস

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ

 

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি নতুন অনুষদ চালু করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদীয় জেনেটিক্স অ্যান্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আশুতোষ দাশকে নতুন এই অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন নিযুক্ত করা হয়েছে। হাটহাজারীতে স্থাপিত রিসার্চ অ্যান্ড ফার্মবেইজড ক্যাম্পাসে (২য় ক্যাম্পাস) এই অনুষদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ড. আশুতোষ ডেনমার্কের আরোস ইউনিভার্সিটি থেকে মলিকুলার বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিষয়ে পিএইচডি এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্যা অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। ইতোপূর্বে তিনি বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট ও সহকারি প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেটিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জেনোমিক্স ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

অধ্যাপক ড. আশুতোষ দাশ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার অন্তর্গত চন্দ্রঘোনা গ্রামের সনাতন দাশ ও পারুল দাশের কনিষ্ট সন্তান। ২০১৫ সালে ডেনমার্কের আরহুস ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক্স বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। তিনি ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের স্কলারশীপে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এন্ডেভার রিসার্চ ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৯ হতে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ২ বছরের পোস্টডক্টোরাল গবেষনা সম্পন্ন করেন।

তিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস হতে “চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়” এর ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদীয় জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জেনেটিক্স, জিনোমিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স এবং মাইক্রোবায়োম সহ বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। এসব বিষয়ের উপর আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক জার্নালে তাঁর ৪০টির মতো গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে তার।

নবনিযুক্ত এই ডিনকে আগামী ২ বছরের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, গবেষক ও বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজনপূর্বক সিলেবাস-কারিকুলা আধুনিকায়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন এর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল।

রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ কন্ফারেন্স হলে সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল এর নিকট হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. আউয়াল ১৯৮৮ সনে বাকৃবিতে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯৭ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০০২ সন থেকে অদ্যবধি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি পোহাং ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, দক্ষিন কোরিয়ায় ২০০৪-০৫ পর্যন্ত ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রফেসর ড. আউয়াল বিভিন্ন সময় এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তার জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মোট ৬৪ টি গবেষনা প্রবন্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকমন্ডলীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop