৩:৫২ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
চিংড়ি মাছের বিশেষ গুণ
মৎস্য

পোকা নাকি মাছ- এই বিতর্ক ছাড়িয়ে চিংড়ির একটা গুণের কদর অন্তত করতেই হবে। আর তা হল আয়োডিন। বিভিন্ন জরিপের ফলাফল অনুসারে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের প্রায় দুইশ কোটি মানুষ আয়োডিনের অভাবে ভোগেন।দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাইরয়েড হরমোনের মাঝে আয়োডিনের উপস্থিতি মেলে। সেগুলো হলো থাইরক্সিন (টি-ফোর) এবং ট্রাইআইডোথাইরোনিন(টি-থ্রি)। থাইরয়েড’য়ের সুস্থতার জন্য দুটোই জরুরি।

‘অ্যানালস অফ পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম[’য়ের পর্যালোচনা বলে, “থাইরয়েড’য়ের রোগের সঙ্গে শরীরে আয়রন বা লৌহের ঘাটতির গভীর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ বলছে, “থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ)’য়ের অতি সক্রিয়তা বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি থামাতে আয়োডিন প্রয়োজন হয়। ‘টিএসএইচ’য়ের ওই অতি সক্রিয়তা থেকেই দেখা দেয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ এবং ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’।এই দুই রোগ সরাসরি থাইরয়েড হরমোনে সঙ্গে যুক্ত।

থাইরয়েড গ্রন্থি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করে না তখন তাকে বলা হয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’। এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে অস্বাভাবিক স্থুলতা ও হৃদরোগ।

অপরদিকে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’য়ের ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে থাকে। এ থেকে আকস্মিক ওজন কমে যায়, চুল পাতলা হয়ে যায়, অবসাদ দেখা দেয়, মানসিক অস্বস্তি বাড়ে।

এই দুই রোগের সম্ভাবনা কমাতে প্রয়োজন শরীরে নিয়মিত আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা।

চিংড়িতে আয়োডিনের মাত্রা:

তিন আউন্স চিংড়ি মাছে মিলবে প্রায় ১৩ মাইক্রো গ্রাম আয়োডিন। দৈনিক আয়োডিন চাহিদার ৯ শতাংশ পূরণ হয়ে গেল শুধু তিন আউন্স চিংড়ি দিয়েই। চিংড়িসহ অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন মেলে। আর চিংড়ির পদের রেসিপির অভাব হওয়া অসম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ ১:০২ অপরাহ্ন
মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সংলগ্ন স্থানে বিএফডিসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্পের অফিস ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বিএফডিসির চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত সব মানুষ যাতে রাষ্ট্রের সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, যারা বিভিন্ন পেশায় আছেন তারা যাতে ভালোভাবে থাকতে পারেন, সে জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন”।

কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি আইকনিক জেলা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে কক্সবাজারের ব্যাপক আধুনিকায়ন হচ্ছে। খুরুশকুলে আধুনিক শুটকি পল্লী স্থাপনের বড় প্রকল্পসহ কক্সবাজারে মৎস্য খাতের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প সবই শেখ হাসিনার অবদান। কক্সবাজারের উন্নয়নে নতুন নতুন উপহার পেতে একজন রাষ্ট্রনায়কই প্রয়োজন, তিনি শেখ হাসিনা। এখানকার উন্নয়নে যে সব প্রকল্প বর্তমান সময়ে এসেছে অতীতে তা কখনোই আসেনি। শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে তাঁর কোন বিকল্প নেই। যদি আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে শেখ হাসিনার নীতি-আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শনের পাশে থাকবে হবে”।

মন্ত্রী আরো বলেন, “মৎস্য প্রক্রিয়াকরণে মৎসীজীবীদের রাষ্ট্র  সব ধরনের সহায়তা করবে। বিদেশ থেকে মেশিনারি আমদানি করে বা স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প কেউ স্থাপনে করতে চাইলে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধাদি দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে”।

পরে চকরিয়া উপজেলার রামপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন চিংড়ি প্লট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং এ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ২:০৪ অপরাহ্ন
কালনী নদীতে জেলের জালে ৪৩ কেজির বাঘাইড়
মৎস্য

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী নদীতে জেলের জালে ৪৩ কেজি ওজনের একটি বিশাল বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি হয়েছে ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকায়।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রেমতোষ দাস ও মহেন্দ্র দাস নামে দুই জেলে সুতার জাল দিয়ে মাছটি ধরার পর আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর বাজারে আনলে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন। পরে নবীগঞ্জ উপজেলার মাছ বিক্রেতা আন্নর আলটি এ বাঘাইড়টি কিনে নেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমতোষ দাস ও মহেন্দ্র দাস ইউনিয়নটির মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সাররাত সুতার জাল দিয়ে কালনী নদীতে মাছ ধরেছেন তারা।

বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ জালটি ওপরে তুলতে বেশি শক্তি লাগছিল। অনেকটা জাল তুলে আনার পর তারা বুঝতে পারছিলেন, বিশাল একটি মাছ জাল থেকে মুক্ত হতে লাফালাফি করছে। পরে আস্তে আস্তে তারা জালটি তুলে আনলে বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছটি দেখতে পান।

স্থানীয় বাসিন্দা সুবল দাস জানান, মাছটির ওজন ৪৩ কেজি। সেটিকে পাহাড়পুর বাজারে আনলে কয়েকশ’ মানুষ দেখার জন্য ভিড় করেন। পরে পার্শ্ববর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার একজন মাছ ব্যবসায়ী এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি ৫৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনে নিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ৪:৩৩ অপরাহ্ন
বগুড়ায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা
মৎস্য

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মেলা এটি। বহু বছর আগে সেখানে সন্ন্যাসী পূজা হতো। তখন মেলাটির নাম ছিল সন্ন্যাসী মেলা। স্থানটির নাম ছিল পোড়াদহ। কালের বিবর্তনে লোকমুখে মেলাটি পোড়াদহ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষের  একসময়ে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ির অদূরে বসে এ মেলা।

দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসে মানুষ। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন আসে। বিশেষ করে আসে মেয়ে-জামাইয়েরা। জামাইয়েরা মেলা থেকে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান, এ রেওয়াজ আজও চালু আছে।

করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ার গাবতলীতে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। প্রশাসন বলছে, মেলার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪০০ বছরের ঐতিহ‌্যকে ধরে রাখতে তারা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে মেলা করছেন।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, নারী, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ মেলায় এসেছেন। মেলায় আগত অধিকাংশ দর্শনার্থীকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনতে দেখা গেছে।

মেলায় আসা নওয়াব আলী জানান, মেলাকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে মাছের বাজার।তিনি ১৮ কেজি ওজনের একটি কাতল কিনছেন ১৩,৫০০ টাকা দিয়ে।

মেলায় ঘুরতে আসা আরাফাত জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো তিনি মেলা দেখতে এসেছেন, কিনছেন বড় মাছ মিষ্টি।

মাছ ব্যবসায়ী সেলিম ভূইয়া জানান, এবার তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ নিয়ে আসেন।বেচা-বিক্রী ভালো।এখন পর্যন্ত ২ লাখের মত মাছ বিক্রয় করতে পেরেছেন।

মিষ্টি ব‌্যবসায়ী আব্দুল বারী,জানান, তার কাছে মাছ আকৃতি, পাতা আকৃতিসহ বিভিন্ন আকৃতির সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের মিষ্টি রয়েছে। মাছ আকৃতির মিষ্টির ওজন ১০ কেজি। তার দাম ৪৫০ টাকা। প্রতি বছর মেলায় তিনি মিষ্টি দোকান বসান। মেলার আগের দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত মিষ্টি বিক্রি হয়। এখন পর্যন্ত তিনি লাখ টাকার মিষ্টি বিক্রি করেছেন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২ ১২:১২ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির নদীতে দেখা নেই ইলিশের, দুশ্চিন্তায় জেলেরা
মৎস্য

ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীতে ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও ইলিশ মৌসুম ছাড়া বছরের বাকি সময় তারা মাছ পাচ্ছেন না জেলেরা। যা মিলছে তার অধিকাংশই জাটকা। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাঁটছে জেলেদের। তাদের জীবিকা মূলত ইলিশ কেন্দ্রিক নির্ভর হওয়ায় সংকটে দিন কাটছে তাদের।

ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদী ইলিশের জন্য প্রসিদ্ধ। গত ১০ বছরে এই দুই নদীতে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। জেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবারের অর্থনীতির চাকা ঘোরে এই দু’টি নদীতে ইলিশ মাছ ধরে।

জেলে মাকসুদ জানান, বিশখালী নদীর বুকে চর জেগে ওঠায় গেলো কয়েকমাস যাবৎ তাঁরা ইলিশ কম পাচ্ছেন।

জেলেরা জানালেন, তাদের পেশা মূলত ইলিশনির্ভর। নদীতে ইলিশ না পাওয়ায়, অভাবে দিন কাটছে তাদের।

ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকতা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, সুগন্ধা ও বিশখালী নদীতে দিন দিন ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। তবে বর্তমান সংকটের বিষয়টি তার জানা নেই।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ২০১১ সালে ইলিশ উৎপাদন ছিলো ৭৬০ মেট্রিক টন। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১শ’ মেট্রিক টন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২২ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
হাকালুকি হাওড়ে কমছে মাছের উৎপাদন
মৎস্য

মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড়ে প্রতিদিন ধরা পড়ে দেশি প্রজাতির মাছ।হাকালুকি হাওড় মাছের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য হওযায় বিপন্ন প্রজাতির পাবদা, কাকিয়া, চিতল, ফলি, কাল বাউসসহ অনেক মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।

তবে পলি জমে দিন দিন কমছে হাওড়ের গভীরতা সাথে সংকুচিত হচ্ছে মাছের বিচরণক্ষেত্র। উৎপাদন বাড়াতে খননের ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রায় ১১২ প্রজাতির মাছের চারণক্ষেত্র মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওড় দেশের সবচেয়ে বড় মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। পাবদা, কাইক্যা, চিতল, ফলি, কালী বাউস, রুই, বোয়াল ,আইড়, চাপিলা, টেংরা, মলা, পুটি, চিংড়িসহ রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

বিলের পাড়ে অস্থায়ী পাইকারি হাট থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।

হাকালুকির মিঠাপানির তাজা ও সুস্বাদু এই মাছের সুনাম রয়েছে সর্বএ। তবে, হাওড়ে পলি জমে কমে গেছে মাছের উৎপাদন।

স্থানীয় এক জেলে রফিক মিয়া জানান, পলিতে বিল তো ভরে যাচ্ছে। প্রতিবছর মাছ অনেক ধরতে পারি। এবছর মাছ নাই।

এবার উৎপাদন কিছুটা কম হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের।

মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জেলেরা মনে করছেন মাছের উৎপাদন এবার কম হবে। তবে আমরা  আশাবাদী গতবারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। উৎপাদন বাড়াতে যা যা করনীয় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

হাকালুকি হাওড়সহ জেলার সব হাওড়বিল খনন করলে দেশি প্রজাতি মাছ উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২২ ১:৩৩ অপরাহ্ন
শীতে মাছের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে করণীয়
মৎস্য

শীতে মাছের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে করণীয়

মাছ আমাদের আমিষ জোগানের প্রধান উৎস। বাজার থেকে মাছ কিনে খাওয়ার চেয়ে নিজের পুকুরে জলাশয়ে মাছ চাষ করে নিজেরা খাওয়া যায়। অতিরিক্ত অংশ বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। তবে মাছ চাষে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক বা আধুনিক প্রযুক্তি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত ও পরিমিত যত্নআত্তি করলে মাছ চাষে লাভাবান হওয়া যায়। শীতকাল মাছ চাষে অতিরিক্ত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একটু সচেতন হলেই সেসব সমস্যা সমাধান করা যায় অনায়াসে। আমাদের দেশে শীতকালে মাছের বিশেষ কিছু কিছু রোগ দেখা যায়। এ সময় সঠিকভাবে মাছের যত্ন না নিলে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরে যেতে পারে। শীতকালে মাছের ক্ষতরোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ, ফুলকা পচা রোগ এবং উদর ফোলা রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যা করলে মাছের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যায়। শীতকালে মাছের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। কারণ এ সময়ে পুকুরের পানি কমে যায়, পানি দূষিত হয়, মাছের রোগবালাই হয়। ফলে মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যা করলে মাছের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যায়।

মাছের ক্ষতরোগ : এফানোমাইসেস ছত্রাক পড়ে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৩২ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছে এ রোগ হয়। যেমন- টাকি, শোল, পুঁটি, বাইন, কই, শিং, মৃগেল, কাতলসহ বিভিন্ন কার্পজাতীয় মাছে এ রোগ হয়। মাছের ক্ষত রোগ হলে প্রথমে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। লাল দাগে ঘা ও ক্ষত হয়। ক্ষতে চাপ দিলে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়। লেজের অংশ খসে পড়ে। মাছের চোখ নষ্ট হতে পারে। মাছ ভারসাম্যহীনভাবে পানির ওপরে ভেসে থাকে। মাছ খাদ্য খায় না। আক্রান্ত মাছ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে মারা যায়। এ রোগে করণীয় হলো শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর পুকুরে প্রতি শতাংশে ০১ কেজি ডলোচুন ও ০১ কেজি লবণ মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। পুকুর আগাছামুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জৈবসার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। জলাশয়ের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হবে। মাছের ঘনত্ব কম রাখতে হবে। ক্ষতরোগ হওয়ার আগে এসব ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছ ক্ষতরোগে আক্রান্ত হলে প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন ওষুধ দিতে হবে। অথবা তুঁত দ্রবণে মাছ ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে। আক্রান্ত মাছপুকুর থেকে সরাতে হবে।

লেজ ও পাখনা পচা রোগ : অ্যারোমোনাসে ওমিক্সো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে এ রোগ হয়। কার্প ও ক্যাটফিস জাতীয় মাছে বেশি হয়। তবে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ প্রায় সব মাছেই এ রোগ হতে পারে। রোগের লক্ষণ হলো মাছের পাখনা ও লেজের মাথায় সাদা সাদা দাগ পড়ে।  লেজ ও পাখনা পচে খসে পড়ে। দেহের পিচ্ছিলতা কমে যায়। দেহের ভারসাম্য হারায় এবং ঝাঁকুনি দিয়ে পানিতে চলাচল করে। মাছ ফ্যাকাশে হয়। মাছ খাদ্য কম খায়। আক্রান্ত বেশি হলে মাছ মারা যায়। রোগ প্রতিরোধ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। রোগ হওয়ার আগেই ওই ব্যবস্থাগুলো নিলে লেজ ও পাখনা পচা রোগ হয় না। আক্রান্ত পাখনা কেটে মাছকে শতকরা ২.৫ ভাগ লবণে ধুয়ে নিতে হবে। এক লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম তুঁত মিশিয়ে ওই দ্রবণে আক্রান্ত মাছকে এক মিনিট ডুবিয়ে পুকুরে ছাড়তে হবে। মাছের পরিমাণ কমাতে হবে। আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে সরাতে হবে।

ফুলকা পচা রোগ : ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে অধিকাংশ বড় মাছে এ রোগ হয়। তবে সব প্রজাতির পোনা মাছেই এ রোগ হতে পারে। লক্ষণ হলো মাছের ফুলকা পচে যায় এবং আক্রান্ত অংশ খসে পড়ে।  শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। মাছ পানির ওপর ভেসে ওঠে। মাছের ফুলকা ফুলে যায়। ফুলকা থেকে রক্তক্ষরণ হয়। আক্রান্ত মারাত্মক হলে মাছ মারা যায়। এ রোগ হলে করণীয় হচ্ছে শতকরা ২.৫ ভাগ লবণে আক্রান্ত মাছকে ধুয়ে আবার পুকুরে ছাড়তে হবে। এক লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম তুঁত মিশিয়ে ওই দ্রবণে আক্রান্ত মাছকে এক মিনিট ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে।

উদর ফোলা বা শোঁথ রোগ : অ্যারোমোনাস নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কার্পও শিং জাতীয় মাছে ড্রপসি রোগ বেশি হয়। এ রোগ সাধারণত বড় মাছে বেশি হয়। লক্ষণ হলো দেহের ভেতর হলুদ বা সবুজ তরল পদার্থ জমা হয়। পেট খুব বেশি ফুলে। দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তরল পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়। মাছ উল্টা হয়ে পানিতে ভেসে ওঠে। দেহে পিচ্ছিল পদার্থ কমে যায়। খাদ্য গ্রহণে অনীহা হয়। প্রতিকার হলো- আঙুল দিয়ে পেটে চাপ দিয়ে কিংবা সিরিঞ্জ দিয়ে তরল পদার্থ বের করতে হবে। প্রতি কেজি খাদ্যের সঙ্গে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন বা স্ট্রেপটোমাইসিন পরপর ৭ দিন খাওয়াতে হবে। অন্যান্য পরিচর্যা-১. পানির অক্সিজেন বৃদ্ধির জন্য বাঁশ দিয়ে অথবা সাঁতার কেটে অথবা পানি নাড়াচাড়া করতে হবে।
একরপ্রতি ০৫ থেকে ১০ কেজি টিএসপি দিলেও হবে। ২. পুকুরের পানিতে সরাসরি রোদ পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে পুকুরের পানি গরম হয় এবং প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয়। ৩. শেওলা, আবর্জনা, কচুরিপানা, আগাছাসহ সব ক্ষতিকর জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কার করতে হবে। ৪. ১৫ দিন পরপর জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ৫. পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস হলে চুন প্রয়োগ করতে হবে। ৬. পানি ঘোলা হলে ১ মিটার গভীরতায় ১ শতক পুকুরে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। ৭. পুকুরের পানি কমে গেলে পানি সরবরাহ করতে হবে। ৮. পুকুরের পানি বেশি দূষিত হলে পানি পরিবর্তন করতে হবে। ৯. সুষম খাদ্য নিয়মিত সরবরাহ করতে হবে। শীতকালে মাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। কারণ এ সময়ে পুকুরে পানি কমে, পানি দূষিত হয়, পানি গরম হয়, অক্সিজেন কমে যায়, গ্যাস সৃষ্টি হয়, রোগবালাইসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যার জন্য মাছের মড়ক দেখা দিতে পারে। এতে মাছ চাষি  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমস্যার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ও সমস্যা হওয়ার পরেও সমাধান করে মাছের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যায়।

খাবি খাওয়া : পানিতে অক্সিজেনের অভাব হলে মাছ পানির ওপর ভেসে ওঠে খাবি খায়। অর্থাৎ বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণের চেষ্টা করে। মনে হয় মাছ পানি খাচ্ছে। মাছ খুব ক্লান্ত হয়। এতে মাছের ফলন কমে। পানিতে সাঁতারকাটা, বাঁশ পানির ওপর পেটানো, হররা টেনে তলার গ্যাস বের করে দেয়া, পুকুরে পাম্প বসিয়ে ঢেউয়ের সৃষ্টি করা, পানি নাড়াচাড়া করে অক্সিজেন বাড়ানো যায়। নতুন পানি সরবরাহ করেও অক্সিজেন বাড়ানো যায়। প্রতি শতাংশে এক কেজি চুন দিলে উপকার পাওয়া যায়।
কার্বন-ডাই-অক্সাইডজনিত পানি দূষণ : পানিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেড়ে গেলে মাছের দেহে বিষক্রিয়া হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয়। মাছ পানিতে ভেসে ওঠে। খাবি খাওয়া প্রতিকারের মতো পানি নাড়াচাড়া করে অক্সিজেন বাড়ালে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমে যায়। পুকুর তৈরির সময় অতিরিক্ত কাদা সরাতে হবে।
অ্যামোনিয়াজনিত সমস্যা : পুকুরে অ্যামোনিয়া বেড়ে গেলে পানির রঙ তামাটে অথবা কালচে রঙের হয়। এতে মাছের ছোটাছুটি বেড়ে যায়। মাছ খাদ্য খায় না। বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। মাছের মজুদ ঘনত্ব কমাতে হবে। সার ও খাদ্য প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। নতুন পানি সরবরাহ করতে হবে।
নাইট্রোজেনজনিত সমস্যা : পানিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাছের দেহে অক্সিজেন সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে বিষাক্ততার সৃষ্টি করে। এতে মাছের দেহ বাদামি রঙ ধারণ করে। মাছ খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পুকুরে ২৫০ মিলিগ্রাম লবণ প্রতি লিটার হারে দিতে হবে।
পিএইচজনিত সমস্যা : পানিতে পিএইচ কমে গেলে মাছের দেহ থেকে প্রচুর পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়। মাছ খাদ্য কম খায়। পিএইচ বেশি হলে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমে যায় এবং মাছের খাদ্য চাহিদা কমে যায়। দেহ খসখসে হয়। মাছ রোগাক্রান্ত হয়। পিএইচ কম হলে চুন, ডলোমাইড বা জিপসাম ১ থেকে ২ কেজি প্রতি শতাংশ পুকুরে প্রয়োগ করতে হবে। পিএইচ বেশি হলে পুকুরে তেঁতুল বা সাজনা গাছের ডালপালা তিনচার দিন ভিজিয়ে রেখে পরে তুলে ফেলতে হবে। তেঁতুল পানিতে গুলে দেয়া যায়।

পানির ওপর সবুজ স্তর : পুকুরের পানির রঙ ঘন সবুজ হয়ে গেলে বা পানির ওপর শ্যাওলা জন্মালে খাদ্য ও সার প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। প্রতি শতাংশে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম তুঁতে বা কপার সালফেট অনেক ভাগ করে ছোট ছোট পোটলায় বেঁধে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পানির নিচে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখতে হবে। প্রতি শতাংশ পুকুরে ৮০০ থেকে ১২০০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করতে হবে।
পানির ওপর লাল স্তর : পুকুরের পানির ওপর লাল স্তর পড়লে ধানের খড়ের বিচালি বা কলাগাছের শুকনো পাতা পেঁচিয়ে দড়ি তৈরি করে পানির ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিলে পরিষ্কার হয়।
পানির ঘোলাত্ব : পানি ঘোলা হলে মাছ খাদ্য কম খায়, চোখে দেখে না, প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় না, প্রজননে সমস্যা হয় ও রোগবালাই বেশি হয়। প্রতি শতাংশে ৮০ থেকে ১৬০ গ্রাম ফিটকিরি দিতে হবে। পুকুর তৈরির সময় জৈবসার বেশি দিলে স্থায়ীভাবে ঘোলা দূর হয়। পানিতে কলাপাতা ও কচুরিপানা রাখলেও ঘোলা কমে।

পানির ক্ষারত্ব : পানি ক্ষারীয় হলে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি কম হয়। মাছের দৈহিক বৃদ্ধি কমে যায়। মাছের দেহে পিচ্ছিল পদার্থ কমে যায়। পুকুর তৈরির সময় ওপরে শতাংশ প্রতি ১ থেকে ২ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হয়। লেবু কেটে দিলেও ক্ষারত্ব কমে। ছাই প্রয়োগেও ক্ষারত্ব নিয়ন্ত্রণ হয়।
জলজ উদ্ভিদ : কচুরিপানা, কলমিলতা, চেচরা, পাতাঝাঝি, শাপলা, হেলেঞ্চা, মালঞ্চ এসব জলজ উদ্ভিদ জলাশয়ে রোদ পড়তে বাধা দেয়, মাছের চলাচল, খাদ্য গ্রহণ, প্রজননে সমস্যা করে। এসব ক্ষতিকর জলজ উদ্ভিদ কাঁচি দিয়ে কেটে সব সময় পুকুরের পানি ও পুকুর পরিষ্কার রাখতে হয়।

রোগবালাই : শীতে মাছের ক্ষতরোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ ও ফুলকা পচা রোগ হয়। এসব রোগ প্রতিরোধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তাহলো-
১. পুকুরের পরিবেশ ও পানির গুণাগুণ ঠিক রাখা; ২. জলজ আগাছামুক্ত রাখা; ৩. পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ার ব্যবস্থা করা; ৪. অনাকাক্সিক্ষত জলজ প্রাণী অপসারণ করা; ৫. অতিরিক্ত কাদা সরানো; ৬. দুই তিন বছর পর পর পুকুর শুকানো; ৭. নিয়মিত ও পরিমিত চুন প্রয়োগ করা; ৮. মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা; ৯. প্রাকৃতিক খাদ্যের উপস্থিতি পরীক্ষা করা; ১০. হররা টানা; ১১. পাখি বসতে না দেয়া; ১২. জাল শোধন করে ব্যবহার করা; ১৩. রোগাক্রান্ত মাছ অপসারণ করা; ১৪. সব সময় ঢেউয়ের ব্যবস্থা রাখা; ১৫. পানি কমে গেলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা; ১৬. ভাসমান খাদ্য প্রয়োগ করা; ১৭. পানি বেশি দূষিত হলে পানি পরিবর্তন করা; ১৮. পুকুরে বিভিন্ন স্থানে একটু গভীর বা গর্ত করা যাতে পানি কমে গেলে মাছ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
শীত ও গ্রীষ্মে প্রতিদিন পুকুরে যেতে হবে। পুকুরের অবস্থা দেখতে হবে। সাত দিন পর পর মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। আর মাছ সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা হলে উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এতে খরচ কমে যাবে, লাভ বেশি হবে।

লেখকঃ

ভুঁইয়া মো. মাহবুব আলম
মৎস্য চাষী, আমতলী, বরগুনা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ডিম ও রেণু রক্ষায় বিশেষ অভিযান
মৎস্য

চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় জাকটাসহ মাছের ডিম ও রেণু পোনা রক্ষায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন বর্তমানে চলমান রয়েছে।

মাছের ডিম, লার্ভী ও রেণু পোনা ধবংসকারী বেহুদি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড় জাল,কারেন্ট জাল,মশারি জাল ৬.৫সেমি. অপেক্ষা কম ছোট ফাঁসের ইলিশ জাল ব্যবহার মৎস্য আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও কিছু অসাধু জেলেরা তা মানছে না।এমতাবস্হায় মৎস্যসম্পদ ধবংসকারী এসব অবৈধজালের ব্যবহার বন্ধে বিশেষ এই অভিযান চলছে।

ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসককের নির্দেশনায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশের সমন্বয়ে সম্মিলিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন এখনও চলছে।

এখন পর্য়ন্ত ৩টি ধাপে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এতে ১শ’ ২৭ অভিযান ও ৩৫ টি মোবাইল পরিচালনা করা হয়। ৪র্থ ধাপেও জেলার মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় নদীতে এ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালিত হবে।

চাঁদপুর জেলা টাক্সফোর্স সূত্র জানায়, নভেম্বর – মার্চ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় বিশেষভাবে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাকটাসহ বিভিন্ন মাছের ডিম, লার্ভী ও রেণু পোনা ধবংসকারী বেহুদি জাল, মশারি জাল, চরঘেরা জাল, বেড় জাল,কারেন্ট জাল,মশারি জাল ৬. ৫সেমি. অপেক্ষা ছোট ফাঁসের ইলিশ জাল ব্যবহার মৎস্য আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্মিলিত এ বিশেষ  কম্বিং অপারেশন উপলক্ষে স্থলপথ, নৌপথে মাইকযোগে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সংবাদ-মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ও জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
মহাবিপন্ন ঘোষণায় পোড়াদহ মেলায় বাঘাইড় কেনাবেচা নিষিদ্ধ
মৎস্য

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় এবার বাঘাইর কেনাবেচা ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ২৪ জানুয়ারি বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকনের সই করা এক চিঠিতে এ নিষেজ্ঞাধার কথা জানানো হয়।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পোড়াদহ মেলা হওয়ার কথা রয়েছে। কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বগুড়ার বিখ্যাত পোড়াদহ মেলায় প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বাঘাইড় মাছ কেনাবেচা হয়, যা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশে বাঘাইড় মাছ একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। এজন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পোড়াদহ মেলায় বাঘাইড় মাছ কেনাবেচা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মৎস্য কর্মকর্তা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, র‍্যাব, ইউএনও, ওসি, মেলা কমিটিসহ ১৬ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ স্থানটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীর্থস্থান স্বরুপ। প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবার পোড়াদহ এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়।শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরের মেলাটি এক দিনের হলেও আশপাশের গ্রামগুলোতে জামাই উৎসব চলে তিন দিন। মেলায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ থাকে বিভিন্ন প্রজাতির বড় মাছ। এ কারণে অনেকের কাছে পোড়াদহের মেলাটি মাছের মেলা হিসেবে পরিচিত। এখানে বড় সাইজের বাঘাইড় মাছের আমদানি বেশি হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ মেলায় ৬৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ দেখা যায়। এটির প্রতি কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বাঘাইড়ের সংখ্যা অস্বাভাবিক কমে আসায় ২০১২ সালে মাছটিকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের শিডিউলভুক্ত করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার’ (আইইউসিএল) স্বাদু পানির ২৫৩ প্রজাতির মাছের ওপর সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ঐ সংস্থাটি ৬৪টি মাছকে বিপন্ন এবং বাঘাইড়সহ আরো ৯টি মাছকে মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করে।

বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন্দ বলেন, বাঘাইড় মাছকে রক্ষা করতে হলে এখনই এর বিক্রি ও প্রদর্শন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ওই মাছটির স্বাদ গ্রহণ তো দূরের কথা, দেখতেও পাবে না। তিনি আরও বলেন, স্হানীয় প্রশাসন এবং মেলা আয়োজক কমিটির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও মাছটি রক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

মেলার আয়োজক মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, মেলায় বাঘাইড় মাছ আনতে নিষেধ করা হয়েছে।  নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যদি বাঘাইর মাছ আনে তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও আমরা সতর্ক করে দিয়েছি।

গাবতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চিঠি পেয়ে প্রশাসন এরই মধ্যে এ বিষয়ে মাইকিং শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং মেলা আয়োজক কমিটিসহ সবাইকে প্রয়েজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ ৪:৪৪ অপরাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড়
মৎস্য

মুন্সীগঞ্জে জেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩৬ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ। আকারে বড় হওয়ায় মাওয়া মৎস্য আড়তে এই মাছ তুলতেই লেগেছে তিনজন।

এই বাঘাইড় মাছকে ঘিরে শুক্রবার সকালে মাওয়ার মাছের হাটে উৎসুক মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পরে ঢাকা থেকে আসা ইমরান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী আইড়টি ৪১ হাজার টাকায় কিনে নেন।

মাওয়া মৎস্য আড়তের বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম মাছটি বিক্রি করেন। তিন এক জেলের কাছ থেকে এটি ৩৮ হাজার টাকায় কিনেন। আড়তদাররা জানান, এমন বড় বাঘাইর পাওয়া দুষ্কর।

পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝে বড় মাছের দেখা মিলে। তবে শখের বসে বড় ও সুস্বাদু মাছ কেনার লোকের অভাব হয় না।

বাঘাইর মাছের ক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, বড় আকারে আইড়টি কিনতে পেরে তিনি অনেক খুশি ।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop