গাইবান্ধার বালুচরে কীটনাশকমুক্ত সবজির বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ
চলতি বছর বৃহৎ পরিসরে গাইবান্ধার বিভিন্ন বালুচরে কীটনাশকমুক্ত সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
এখন বাড়তি সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছ। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী জানিয়েছে, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সবজির বাজার তৈরির চেষ্টা চলছে।
উচ্চ ফলনশীল বীজ আর কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে গাইবান্ধার ফুলছড়ির ভাসান চরসহ একাধিক চর। পঁচিশ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে বাধাকপি, ফুলকপি, মিষ্টিকুমড়া, মুলা, ভুট্টা, গাজর ও টমেটো।
সবজি বিক্রি করে এবার ঘরে মুনাফা তোলার আশা করছে কৃষকরা। কৃষকরা জানান, চরে শীত মৌসুমে সবজিই বেশি আবাদ করা হয়। এখনও কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। বাজারে দামও ভালো, লাভও হবে।
কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষের ফলে থাকছে না স্বাস্থ্য ঝুঁকি। চরে সবজির বাম্পার ফলনের কারণে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এখন সবজি সংরক্ষণের জন্য দরকার হিমাগার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন,কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে।এখন তাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের জন্য হিমাগার করা যায় তাহলে তাদের জন্য ভালো হয়। তাদের সুবিধামতো সময়ে তারা এসকল সবজি বিক্রি করতে পারবে। এর ফলে তারা আরও লাভবান হবে।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর মহাপরিচালক খলিল আহমদ বলেন,চরের মানুষের জীবনমান বাড়াতে কৃষিখাত নিয়ে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।