৯:৪৫ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৫:৫১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত
পোলট্রি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ ডিমের গুণগত মান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দিবসটি পালন উপলক্ষে সোমবার (২১ অক্টোবর ২০২৪ ) সকাল ৯টা ৩০মিনিটে বাকৃবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানো হয় এবং একটি বর্নাঢ্য র‍্যালী পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস পদক্ষিন শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।পরে দিবসটি পালনে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. বাপন দে’র সভাপতিত্বে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১১.০০ টায় অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব ডিম দিবস ২০২৪ উদযাপন ‘অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল হক, পশু পালন অনুষদীয় ডীন প্রফেসর ড. মো: রুহুল আমীন, বাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হাম্মাদুর রহমান, ইউজিসি প্রফেসর ড. এস.ডি. চৌধুরী, ডীন ভেটেরিনারি অনুষদ প্রফেসর ড. মো: আবদুল আউয়াল ,শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ডীন মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ ব্রিডার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মো: মাহাবুব হাসান।অনুষ্ঠানে তনুশ্রী চৌধুরীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড.সুবাস চন্দ্র দাস ,মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো: শওকত আলী এবং কি-ডিসকাসেন্ট হিসেবে ইউজিসি প্রফেসর ড. এস.ডি. চৌধুরী বিস্তৃত আলোচনা করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া তার বক্তব্যে ডিমের উৎপাদন ও বিপণনের বিকাশে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আর এন্ড ডি) এর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন ” ডিম হচ্ছে সহলভ্য প্রকৃতপক্ষে একটি ব্যালেন্সড খাবার”। তিনি এই খাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিবাদন জানন। এছাড়া তিনি স্কুলের বাচ্চাদের প্রতিদিনের টিফিনে অবশ্যই অন্ততপক্ষে ১টা ডিম রাখার পরামর্শ দেন। তিনি ডিমের উচ্চ খাদ্যমানকে কাজে লাগাতে সহনীয় মূল্যের মধ্যে ডিম এবং আলু-সবজিসহ একটি সুস্বাদু ডিমের মেন্যু প্যাক সবার জন্যে বাকৃবির টিএসসি কেন্টিনে রাখার ব্যাপারে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি আহবান জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে আমদানিকৃত ডিম নয় বরং ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , শিক্ষার্থী ,আমন্ত্রিত অতিথি ,কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার কাপ্তান বাজারে ও শুক্রবার তেজগাঁও পাইকারি বাজারে সরকারি দামে ডিম বিক্রি শুরু
পোলট্রি

ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা দূর করতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। রাজধানীতে অবস্থিত ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার- তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করার মাধ্যমে ডিমের দামে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিম উৎপাদনকারি দেশের অপেক্ষাকৃত বড় খামারগুলো এ ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে, এ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ‘বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল’ (বিপিআইসিসি)। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ এর মহাপরিচালক জনাব মো. আলীম আখতার খান, রাজধানীর কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিপিআইসিসি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক জনাব মসিউর রহমান বলেন- সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডারগণ একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যার কারণে দেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ জেলার পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যায়; ফলশ্রæতি চাহিদা ও যোগানের মাঝে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। জনাব মসিউর বলেন- দেশের এ সংকটকালীন সময়ে একটি মহল অতিরিক্ত মুনাফা লোটার চেষ্টা করলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রিয় সংগঠন ‘বিপিআইসিসি’ আগামী ১৫দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২টাকায় পাওয়া যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সরকারের বাজার তদারকি সংস্থা, ডিম উৎপাদনকারি বড় খামারি ও পাইকারি আড়ৎদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা- এ উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ উদ্যোগের অপর একজন সমন্বয়ক ‘ব্রিডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (বিএবি) এর সভাপতি জনাব মাহাবুবুর রহমান বলেন- খামার  থেকে ভোক্তার হাতে ডিম পৌঁছাতে ৭ হাত বদল হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু এলাকায় কিছু অপেশাদার লোকজনও ডিমের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এতে হাত বদলের সংখ্যা আরও বেড়েছে। যত হাত বদল হবে, দাম ততই বাড়বে। তাই আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- হাত বদলের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় আমরা সে চেষ্টাই করছি।

বিপিআইসিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- গত ১৫ অক্টোবর সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এবং দুপুরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পৃথক দু’টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সন্ধ্যাতেই বিপিআইসিসি’র উদ্যোগে ডিম উৎপাদনকারি বড় খামারিদের সাথে যোগাযোগ করে একটি অনলাইন সভা আহŸান করা হয়। পরেরদিন ১৬ অক্টোবর- বড় খামারি এবং তেজগাঁও এবং কাপ্তান বাজারের পাইকারি আড়ৎদারদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়- যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকায় ডিমের সরবরাহ ও বিপণন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে সরকারি দামে ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সময় স্বল্পতার কারণে তেজগাঁও পাইকারি বাজারে যথাসময়ে ডিমের চালান পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছেনা; তাই শুক্রবার থেকে তেজগাঁও বাজারের কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লিঃ, প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লিঃ, নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি এবং মেগা পোল্ট্রি। আশাকরা হচ্ছে- আফিল এগ্রো এবং প্রাণ এগ্রোও পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৬, ২০২৪ ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার জন্য এখন বিপুল সংখ্যক পোলট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আবহাওয়া বা ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে খামারে অনেক সময় প্রভাব পড়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে মুরগির রোগ প্রতিরোধে করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে খামারে বাচ্চা আসার সময় বক্স মর্টালিটি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ব্রুডিং অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে মুরগির বাচ্চা মারা যায়।

লেয়ার মুরগির খামারের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন কিছুটা কমে যায়। শীতকালের মত কম জায়গায় বেশি মুরগি পালনের ফলে মুরগির ওজন কম আসে।

খামারে পর্দা ব্যবস্থাপনার কারণে গ্যাস জমে এবং মুরগির চোখে এ্যামোনিয়া বার্ন হয়, এসসাইটিস দেখা দেয়। খামারে হঠাৎ মুরগির মড়ক দেখা দিতে পারে এবং খামারিদের লোকসান হয়ে থাকে।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় করণীয়:
আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যায় প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়োসিকিউরিটিতে।খামারের মুরগি অসুস্থ হলে সব ঔষধ বন্ধ করে পরিস্কার পানি দেয়া এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

সঠিক ভাবে এলাকা উপযোগী ভ্যাকসিনেশন শিডিউল মেনে চলা।ব্রুডিংয়ের সময় মুরগীর অবস্থা বুঝে তাপ দেয়া। যেমন বাচ্চা ব্রুডারের নিচে গাদাগাদি করলে তাপ বাড়িয়ে দেয়া।

হঠাৎ অনেক বেশী মড়ক দেখা দিলে অতিদ্রুত পার্শ্ববর্তী ল্যাবে পরীক্ষা করানো।মুরগির খামারে সবসময় জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। রাতের বেলা কোন মতেই যেন পানি গ্যাপ না পড়ে তার দিকে খেয়াল রাখা। যদি গ্যাপ পড়ে যায় এবং পাত্র খালি হয়ে যায় তা হলে পরের বার পানি দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২, ২০২৪ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
পোলট্রি

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
মুরগির ডিম খাওয়া সমস্যার কারণ ও প্রতিকার
পোলট্রি

ডিম পাড়া মুরগির আরও একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস হলো নিজের ডিম নিজে খাওয়া। এটা প্রায়ই লেয়ার খামারে দেখা যায়। এর ফলে খামারি তার লাভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না।

ডিম খাওয়ার কারণঃ

  • দীর্ঘক্ষণ ডিম খাঁচায় রাখা।
  • যদি কোনো কারণে একবার ডিম ভেঙে যায় এবং সেই ডিম যদি মুরগি খেয়ে স্বাদ পায় তাহলে পরে সে নিজের ভালো ডিম খেতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
  • ডিমের খোলস যদি খুব পাতলা হয়। রক্ত বা ভেজা ভেজা অবস্থার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
  • মুরগির খাবারে যদি প্রোটিনের অভাব হয়।

সমাধানঃ

  • মুরগিকে পরিমিত সব উপাদান দেয়া প্রয়োজন,
  • যত দ্রুত সম্ভব মুরগির ডিম অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে,
  • মুরগির ঠোঁট কেটে দিতে হবে।
  • মুরগির খাবারে অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের সরবরাহ বাড়াতে হবে। ক্যালসিয়াম ডিমের সেল গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • মুরগির ডিম পাড়ার জায়গা তুলনামূলক ঢালু করে রাখতে হবে। এতে ডিম পাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিচে চলে আসে।
  • ডিম পাড়া স্থানে তুলনামূলক অন্ধকার হলেও এ অভ্যাসের প্রকোপ কমে।
  • ডিম সংগ্রহের বিরতি কমাতে হবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার ৬ উপায়
পোলট্রি

আমাদের দেশে এখন বেশির ভাগ খামারিরা মুরগির খামারের সাথে জড়িত। আর এই খামার করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়েন খামারিরা। এর মধ্যে বেশির ভাগ খামারিরা পড়েন খাদ্য সমস্যায়। নানা কারণে তাদের খামারের খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয় রোধ করতে পারলে খামারিরা হবে আরো লাভবান। এই জন্য জানতে হবে খামারের খাদ্য অপচয় কমানোর উপায়।

মুরগির খামারে খাদ্য অপচয় কমিয়ে আনার উপায়:

১। খামারে মুরগিতে কৃমির সংক্রমন বিশেষ করে সোনালি বা কক মুরগির গোলকৃমির কারণে খাবার নষ্ট করতে পারে। এজন্য সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ প্রদান করতে হবে।

২। খামারে খাবারের পাত্র পূর্ণ করে খাবার দিলে খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। সেজন্য খাদ্যের পাত্র কিছুটা খালি রেখে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৩। মুরগির খামারে প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক খাবার ও পানির পাত্র দিলে মুরগি অনেক সময় খাদ্য নষ্ট করে ফেলে। তাই খামারে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

৪। খামারে মুরগির খাদ্য হঠাৎ পরিবর্তন করলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করতে পারে। সেজন্য খাদ্য পরিবর্তন করলে অল্প অল্প করে খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে।

৫। মুরগির খামারে জায়গার তুলনায় বেশী পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা হলে মুরগি খাদ্য নষ্ট করে থাকে। এজন্য খামারে জায়গা অনুপাতে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৬। মুরগির খামারে খাবারের পাত্র সঠিক উচ্চতায় স্থাপন না করলে মুরগি খাবার নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যের পাত্র খুব বেশি উচ্চতায় রাখা যাবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের সাডেন ডেথ সিনড্রোম
পোলট্রি

ডাঃ শুভ দত্ত: মাঝে মধ্যে অনেক ব্রয়লার ফার্ম থেকে অভিযোগ আসে যে, ফার্মে প্রায় সব মুরগীই সুস্থ, স্বাভাবিক খাদ্য-পানি গ্রহন করছে, রোগেরও কোন বাহ্যিক লক্ষন নাই, তারপরেও প্রতিদিন ২-১ টা করে সুস্থ, সবল মুরগী মারা যাচ্ছে। এই সমস্যায় পোস্টমর্টেম করেও কোন রোগের প্রোমিনেন্ট লিশন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই সমস্যায় অনেকেই বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।

আসলে এই সমস্যাটিকে এসডিএস বা সাডেন ড্রেথ সিনড্রম বলে। এটি দ্রুত বর্ধনশীল মুরগী তথা ব্রয়লারের একটি খুবই সাধারন সমস্যা। মুলত সব বয়সের ব্রয়লার মুরগীতেই (১ দিন থেকে বিক্রয় পর্যন্ত) এই সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে ইদানিং ১-২ সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগীতে এই সমস্যাটি বেশি পাচ্ছি। সারাবছর এই সমস্যাটা কম বেশি দেখা দিলেও গরমকালে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। সাধারনত পুরুষ ব্রয়লার মুরগী ও বডি স্কোর ভাল এমন ব্রয়লার মুরগীই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই সমস্যায় ১-৫% পর্যন্ত মুরগী মারা যেতে পারে।

এই সমস্যাটির সঠিক কোন কারন এখন পর্যন্ত অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ধারনা করা হয় সম্ভবত নিম্নোক্ত কারনগুলোর কারনেই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। যেমন-
১. স্ট্রেস (লাইট, হাই টেম্পারেচার, ওভার স্টোকিং ডেনসিটি ইত্যাদি)
২. হাই ডেনসিটি ফিড
৩. মেটাবলিক ডিসঅর্ডার মেইনলি রিলেটড টু কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম
৪. ল্যাকটিক এসিডোসিস
৫. কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া
৬. ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স
৭. লো ওয়াটার ইনটেক

এই সমস্যায় মর্টালিটি কনট্রোল করতে অনেক ফার্মারই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে থাকেন যাতে মর্টালিটি আরো বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এমন সমস্যায় অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন সেই সাথে ম্যানেজমেন্টাল ত্রুটিগুলো সমাধান করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারকে টিকা দেওয়ার আগে যা করবেন
পোলট্রি

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এসব খামারিদের মধ্যে অনেকেই ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন। তবে, খামারে ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতাগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে।

ব্রয়লার মুরগি পালনে টিকা দেওয়ার আগের সতর্কতা:
ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুস্থ মুরগিকে টিকা প্রদান করা যাবে না। এতে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি মুরগি আরও বেশি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া যখন ঠান্ডা সেই সময়ে টিকা দিতে হবে। এতে করে টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও মুরগির রোগের আশঙ্কাও অনেকাংশেই কমে যায়।

টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহ ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এতে টিকার মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগির শরীরে কোন জীবাণু প্রবেশ করতে পারবে না। ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার সময় যত্ন সহকারে ধরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনভাবেই মুরগি আঘাত না পায়। এতেও টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্রয়লার মুরগিকে টিকা দেওয়ার আগেই খেয়াল করতে হবে কোন ধকল আছে কিনা। ব্রয়লার মুরগিকে যে কোন ধরনের ধকলমুক্ত অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।টিকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে প্রদান করা টিকার কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ ১২:৪১ অপরাহ্ন
অধিক লাভ পেতে সোনালি মুরগিকে যা খাওয়াবেন
পোলট্রি

অধিক লাভের আশায় এখন অনেকেই খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গ্রামের প্রায় প্রতিটি এলাকায় খামাদের দেখা মিলে। পোল্ট্রির পাশাপাশি এখন অধিক লাভের আশায় সোনালি মুরগির খামারের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। সোনালি মুরগি পালনের পাশাপাশি যদি তার যত্ন কিভাবে করতে হয় তা জানা থাকে তাহলে আরো লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে।

সোনালি মুরগির খাদ্য প্রদানে যা রাখবেন:
সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার মুরগির মত সব সময় খাবার দেয়া দরকার বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা। মনে রাখা দরকার ব্রয়লার মুরগি খাদ্য রূপান্তরের হার এবং সোনালি মুরগির খাদ্য রূপান্তরের হার এক নয়।

সাধারণত সোনালি মুরগি ক্ষেত্রে প্রতি ১০০০ মুরগিতে ৪০ ব্যাগ হিসেবে সোনালি খাদ্য হিসাব করে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। কিন্তু সোনালি খাদ্যে কখনো কখনও ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ বেশি লাগতে পারে। আবার খুব ভাল হলে ২ ব্যাগ বা ৩ ব্যাগ কম লাগতে পারে।

যদি সোনালি মুরগিকে ব্রয়লার খাদ্য খাওয়ানো হয় তবে ১০০০ মুরগিতে সর্বোচ্চ ৩৪-৩৫ ব্যাগ খাদ্যে ৮০০ গ্রাম গড় ওজন হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রেও আগের মতই ২ থেকে ৩ ব্যাগের যোগ বা বিয়োগ ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সারাদিনে খাদ্য দেয়ার নিয়ম:
দিনে ৩ বার খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে মনে রাখতে হবে যেন সকালে সর্বোচ্চ ৪ ঘন্টার মধ্যে খাদ্য খাওয়া শেষ হয়ে যায়, দুপুরে যেন সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্য শেষ হয় ও রাতে সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা যেন খাদ্য খায়।

প্রয়োজনে মুরগি ক্রপ(খাদ্য থলি) পরীক্ষা করে খাদ্য দিতে হবে। যদি খাদ্য থলি ভর্তি থাকে তবে খাদ্য দেয়া কোন দরকার নাই। কারণ মনে রাখবেন, সোনালি মুরগিকে আপনি যতই খেতে দিবেন তারা ততই খাবে। কিন্তু এতে খাদ্য অপচয় হবে আপনাদের। খেয়াল করে দেখবেন ঘরে নিমপাতা বা যেকোন পাতা ঝুলিয়ে রাখলে তারা সেগুলোও খেয়ে শেষ করে। সেজন্য খাবার দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

