৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ ৬:৪৯ অপরাহ্ন
গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য ব্যবহারে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমরা গবাদিপশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাবারের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেল ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দিয়ে থাকি। এই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের প্রচলন আমাদের দেশে ব্যাপক। তবে শুধুই দানাদার খাদ্য গবাদিপশুর প্রকৃত খাবার নয়।

দানাদার খাদ্য ব্যবহারের কৌশল:

শুরুতেই যে বীজগুলো(যেমন- গম, ভুট্টা ইত্যাদি) অঙ্কুরিত করবেন সেগুলো ভালভাবে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিস্কার পানিতে বীজ গুলোকে গমের ক্ষেত্রে ৮-১২ঘণ্টা এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ২০-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলোকে পুনরায় পানিতে কয়েকবার করে ধুয়ে নিন এবং শষ্যদানা থেকে পানি ছেঁকে নিন।
এবারে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিন এবং এটি দিয়ে বীজসমৃদ্ধ পাত্রটি ঢেকে ফেলুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শষ্যদান পুটলি বেধে ছায়াযুক্ত এমন একটি স্থানে রেখে দিন যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।

এভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আপনার শষ্যদানা অঙ্কুরিত হবে।এবার অঙ্কুরিত শস্যদানা ধুয়ে নিয়ে গবাদীপশুকে পরিবেশন করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ৬:৫৩ অপরাহ্ন
বাছুরের ডায়রিয়া দেখা দিলে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে এখন শহরেও দেখা মিলে অনেক গরুর খামার। আর গরু পালন করতে গিয়ে খামারিরা নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় বাছুরের ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়ে থাকে। আর তখন একজন খামারিকে কি করতে হবে সেটা জানা উচিত।

বাছুরের তীব্র ডায়রিয়ার কারণ:
বাছুরকে অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়ানো, অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানো বা খেয়ে ফেলা, খাবারের পাত্র এবং ফিডার নোংরা বা ময়লা হলে, বাছুর কৃমিতে আক্রান্ত হলে, শাল দুধের গুণাগুণ ভাল না হলে, বাছুরের থাকার জায়গাটা নোংরা, স্যাঁতসেঁতে হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

বাছুরের এই তীব্র ডায়রিয়ায় খামারি যা করবে:
ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথে আলাদা করে শুকনা পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে বাছুরকে।খাবারের পাত্র এবং ফিডার বোতল পরিষ্কার করে খাওয়াতে হবে। বাছুরকে তার বড়ি ওয়েটের ১০% দুধ খাওয়াবেন অর্থাৎ ৪০ কেজি ওজনের বাচ্ছাকে দুধ খাওয়াবেন ৪ লিটার। শালদুধের গুণাগুণ পরিমাপ করে দেখতে হবে। ডায়রিয়া দেখার সাথে সাথেই স্যালাইন খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার ২৫০ মিলি করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ৪:২৩ অপরাহ্ন
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর ২০২৩ (২৭ আশ্বিন থেকে ১৭ কার্তিক ১৪৩০) পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ বাস্তবায়নের জন্য ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মন্ত্রী এসব কথা জানান। সভায় মন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমন্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে ইলিশ উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সবার অবদান রয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।

ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স এর সভা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ দ্রুততার সাথে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে একশ্রেণীর মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল, মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, র‌্যাব, নৌ পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক, ইলিশ সম্পৃক্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক সমিতি, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ও মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০ এর অধীন প্রণীত প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ অনুযায়ী প্রতিবছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
গবাদিপশুকে সুষম খাবার যে কারণে খাওয়াবেন
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু পালন করে অধিক লাভ করতে সুষম খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। সুষম খাদ্য গবাদিপশুতে আরো লাভ নিয়ে আসে।কারণ সুষম খাদ্য ছাড়া গবাদিপশু বেশি বৃদ্ধি পায় না। গবাদিপশুর সুষম খাদ্য বলতে বুঝায় যে খাদ্যে আমিষ, শর্করা, স্নেহ বা চর্বি, খনিজ লবণ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ ও পানি সঠিক অনুপাতে থাকে।  আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাদ্য অন্ত্রে পরিপাক হয়ে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত হয়। পরে তা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে এবং দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে।

আমিষের সহায়তায় দেহের ভেতরে জৈব অনুঘটক এনজাইম তৈরি হয়। যেমন, পেপসিন, ট্রিপসিন ইত্যাদি। এসব এনজাইম খাদ্যের প্রোটিন, লিপিড ও শর্করাকে ভেঙে সহজপাচ্য পুষ্টিতে রূপান্তরিত করে যা কোষ সহজেই শোষণ ও সদ্ব্যবহার করতে পারে। পশুর দেহের রক্ত, পেশী ও সংযোজক কলার প্রধান অংশই প্রোটিনে গঠিত। খাদ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন পশু দেহের শক্তি ও চর্বির উৎস হিসেবে কাজে লাগে।

শর্করা পশু দেহে কর্মশক্তি যোগায়। শর্করা খাদ্যান্ত্রে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয় যা অন্ত্রে শোষিত হয়ে রক্তে মিশে কার্যসম্পাদন করে। অতিরিক্ত শর্করা দেহে গ্লাইকোজেনরূপে জমা থাকে এবং খাদ্যে শর্করার অভাব হলে প্রয়োজনে সেই গ্লাইকোজেন কর্মশক্তি যোগায়।

স্নেহ প্রাণী দেহের টিস্যুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গবাদিপশুর প্রধানত তাপ ও শক্তির উৎস হিসেবে সঞ্চিত থাকে। সাধারণত গবাদিপশুর দানাদার খাদ্যে শতকরা ৪ ভাগ চর্বি জাতীয় পদার্থ থাকা প্রয়োজন।

খনিজ পদার্থ বাড়ন্ত পশুর নতুন অস্থি ও টিস্যু সৃষ্টিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উপাদান কঙ্কালের আকৃতি ও দৃঢ়তা বজায় রাখে। পশুর লোম, ক্ষুর ও শিং গঠনে খনিজ পদার্থ প্রয়োজন। খনিজ পদার্থ যেমন- লৌহ রক্তে অক্সিজেন ও কার্বনডাইঅক্সাইড বহন করতে সহায়তা করে। আবার পটাসিয়াম পশুর দেহের তরল পদার্থের অ্যাসিড বেসের সমতা রক্ষা করে।

যেসব জৈব যৌগ খাদ্য উপাদান হিসেবে অল্প পরিমাণ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য জরুরি তাদের ভিটামিন বলা হয়। প্রাণী দেহের জন্য পর্যাপ্ত আমিষ, শর্করা, স্নেহ ও খনিজ পদার্থ খাদ্যের সাথে সরবরাহ করেও ভিটামিন ছাড়া জীবন চালনা সম্ভব হয় না।

স্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি, দৈহিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভিটামিন অত্যাবশ্যক। পশুখাদ্যে যদি ভিটামিন না থাকে অথবা সুষ্ঠভাবে ভিটামিন শোষিত না হয় কিংবা দেহে ভিটামিন সদ্ব্যবহার না হয় তবে সুনির্দিষ্ট রোগ হয়। যেমন, ভিটামিন ‘এ’ -এর অভাবে রাতকানা, জনন কর্মক্ষমতা হারানো, ভিটামিন ‘কে’ -এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে সমস্যা হয় এবং ভিটামিন ‘ই’ -এর অভাবে জনন অকৃতকার্যতা পরিলক্ষিত হয়।

পশুদেহের শতকরা ৭০ থেকে ৯০ ভাগ পানি। সাধারণত দানাদার খাদ্যে শতকরা ১০ ভাগ ও খড় জাতীয় খাদ্যে শতকরা ১৫ ভাগ পানি থাকে। আবার সবুজ ঘাসে পানির পরিমাণ শতকরা ৯০ ভাগ। পশুখাদ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকা সত্ত্বেও পশুকে পৃথকভাবে পানি সরবরাহ করতে হয়। কারণ পানি দেহের কোষের কাঠিন্য ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এতে প্রাণিদেহের কাঠামো ঠিক থাকে।

পানি ছাড়া দেহে যেকোনো ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটা সম্ভব নয়। পানি দেহের এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে বিভিন্ন পুষ্টিকারক পদার্থ সরবরাহ করে। তাছাড়া পানি দেহের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। আবার পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাফার হিসেবেও কাজ করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিএলআরআই’তে প্রাক্তন মহাপরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণের মাঝে আনুতোষিক চেক হস্তান্তর
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর সাবেক মহাপরিচালক ড. ড. নাথু রাম সরকার ও ড. মোঃ আবদুল জলিল এবং সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও ড. মোঃ এরসাদুজ্জামান মহোদয়গণের আনুতোষিকের চেক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মহাপরিচালক ড. ড. নাথু রাম সরকার ও ড. মোঃ আবদুল জলিল এবং সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ এরসাদুজ্জামান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণ ও শাখা প্রধানগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। একই সাথে তিনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আনুতোষিকের চেক হস্তান্তরের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপরে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথিগণ নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বিএলআরআই এর কর্মজীবনের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিএলআরআই এর ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুভূতি প্রকাশের পরে ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা তাঁর বক্তব্যে ইনস্টিটিউটের বর্তমান কর্মকাণ্ডসমূহ তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সাবেক কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিএলআরআই এর বর্তমান সমৃদ্ধির পিছনে আপনাদের অবদান ব্যাপক। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সকলের কাছে ঋণী। আপনাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেই বিএলআরআই বর্তমানে পথ চলছে।
এসময় তিনি সকল বিদায়ী কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। বক্তব্য প্রদানের পরে তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে আনুতোষিকের চেক হস্তান্তর করেন। একই সাথে অতিথিদের সম্মাননা স্মারকও প্রদান করা হয় এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ ৯:২৫ অপরাহ্ন
নতুন খামারী হয়েও কোন লসের মুখ দেখেননি হৃদয়
প্রাণিসম্পদ

মো. হৃদয় একজন নতুন সফল খামারী। তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা উপজেলার রাধানগরের মো.ইউনুছ আলী প্রামানিকের ছেলে। চাকরী না করে অন্যকে চাকরী দেয়ার মানসিকতা থেকেই খামারের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি। ফরিদপুর পলিটেকনিক্যালে ইঞ্জিয়ার ৪র্থ সেমিস্টারে পড়া অবস্থায় তিনি গড়ে তুলেন খামার। আর এই খামার করতে গিয়ে এখনও কোন লসের মুখ দেখেননি এই নতুন খামারী মো. হৃদয়। এগ্রিভিউ২৪.কম এর একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তার সফলতার গল্প।

হৃদয় জানান, তিনি ২০২০ সাল থেকেই পাশের গ্রামের বন্ধুর দেখাতে শুরু করেন খামার। প্রথমে মাত্র ৩০০০ টাকায় ২০০ সোনালি মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন খামার। আর তাতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকার মত। তিনি সেই প্রথম সেডে লাভ করেন প্রায় চার হাজার টাকার মত। যা ছিলো তাঁর অনুপ্রেরণার প্রথম মাধ্যম।

২য় শেড তিনি শুরু করেন ৭ হাজার টাকার ৬০০ বাচ্চা দিয়ে। যাতে মোট খরচ হয় প্রায় ৭২ হাজার টাকার মত। আর তিনি তাতে লাভ করেন ২৫ হাজার টাকার মত। তারপরে খামার বিভিন্ন কারণে বন্ধ রাখেন কয়েক মাস। কয়েক মাস বন্ধ রেখে আবার ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে তিনি শুরু করেন ব্রয়লার দিয়ে খামার। আর তাতেও লাভের মুখই দেখেন এই নতুন খামারী হৃদয়।

এগ্রিভিউ২৪.কম‘কে হৃদয় জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এসে তিনি ২৮০টি বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন। আর তাতে তথা ২০২১ সালের প্রথম শেডে তিনি লাভ করেন প্রায় ১৩ হাজার টাকার মত।

যদিও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগও তার কম না। বাজারে বাচ্চার মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশার কথাও তিনি শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এভাবে বাচ্চার দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে আমরা যারা উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করেছি আমাদের পথে এটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া খাবারের দামও অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে ২২‘শ টাকার খাবারের বস্তা এখন প্রায় ২-৩‘শ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। যার কারণে নতুন খামারিরা সামনে এগোতে ভয় পাচ্ছে। একদিকে বাড়ছে মুরগির বাচ্চার দাম আর অন্যদিকে খাবারের দাম। এই দুটোতে সামঞ্জস্য আনার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২৩ ১২:৩১ অপরাহ্ন
বর্ষায় এই উপায়ে ছাগলের যত্ন নিন, রোগবালাই থাকবে দূরে
প্রাণিসম্পদ

গরু মহিষের সঙ্গে বর্তমানে গ্রামে ছাগল পালনের সংখ্যা বাড়ছে। ছাগল প্রতিপালন করে প্রতিবছর ভালোই আয় করছেন কৃষকরা। তবে বর্ষার সময় ছাগলরা বিশেষ রোগে আক্রান্ত হয়। সেক্ষেত্রে বর্ষার মরশুমে ছাগল পালনকারীদের ছাগলের স্বাস্থ্যের দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর।

 

এই নিয়ে সম্প্রতি পশুপালন অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী বর্ষার সময় খেয়াল রাখুন বাড়ির আশেপাশে যেন গর্ত বা খোঁড়া জায়গা না থাকে। এর ফলে বর্ষার সময় ওই জায়গায় জল জমে গেলে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ওই গর্তে ছাগলের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ছাগলগুলিকে শেডের ভেতর রাখুন যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে। এই সময় ভিজলে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

 

বর্ষাকালে ছাগলের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করুন। পাশাপাশি খাবার সঠিক সময় এবং সঠিক পরিমাণে দিতে হবে। বর্ষায় ঘাস, পশুখাদ্য বা অন্যান্য বিশেষ খাবার দিতে পারেন। বর্ষায় ছাগলের চারপাশের পরিচ্ছন্নতা যেন বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও তাদের জন্য স্থায়ী আশ্রয় এর ব্যবস্থা করুন যাতে ঠাণ্ডা এবং স্যাঁতসেঁতে ভাব এড়ানো যায়।

 

ছাগলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত টিকা দিতে হবে। এর জন্য পশুচিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং ছাগলের টিকা দেওয়ার সময়সূচী তৈরি করতে বলুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১২:০২ পূর্বাহ্ন
নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতীয় গরু চুরি, আটক ৩ বাংলাদেশি
প্রাণিসম্পদ

ভারতীয় নাগরিকের গরু চুরি নিয়ে সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ধবলসুতি সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি ও গ্রামবাসীরা জানায়, দুই দেশের নাগরিকের গরু সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ঘাস খাচ্ছিল। এ সময় বাংলাদেশি গরুর মালিক সীমান্তে গিয়ে বাংলাদেশি ২টি গরুর সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকের গরু নিয়ে আসে। ভারতীয় নাগরীকের গরু নিয়ে আসায় দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে গরু নিয়ে উত্তোজনা দেখা দেয়।

এদিকে সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় ভারতীয় ১২ জন নাগরিক গরু ফেরত নিতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বাংলাদেশিরা তাদের ধাওয়া দেয়। পরে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা ফিরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ’কে বিষয়টি জানায়।

পরে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানালে বিজিবি গরুসহ ৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। আটকৃতরা হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম রসুলগঞ্জ পোস্ট অফিস পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে আশা মিয়া (২২), সোহাগপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ছেলে মো. নাহিদ ইসলাম পাটগ্রাম সাহেবডাঙ্গার মো. মমিন হোসেন ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন। তারা পাটগ্রাম ধবলসুতি বিজিবি ক্যাম্পে আটক রয়েছে।

ধবলসুতি ক্যাম্পের বিজিবির নায়েক সুবেদার মো. শাহাজাহান মিয়া ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গরুসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা-২০২৩ শুরু ৩০ নভেম্বর
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের প্রাণীজ খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে আসছে । এরই ধারাবাহিকতায় ৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা-২০২৩ আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা , ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ।  কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির এই দেশের প্রাণীজ খাতে আমাদের আরোও অগ্রগতির সক্ষমতা রয়েছে ।  সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এদেশের আপামর মানুষের জন্য নিরাপদ প্রণীজ আমিষের সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ রপ্তানীর সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে অত্র এসোসিয়েশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।

মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট “ভেন্যু ম্যানেজমেন্ট সাব-কমিটি”, ৫ সদস্য  বিশিষ্ট “আইটি ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সাব-কমিটি”, ৬ সদস্য বিশিষ্ট “ব্র্যান্ডিং সাব কমিটি”, ৬ সদস্য বিশিষ্ট “প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশনস সাব কমিটি”, ৪ সদস্য বিশিষ্ট “ইন্টারন্যাশনাল প্রমোশন এন্ড গেস্ট রিসিপশন সাব-কমিটি” এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট “ফুড এন্ড কালচারাল সাব-কমিটি” গঠন করা হয়েছে ।

৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা-২০২৩ এ দেশি বিদেশী মিলিয়ে প্রায় ২০০ টি কোম্পানির পাঁচ শতাধিক স্টল রয়েছে যার বুকিং ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে । মেলায় বাংলাদেশ, চীন, কোরিয়া, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, ভারত, জার্মানী, স্পেন, মিশর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করবে এবং এ্যানিমেল হেলথ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরনাদি উপস্থাপন করা হবে । বাংলাদেশের প্রাণীজ সেক্টরের সকল উদ্যোক্তা, খামারি, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন মেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে এই সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা, প্রতিকারের উপায়, নতুন বিনিয়োগ, সম্ভাবনা ও সার্বিক বিষয়ে জ্ঞান আহরনের মাধ্যমে এই সেক্টরে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন । কোন প্রকার প্রবেশ ফি ছাড়াই যে কোন দর্শনার্থী প্রতিদিন সকাল ১০ ঘটিকা হতে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন ।  বানিজ্য মন্ত্রনালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সমর্থনে প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এবারের মেলাটির প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে “ইব্রাটাস ট্রেডিং কোম্পানি” এবং গোল্ড স্পন্সর হিসেবে “ইন্টার এগ্রো বিডি লিমিটেড” পৃষ্ঠপোষকতা করছে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২৩ ৯:৩৬ অপরাহ্ন
‘ডিম-মুরগির বাজার অস্থিরতার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দায়ী’
প্রাণিসম্পদ

ডিম-মুরগির বাজার অস্থিরতার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দায়ী। ‘প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে মনে হচ্ছে, করপোরেটদের করপোরেট অফিস। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের জন্য করপোরেট ব্যবসায়ীরা সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’

বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন,বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। ।

মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করছে সরকার। এতে করপোরেট ব্যবসায়ীরা কন্টাক্ট ফার্মিংয়ে ঝুঁকছে। এরপর তারা আর প্রান্তিক খামারিদের কাছে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করবে না। কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে তারা শুধুমাত্র উৎপাদন করবে। এতে করে বাজারে ডিম ও মুরগির সংকট দেখা দেবে।’

মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘সরকার শুধু করপোরেট ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করে ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। কারণ তাদের উৎপাদন খর কম। কিন্তু প্রান্তিক খামারিদের ডিম উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৭৯ পয়সা।’

বলেন, ‘আমরা কত টাকায় বিক্রি করবো, কত পারসেন্ট লাভ করবো এটা সরকারের বের করে দেওয়া উচিত। আমাদের ডিম উৎপাদন খরচ আট টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব, যদি পোল্ট্রি ফিডের দাম কমানো যায়। কিন্তু পোল্ট্রি ফিডের উৎপাদন খরচ আমাদের জানানো হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি ১০ টাকা ৮০ পয়সা উৎপাদন খরচ হয়, সে ক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে ১৩ টাকায় ডিম বিক্রি করলে সঠিক একটা মূল্য থাকবে। কিন্তু সরকার ১২ টাকা খুচরা মূল্য দিয়েছে। আমরা ১২ টাকাতেই বিক্রি করবো কিন্তু সেই ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। ভোক্তা অধিদফতর চাইলে যেভাবে ডিমের দাম কমে যায়, সেভাবে পোল্ট্রি ফিডের দামও কমে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দফতর সম্পাদক মেজবাউল হক, নোয়াখালী জেলার জাকির হোসেন, গাজীপুর জেলার অনিক সরকার প্রমুখ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop