ইয়াস ওয়ার্ল্ড এর কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হলেন আব্দুলাহ আল মারুফ
Uncategorized
International Association of Students in Agricultural and related Sciences বা IAAS কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের তাদের বিষয় সংশ্লিষ্ট, পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা উন্নয়ন লক্ষ্যে। বাংলাদেশে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির লোকাল কমিটি যাত্রা শুরু করে। প্রারম্ভিক সময়কাল থেকেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মারুফ এই সংগঠনের সাথে কাজ করা শুরু করেন।
তিনি ইয়াস বাংলাদেশ পবিপ্রবি লোকাল কমিটিতে সেক্রেটারি অফ এডমিনিস্ট্রেশন হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে এক বছর কাজ করেন। এরপর ইয়াস ওয়ার্ল্ডে তিনি এক্সটার্নাল রিলেশন সেক্রেটারি, ইয়াস ফিন্যান্স সামিট ২০২১ ‘এ ফ্যাসিলিটেটর, ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিকের সাথে কো-ফ্যাসিলিটেটর, ইয়াস ১ম ভার্চুয়াল কংগ্রেস ‘এ সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন অবস্থান থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এবং সম্প্রতি ইয়াস ওয়ার্ল্ডের ২০২১-২২ সেশনের জন্য ফিন্যান্সিয়াল ইনডিপেন্ডেন্ট অফিসার তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ইয়াস ওয়ার্ল্ড থেকে দীর্ঘদিনের যাচাই-বাছাই পর্ব শেষে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়।
মারুফ তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ভলান্টিয়ার এবং মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (BYLC) ‘র ক্যাম্পাস এম্বাসেডর এবং জাগো ফাউন্ডেশনের অংশ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (VBD) ‘র পটুয়াখালী জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার শিক্ষাজীবনে আমতলী এ.কে. মডেল পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি ওয়াটারস্কেল এ্যাপে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তিনি তার শিক্ষাজীবন থেকেই একজন আদর্শ ভলান্টিয়ার এবং নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের খুবই ছোট একটি জায়গা হচ্ছে পটুয়াখালী। সেখান থেকেই একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়া এবং ৫০টিরও অধিক দেশের অভিভাবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।
মারুফ ব্যক্তিগত জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্বাসী। তিনি যেমন শিক্ষাজীবন থেকেই, বিশেষ করে লকডাউনের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিজের সময়কে কাজে লাগিয়েছেন, তেমনি তিনি তার অনুজদের কাছ থেকেও সেরকমটাই আশা করেন। আশা করা যায়, মারুফ তার পরবর্তী জীবনেও তার সাফল্যের ধারা এভাবেই অব্যাহত রাখবেন।
আরো পড়ুনঃ ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস ২০২১ এর ট্রেনিং সেশন শুরু হলো