গোবিন্দগঞ্জে সেচ সংকটে ইরি-বোরো চাষ, বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আশংকাজনক হারে ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অনেকেই ৮ থেকে ১০ ফুট গর্ত বা কুয়া করে সেচ মেশিন বসিয়ে সেচকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পরেও ঠিকমতো পানি না আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। এতে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইরি-বোরো কৃষকরা।
ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর এভাবে নামতে থাকলে সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এলাকা তুলনামূলক উচু এবং লাল মাটি হওয়ায় খরা মৌসুমে সেচ মেশিনে পানি কম পাওয়া যায়। কিন্ত বর্তমান মৌসুমে পানির স্তর আশংকাজনক হারে আরও নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক সেচ মেশিনে পানি ওঠছে না। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইরি ও বোরো ধানসহ অনান্য ফসলের আবাদ।
সাপমারা ইউনিনের চক রহিমাপুর, রামপুরা, সাহেবগঞ্জ, মেরী, মাদারপুর, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, কলোনী, ভেলামারী, কৌচাসহ বেশ কিছু এলাকায় ৮ ফুট, কোথায় ১০ ফুট কূপ খনন করে পাম্প বসিয়ে পানি তুলছেন কৃষকেরা।
মাদারপুর গ্রামের কৃষক ধনু মন্ডল বলেন, গত বছর ৫ ফুট গভীর গর্তে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি তুলে ছিলাম। এবছর আরও ৩ ফুট গভীর গর্ত করে পানি তুলতে হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা ই মাহমুদ বলেন, ইরি-বোরো চাষে পানির সংকট নিরসনের জন্য বিএডিসি সেচ প্রকল্প ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন এলাকা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।