৩:১৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চাটমোহরে বাণিজ্যিক ভাবে কফি চাষ শুরু
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২১ ৫:০০ অপরাহ্ন
চাটমোহরে বাণিজ্যিক ভাবে কফি চাষ শুরু
কৃষি বিভাগ

জনপ্রিয় পানীয় কফির আবাদ হচ্ছে পাবনার চাটমোহরের সমতল ভূমিতে। এক সময় দেশের পার্বত্য তিনটি জেলায় কফির আবাদ হলেও এখন পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও রংপুর এবং টাঙ্গাইলে কফির চাষ শুরু হয়েছে।

বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ সেমিনার কনফারেন্স চলাকালে স্বল্প সময়ের বিরতির সময় পানীয় হিসেবে কফি পরিবেশন করা হয়। অনেকে বাড়ি বা দোকানে গিয়ে কফি পান করেন। ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কফি চাষে আমরা পিছিয়ে থাকায় দেশে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু মানুষ কফি চাষ শুরু করেছেন। সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামে ও মুলগ্রাম ইউনিয়নে দুটি প্রদর্শনী স্থাপিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস চাটমোহর পাবনা প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ও চাটমোহরে কফি চাষ শুরু হয়েছে।

চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের ঠিকাদার শুকুর আলী নিজ উদ্যোগে তার বাড়িতে কফি চাষ শুরু করেছেন। শুকুর আলী জানান, বেশ কিছু বছর পূর্বে সৈয়দপুরের খ্রিষ্টন মিশনারীতে গীর্জা নির্মাণের কাজ করছিলাম। সেখানকার ইটালিয়ান মাদার ইটালী থেকে দুইটি কফির চারা এনে আমাকে দেন। আমি সেটি আমার বাড়িতে রোপণ করি। তিন বছর পর থেকে আমি ফল পেতে শুরু করি। কফির দানা থেকে এবং গাছের ডালে কলম দিয়ে চারা তৈরী করছি। ২০১৮ সালে ২০ টি, ২০১৯ সালে ৬০ টি এবং ২০২০ সালে ১৫০ টি চারা উৎপাদন করতে পেরেছি। লাগানোর তিন বছর পর থেকেই কফি গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। কিছু চারা ঢাকায় নিয়ে প্রতিটি এক হাজার টাকা করে বিক্রি করেছি। এলাকায় প্রতিটি চারা পাঁচশ টাকায় বিক্রি করছি। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় বিশ জন আমার নিকট থেকে কফির চারা কিনে রোপণ করেছেন এবং কফি চাষে এলাকার কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রকল্পের অধীনে কফি চাষ শুরু করেছেন চাটমোহরের বরুরিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন। তিনি জানান, এই প্রথম কফি চাষ করছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চারা ও সার সরবরাহ করেছে। হলুদের জমির মধ্যে জায়গা ফাঁকা করে আপাতত চারা লাগিয়েছি। কেমন হবে, কিভাবে কফি সংগ্রহ করতে হয় এসব বিষয়ে খুব বেশি জানি না আমি। পরীক্ষা মূলক ভাবে কফির চাষ করেছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রায় ১১৮.৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫৫.৭৫ টন কফি উৎপাদন হয়। কৃষকেরা সনাতন পদ্ধতিতে কফি চাষ করায় ফলন ও লাভ কম পায়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩২.৫১৭ টন গ্রীন কফি আমদানী করা হয়। অর্থকরী ফসল কফির আমদানী নির্ভরতা কমাতে সরকার কফি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ জানান, বাংলাদেশের মাটি কফি চাষের উপযোগী। ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা অম্লমাটিতে কফি ভাল জন্মে। এটি উঁচু মাটিতে ভাল হয়। কফির সাথে আন্তফসল হিসেবে পেঁপে, আনারস, গোলমরিচ চাষ করা যায়। হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে কফি ভালো হয়। খুব বেশি পরিচর্যার দরকার হয় না। রৌদ্রময় স্থানে চাষ করলে সার ও সেঁচের দরকার হয়। কফির ফল সংগ্রহ থেকে পান করা পর্যন্ত অনেকগুলো ধাপ পেরুতে হয়। এখন পরীক্ষা মূলক ভাবে কফি চাষ হচ্ছে। ভাল ফলাফল পেলে অধিক সংখ্যক কৃষককে কফি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

 

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop