কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন হাওরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ
কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের আবাদকে কেন্দ্র করে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজার হাজার কৃষক। হাওরের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় ধানের বীজতলা তৈরির পাশাপাশি চলছে, জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণের কাজ।
পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোরো ধানের আবাদ নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন হাওরের কৃষকরা। চলছে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি, জমি চাষের উপযোগী করাসহ ধানের চারা রোপণের কাজ।
কৃষকরা বলছেন, বাজারে ডিজেলের দাম বেশি। সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ চড়া দামে ক্রয়ে হিমশিম অবস্থায় তারা। তারওপর নেই বাজারে ধানের দাম। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা তো আছেই। এতে সারা মৌসুমে ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করেও খুব একটা লাভের আশা দেখতে না পেরে হতাশায় চাষিরা।
তারা বলছেন, সারের দাম বেশি। এ ছাড়া তেলের দাম বেশি। পানিও পাওয়া যায় না। ধানের দাম কম। এমন হলে হতাশাই বলা যায়।
তবে, সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের। কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল আলম বলেন, কৃষকরা যেন স্বল্প মূল্যে চাষাবাদ করতে পারে, সে জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ যেমন- সার, পানির ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৫টি আংশিক ও তিনটি সম্পূর্ণ হাওর অধ্যুষিত। এর মধ্যে তিন হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি বোরো ধানের আবাদ হয়ে থাকে। জেলায় এবার এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।