অতিথি আপ্যায়নে হরিণের মাংস,ফরেস্টার সাময়িক বরখাস্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি
সুন্দরবনে হরিণ শিকার নিষিদ্ধ। বন ও বনের এসব প্রাণী রক্ষার ভার বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের। তবে হরিণ শিকার করে তার মাংস দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম সুন্দরবনের নোটাবেকি অভয়ারণ্যের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারাম হোসেনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। একই অভিযোগে আরও তিনজনকে রেঞ্জ সদরে ক্লোজ করা হয়েছে।
তবে ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি অসুস্থ হয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। ফেরার পর কল্পনাপ্রসূত এসব অভিযোগ তুলে দায়সারা তদন্ত করে তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বনকর্মীদের মধ্যে দলাদলির কারণে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১ মার্চ ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামের কয়েকজন নিকটাত্মীয় সুন্দরবনের নোটাবেকি অভয়ারণ্যে বেড়াতে আসেন। ওই দিন অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণ শিকার করে অতিথি আপ্যায়ন করেন ফরেস্টার। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তা তদন্তের উদ্যোগ নেন খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক। ঘটনা তদন্তে ৪ মার্চ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষণ এম এম হাসানের নেতৃত্বে তিন স্টেশন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়। তদন্ত দলটি ৭ মার্চ খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ৮ মার্চ বিকেলে ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি আরও তিনজন বনরক্ষীকে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্লোজ করা হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। আরও তিনজনকে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সদরে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার আবু সাঈদকে নোটাবেকি অভয়ারণ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে