আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ
যশোরের বাঘারপাড়ার মাঠে মাঠে চলছিলো পাকা আমন ধান কাটার ধুম। আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেকেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তবে এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাব। গত তিন দিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর টানা বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাজ নেমে এসেছে কৃষকদের। শুকনো ধান ভিজে গেছে অনেক চাষীর। অনেকের ধান পানিতে ভাসছে। শেষ সময়ে কষ্টের ফলানো ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা।
কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় আমনের আশানুরুপ ফলন হয়েছে। কয়েকদিন ধরে সোনালি আমন ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষাণ-কৃষাণীরা। আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে মাঠের অধিকাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়েছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে কিছু দিনের ভিতর ধান ঘরে তোলার কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু সে আশা গুড়েবালি। টানা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে অনেকের শুকনো ধান। এতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সরেজমিনে বিল জলেশ্বর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের অধিকাংশ জমির ধান বাড়িতে নিয়েছেন চাষিরা। অনেকেই ধান কাটার পর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ শুকনো ধানের মুঠো বেঁধে গাদা করে রেখেছেন। টানা বৃষ্টিতে ভাসতে শুরু করেছে অধিকাংশ কৃষকের ধান।
বাঘারপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২ বিঘা জমিতে এবার আমন ধানের চাষ করেছিলেন। এরমধ্যে ১ বিঘা ৮ কাঠা বাড়িতে আনা হয়ে গেছে। ১২ কাঠা জমির ধান বৃষ্টিতে ভিজেছে। দুই দিন রৌদ্দুর হলে হাসি মুখে সব জমির ধান বাড়িতে আনতে পারতেন তিনি। এইরকম আবহাওয়া থাকলে অনেক ধান নষ্ট হয়ে যাবে তার।
শালবরাট গ্রামের কৃষক বাচ্চু মোল্যা বলেন, ১৭ কাঠা জমির ধান ভেজা অবস্থায় মুঠো বেঁধে গাদা করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো না হলে আনা সম্ভব হবেনা। ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি, সব ধানই মাঠে পড়ে আছে। আবার ঘূর্ণিঝড় আসছে। চাষীদের একের পর এক দুর্ভোগ লেগে আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।