৩য় সপ্তাহ বয়সে পরে মুরগিকে ২০-২২ গ্রাম/ মুরগি হিসেবে খাদ্য পরবর্তী প্রতি সপ্তাহে ৪-৬ গ্রাম/মুরগি হারে খাদ্য বৃদ্ধি করে চলতে হবে। দিনের মোট খাদ্যের পরিমাণকে তিন ভাগে ভাগ করে ৪০%(সকাল)+২০%(দুপুর)+৪০%(রাত) খাদ্য প্রদান করতে হবে সোনালি মুরগিকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২৪ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি গবেষণায় ৯ গবেষক পেলেন ওয়াপসা-বিবি রিসার্চ গ্রান্ট
পোলট্রি

দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন গবেষককে রিসার্চ গ্রান্ট প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি)। গতকাল ওয়াপসা-বিবি কার্যালয়ে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে ৯ গবেষকের প্রত্যেকের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন সংগঠনটির সভাপতি মসিউর রহমান। প্রকল্প প্রতি অনুদানের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা মাত্র। পুরস্কৃত ৯ জন গবেষক হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির রহমান ও পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আবদুল সায়িদ সিদ্দিকী; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপিডেমিওলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের উত্তমা আচার্জী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরী এন্ড পোল্ট্রি সাইন্স বিভাগের নিলঞ্জনা ভৌমিক; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন, সার্জারি এন্ড অবসট্রিকস বিভাগের মোঃ আরাফাত জামান; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সুমাইয়া সুলতানা লাবণ্য; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সাইন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের নূরতাজ লাবণ্য; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের মোঃ সাইফুর রহমান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস বিভাগের মোসাঃ নাহিদা আক্তার।

মসিউর রহমান বলেন, বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির কথাও ভাবছেন। তাছাড়া দেশীয় মুরগির জাত সংরক্ষণ, সম্ভাবনাময় জাতগুলোর উন্নয়ন, খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, রোগবালাই দমন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সর্বোপরি ডিম, মুরগির মাংস ও পোল্ট্রিজাত খাদ্যপণ্যের নিরাপদতা রক্ষা করা এখন অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সে কারণেই গবেষণার মান ও পরিধি বাড়ানোও জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সরকার ২০৩০, ২০৪১ ও ২১০০ সালের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তা করাও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান বলেন, দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে দু’টি প্রকল্প প্রস্তাবনা শর্তাবলীপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২৩টি প্রকল্পকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়নের আওতায় নেয়া হয়- যার মধ্য থেকে ৯টি প্রকল্পকে মূল্যায়ন কমিটি পুরস্কারের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছেন।

ওয়াপসা-বিবি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন- পোল্ট্রি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণাকে সমৃদ্ধ করা ও পোল্ট্রি গবেষণায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা আশাকরছি আগামী বছর আরও অধিক সংখ্যক স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী পোল্ট্রি বিষয়ক গবেষণায় আগ্রহী হবেন এবং গ্রান্টের জন্য আবেদন জমা দিবেন। ডা. বিপ্লব বলেন- দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পোল্ট্রি বিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত যে কোন নিয়মিত শিক্ষার্থী- গবেষণা প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। পোল্ট্রি ব্রিডিং, পোল্ট্রি ও খামার ব্যবস্থাপনা, পোল্ট্রি স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি, ডিম ও মাংসের নিরাপদতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইক্লিং, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পগুলোকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে।

২০২৪ সালে নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধায়কগণ হচ্ছেন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. সায়েম উদ্দীন আহমেদ; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক ইসলাম; শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.বি.এম সাইফুল ইসলাম; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ.বি.এম রুবায়েত বোস্তামী; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল হক কায়েস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে.এম মোজাফফর হোসেন।

রিসার্চ গ্রান্ট এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ওয়াপসা-বিবি’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিরাজুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফয়েজুর রহমান এবং ওয়াপসা-বিবি রিসার্চ গ্রান্টের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান- প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিঃ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিঃ, রেনাটা লিমিটেড ও এভোন এ্যানিমেল হেলথ -এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop